এ সময় তারা স্থানীয় লোকজন-ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের তদন্ত দল

- আপডেট সময় ০৮:৩২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
পাথর লুটের ঘটনায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর পরিদর্শন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের দলটি সাদাপাথর এলাকায় যান বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিন মিয়া।
এর আগে ২০ অগাস্ট মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত আছেন। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে কমিটি।
ইউএনও মো. রবিন মিয়া বলেন, সকালে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের তদন্ত দল সাদাপাথর এলাকা ঘুরে দেখেন। তদন্ত কমিটি প্রথমে রেলওয়ে বাংকার এলাকার পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজন-ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
তাদের সঙ্গে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর ফেরতে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ।
গত বছরের ৫ অগাস্টের পর থেকেই ব্যাপক ‘লুটপাটের’ শিকার হয় কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, ১৩৬ একরের শাহ আরেফিন টিলা, পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর এবং এর পাশের ১০ একরের রেলওয়ে বাঙ্কার, গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি, জৈন্তাপুরের লালাখাল ও শ্রীপুর-রাংপানি এলাকা।
প্রকাশ্যে লুটপাট হয়েছে এসব জায়গায়। ফলে পাথর-বালু ‘শূন্য’ হয়ে পড়েছিল পর্যটন এলাকাগুলো। রেলওয়ে বাংকার ও শাহ আরেফিন টিলা রীতিমত ‘খানাখন্দে’ পরিণত হয়েছে। বিপুল সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র
সারা দেশে পাথর ও বালু তোলার জন্য নির্দিষ্ট ৫১টি কোয়ারি আছে। সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে আটটি কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটের সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর-বালু আছে। এসব জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর-বালু ভেসে আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হত। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।
সিলেট প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম