০৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

‘সরকারের সঙ্গে ভারত নাই, আমেরিকাও নাই’

মিজানুর রহমান খান
  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘ভারত কিন্তু মেসেজ দিয়েছে, তারা আপনার (বর্তমান সরকার) সঙ্গে নাই। আমেরিকা আপনার সঙ্গে নাই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাই।’ আপনার সঙ্গে আছেটা কে?—প্রশ্ন করেন তিনি।

বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি আয়োজিত ‘যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের ১ দফা যৌথ ঘোষণার সমাবেশ’-এ এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু।

সরকার পতনের একদফা দাবি ও কর্মসূচি জানাতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের একটা মানুষ নাই, আপনাকে চায়। আমাদের ইলিয়াছ আলীকে ফেরত দেন। তাদের ফেরত দেন যাদের গুম করেছেন। কথা একটাই, নিজেই তো দাঁড়াতে পারছেন না। আপনার অধীনে কোনও নির্বাচন হবে না। আপনি এখনও বিএনপিকে চেনেন নাই। ছাত্রদলকে চেনেন নাই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সারা দেশে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে আজকে শান্তি মিটিং করেন। তারা বলে, যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে, তাদের প্রতিহত করবে। আমি কিছুক্ষণ আগে খবর নিয়েছি, আরেকটু হলেই থরথর…।’

মির্জা আব্বাস দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের সমাবেশে লোক নাই। আগামী দিনেও থাকবে না। বিএনপির সাধারণ কর্মীর নিশ্বাসে তারা ভেসে যাবে। লগি-বৈঠার দিন শেষ। মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আর আসা যাবে না।’

‘দেশের মানুষ বাঁচতে শিখেছে। মানুষ শিখেছে আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করতে হয়। আজকে মাঝে মাঝে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে, মাঝে মাঝে রোদ, প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ আজ সমাবেশে। এসব প্রমাণ করে এই সরকারের সময় নাই। মহাসচিব ঘোষণা দেওয়ার আগেই কেটে পড়ুন’ উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস।

জনসভার জমায়েত নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। রমনা পার্ক পর্যন্ত, ওইদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক, ওইদিকে শান্তিনগর, দৈনিক বাংলার দিকে সমাবেশ ছড়িয়ে গেছে।’

ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আর বেশি দিন বাকি নেই। আইনমন্ত্রী আপনাকেও যেতে হবে। ছাত্রদলের, যুবদলের সবাইকে সুখবর দেই, ২২ জুলাইয়ের আগে গ্রেপ্তারকৃতরা মুক্তি পাবে। দলের আইনজীবীরা আপনাদের জন্য আইনি লড়াই করবেন। যদি কেউ না করে তাহলে আমাকে বলবেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। দেখতেও চায় না। একটা মিটিং ডাকছিল আজকে, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে। ওখানে তো জামায়াত করে। পাবলিক নাই। ভুয়া ভুয়া। তাই বলতে চাই এখনও সময় আছে, খালেদা জিয়াকে ছাড়েন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করেন। তারপর যদি নির্বাচন হয়, তাহলে দু-চারটে সিট পাইতেও পারেন। যদি জনগণের আন্দোলনের মুখে পতন হয়, তাহলে আপনার নৌকা ভোটও পাবে না।’

প্রশাসনের উদ্দেশে আবদুস সালাম বলেন, ‘ভালো হইতে পয়সা লাগে না। এখনও সময় আছে, ভালো হয়ে যান। সরকারি কর্মচারী, আমাদের টাকায় আপনারা বাঁচেন। এখনও পুলিশ অফিসার কিছু আছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা দিয়ে জেলে দিচ্ছেন। কিছু কিছু বিচারক আজকে মনে করতেছেন, খুব দ্রুত মামলা রায় দিয়ে দিলেই হবে, বিএনপিকে জেলে দিয়ে দেবেন। তারা একদলীয়ভাবে নির্বাচন করবেন।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বরকতউল্লাহ বুলু প্রমুখ।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘সরকারের সঙ্গে ভারত নাই, আমেরিকাও নাই’

আপডেট সময় ০৯:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘ভারত কিন্তু মেসেজ দিয়েছে, তারা আপনার (বর্তমান সরকার) সঙ্গে নাই। আমেরিকা আপনার সঙ্গে নাই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাই।’ আপনার সঙ্গে আছেটা কে?—প্রশ্ন করেন তিনি।

বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি আয়োজিত ‘যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের ১ দফা যৌথ ঘোষণার সমাবেশ’-এ এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু।

সরকার পতনের একদফা দাবি ও কর্মসূচি জানাতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের একটা মানুষ নাই, আপনাকে চায়। আমাদের ইলিয়াছ আলীকে ফেরত দেন। তাদের ফেরত দেন যাদের গুম করেছেন। কথা একটাই, নিজেই তো দাঁড়াতে পারছেন না। আপনার অধীনে কোনও নির্বাচন হবে না। আপনি এখনও বিএনপিকে চেনেন নাই। ছাত্রদলকে চেনেন নাই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সারা দেশে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে আজকে শান্তি মিটিং করেন। তারা বলে, যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে, তাদের প্রতিহত করবে। আমি কিছুক্ষণ আগে খবর নিয়েছি, আরেকটু হলেই থরথর…।’

মির্জা আব্বাস দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের সমাবেশে লোক নাই। আগামী দিনেও থাকবে না। বিএনপির সাধারণ কর্মীর নিশ্বাসে তারা ভেসে যাবে। লগি-বৈঠার দিন শেষ। মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আর আসা যাবে না।’

‘দেশের মানুষ বাঁচতে শিখেছে। মানুষ শিখেছে আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করতে হয়। আজকে মাঝে মাঝে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে, মাঝে মাঝে রোদ, প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ আজ সমাবেশে। এসব প্রমাণ করে এই সরকারের সময় নাই। মহাসচিব ঘোষণা দেওয়ার আগেই কেটে পড়ুন’ উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস।

জনসভার জমায়েত নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। রমনা পার্ক পর্যন্ত, ওইদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক, ওইদিকে শান্তিনগর, দৈনিক বাংলার দিকে সমাবেশ ছড়িয়ে গেছে।’

ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আর বেশি দিন বাকি নেই। আইনমন্ত্রী আপনাকেও যেতে হবে। ছাত্রদলের, যুবদলের সবাইকে সুখবর দেই, ২২ জুলাইয়ের আগে গ্রেপ্তারকৃতরা মুক্তি পাবে। দলের আইনজীবীরা আপনাদের জন্য আইনি লড়াই করবেন। যদি কেউ না করে তাহলে আমাকে বলবেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। দেখতেও চায় না। একটা মিটিং ডাকছিল আজকে, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে। ওখানে তো জামায়াত করে। পাবলিক নাই। ভুয়া ভুয়া। তাই বলতে চাই এখনও সময় আছে, খালেদা জিয়াকে ছাড়েন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করেন। তারপর যদি নির্বাচন হয়, তাহলে দু-চারটে সিট পাইতেও পারেন। যদি জনগণের আন্দোলনের মুখে পতন হয়, তাহলে আপনার নৌকা ভোটও পাবে না।’

প্রশাসনের উদ্দেশে আবদুস সালাম বলেন, ‘ভালো হইতে পয়সা লাগে না। এখনও সময় আছে, ভালো হয়ে যান। সরকারি কর্মচারী, আমাদের টাকায় আপনারা বাঁচেন। এখনও পুলিশ অফিসার কিছু আছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা দিয়ে জেলে দিচ্ছেন। কিছু কিছু বিচারক আজকে মনে করতেছেন, খুব দ্রুত মামলা রায় দিয়ে দিলেই হবে, বিএনপিকে জেলে দিয়ে দেবেন। তারা একদলীয়ভাবে নির্বাচন করবেন।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বরকতউল্লাহ বুলু প্রমুখ।