০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা ও মিজানের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, রাজনীতি বিশ্লেষক ফারজানা বিনতে হোসাইন ওরফে ফারজানা শোভা ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকার চকবাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

ফারজানা বিনতে হোসাইনের স্বামী মোঃ  মিজানুর রহমান খান জানান, ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই গোটা রাজধানীতে অরাজক পরিস্থিতি চলছিল। এরমধ্যে বাসার সামনে দিয়ে দেশি অস্ত্র, লাঠি, ছুরি-রামদা নিয়ে বারবার মিছিল করছিল একদল অপরিচিত ছেলেরা। বাসার সামনে কয়েকবার ফারজানা বিনতে হোসাইনের নাম ধরে গালি গালাজও করে তারা। এসময় বাড়ির মেরামতের জন্য রাখা সিমেন্ট, ইট লুট করে।

ফলে নিরাপত্তার জন্য আমরা সে এলাকা ছেড়ে পুরাণ ঢাকার পোস্তা চকবাজারের ওয়াটার ওয়াকস রোডে অবস্থিত ফারজানার বাবার পুরনো বাড়িতে আশ্রয় নিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেখানেও আমরা আক্রমণের শিকার হই। ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ২৫-৩০ জনের মত লোক নানা অস্ত্র নিয়ে বাসায় আক্রমন করে। “নারায়ে তকবির- আল্লাহু আকবার” স্লোগান দিয়ে মূল গেট ভেঙ্গে ঢুকে পরে তারা। বাসায় ঢুকে লুটপাট শুরু করে। আমি ও আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে মেরে আহত করে, হাত বেঁধে বাথরুমে আটকে রাখে। আওয়ামী লীগের দালাল, নাস্তিক ইত্যাদী গালি গালাজ করে ও হত্যার হুমকী দেয়। আমরা নিরীহ মানুষ। কখনো কোন ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি বা অসম্মান প্রদর্শন করিনি। কিন্তু আক্রমণকারীরা বারবার গালিগালাজ করে বলছিল, “তোরা ইসলামের শত্রু”, “তোরা ইসলাম ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মের গুণগান করিস,” ‘তোরা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিস”, তোদের এই মুসলিম দেশ বাংলাদেশে বেঁচে থাকার অধিকার নেই।

আহত ফারজানা বিনতে হোসাইন জানান, প্রায় আধা ঘন্টা ধরে সন্ত্রাসীরা লুটপাট চালায়। পরে পুরো বাড়ি ভাংচুর করে এবং আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী এসে আমাদেরকে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এলাকাবাসী জানায়, এই ভাংচুরের ঘটনা চলাকালে চকবাজার ও লালবাগ থানায় ফোন দেয়া হলেও কোনো পুলিশ আসেনি।

এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্থানীয় থানা কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরী নিতে চাচ্ছে না বলেও জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পরিবার। জীবনহানির শংকায় ভুগছেন এই সাংবাদিক দম্পতি। আহত ফারজানা ও তাঁর স্বামী এমডি মিজানুর রহমান খান মারাত্বক আহত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিতসা নিচ্ছেন। উল্লেখ্য এর আগেও ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর এই দম্পতি ইসলামী উগ্রপন্থীদের হামলার শিকার হন ।

 

 

 

 

 

 

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা ও মিজানের উপর হামলা

আপডেট সময় ১১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, রাজনীতি বিশ্লেষক ফারজানা বিনতে হোসাইন ওরফে ফারজানা শোভা ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকার চকবাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

ফারজানা বিনতে হোসাইনের স্বামী মোঃ  মিজানুর রহমান খান জানান, ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই গোটা রাজধানীতে অরাজক পরিস্থিতি চলছিল। এরমধ্যে বাসার সামনে দিয়ে দেশি অস্ত্র, লাঠি, ছুরি-রামদা নিয়ে বারবার মিছিল করছিল একদল অপরিচিত ছেলেরা। বাসার সামনে কয়েকবার ফারজানা বিনতে হোসাইনের নাম ধরে গালি গালাজও করে তারা। এসময় বাড়ির মেরামতের জন্য রাখা সিমেন্ট, ইট লুট করে।

ফলে নিরাপত্তার জন্য আমরা সে এলাকা ছেড়ে পুরাণ ঢাকার পোস্তা চকবাজারের ওয়াটার ওয়াকস রোডে অবস্থিত ফারজানার বাবার পুরনো বাড়িতে আশ্রয় নিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেখানেও আমরা আক্রমণের শিকার হই। ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ২৫-৩০ জনের মত লোক নানা অস্ত্র নিয়ে বাসায় আক্রমন করে। “নারায়ে তকবির- আল্লাহু আকবার” স্লোগান দিয়ে মূল গেট ভেঙ্গে ঢুকে পরে তারা। বাসায় ঢুকে লুটপাট শুরু করে। আমি ও আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে মেরে আহত করে, হাত বেঁধে বাথরুমে আটকে রাখে। আওয়ামী লীগের দালাল, নাস্তিক ইত্যাদী গালি গালাজ করে ও হত্যার হুমকী দেয়। আমরা নিরীহ মানুষ। কখনো কোন ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি বা অসম্মান প্রদর্শন করিনি। কিন্তু আক্রমণকারীরা বারবার গালিগালাজ করে বলছিল, “তোরা ইসলামের শত্রু”, “তোরা ইসলাম ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মের গুণগান করিস,” ‘তোরা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিস”, তোদের এই মুসলিম দেশ বাংলাদেশে বেঁচে থাকার অধিকার নেই।

আহত ফারজানা বিনতে হোসাইন জানান, প্রায় আধা ঘন্টা ধরে সন্ত্রাসীরা লুটপাট চালায়। পরে পুরো বাড়ি ভাংচুর করে এবং আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী এসে আমাদেরকে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এলাকাবাসী জানায়, এই ভাংচুরের ঘটনা চলাকালে চকবাজার ও লালবাগ থানায় ফোন দেয়া হলেও কোনো পুলিশ আসেনি।

এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্থানীয় থানা কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরী নিতে চাচ্ছে না বলেও জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পরিবার। জীবনহানির শংকায় ভুগছেন এই সাংবাদিক দম্পতি। আহত ফারজানা ও তাঁর স্বামী এমডি মিজানুর রহমান খান মারাত্বক আহত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিতসা নিচ্ছেন। উল্লেখ্য এর আগেও ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর এই দম্পতি ইসলামী উগ্রপন্থীদের হামলার শিকার হন ।