০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

সামান্য ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে ভিয়েতনামে কৃষকদের জমিতে হচ্ছে ট্রাম্পের গলফ ক্লাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

ভিয়েতনামের হুং ইয়েন প্রদেশে মাঠে কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি রয়টার্স।

 

ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষ তাকে চাষের জমি খালি করে দিতে বলার পরই থেকেই হুয়ংয়ের এই দশা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পরিবারের গল্ফ ক্লাব তৈরির জন্য হুয়ংকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে তার জমি। বিনিময়ে তিনি ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন মাত্র ৩,২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।

আগামী মাস থেকে এই গল্ফ রিসোর্টের কাজ শুরু হওয়ার কথা। হাজারো গ্রামবাসীর চাষের জমি অধিগ্রহণ করে তৈরি করা হবে এই ক্লাব। এই জমিগুলো দশকের পর দশক ধরে তাদের রুজি-রোজগারের পথ হয়ে ছিল।

আর এখন সেসব জমির বিনিময়ে তাদেরকে নামমাত্র ওই ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। হাতে আসা নথি ও সরাসরি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছয়জনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পের পরিবার পরিচালিত ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ সংস্থার হোটেল, আবাসন আছে। তবে ভিয়েতনামে এই প্রথম ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসায় যৌথ উদ্যোগে গল্ফ ক্লাব প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে।

উচ্চ শুল্ক এড়াতে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় দ্রুতই এই প্রকল্প অনুমোদন করে হ্যানয়।

প্রথমে এই প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ধরা হলেও ডেভেলপাররা এখন তা কমিয়ে আনছেন বলে জানিয়েছেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন।

গল্‌ফ ক্লাব তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ৯৯০ হেক্টর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ জমিতে মূলত বিভিন্ন ফলের চাষ হয়। স্থানীয় কৃষকরা এই ফল চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। জমি থেকে উৎখাত হলে কীভাবে পেট চলবে, তা নিয়ে চিন্তিত তারা।

বিশেষ করে বয়স্ক কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন, দেশের তারুণ্যনির্ভর সক্রিয় অর্থনীতিতে তারা বিকল্প জীবিকা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে পারেন।

৫০ বছর বয়সী কৃষক হুয়ংকে রাজধানী হ্যানয়ের কাছের হুং ইয়েন প্রদেশে তার ২০০ বর্গমিটার (২১৫২.৭৮ বর্গফুট) জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। বিনিময়ে তাকে যা দেওয়া হচ্ছে, তা ভিয়েতনামে একছরের গড় আয়ের চেয়েও কম।

হুয়ং বলেন, “গোটা গ্রাম এই প্রকল্প নিয়ে চিন্তিত। কারণ, এটি আমাদেরকে জমিহীন করবে এবং বেকার করে দেবে।”

ট্রাম্প পরিবার অবশ্য এই জমি অধিগ্রহণ বা গল্‌ফ ক্লাব নির্মাণ নিয়ে নাক গলাচ্ছে না। এই প্রকল্পের কাজ মূলত করছে ভিয়েতনামের রিয়েল এস্টেট সংস্থা ‘কিনব্যাক সিটি’ এবং এর অংশীদার সংস্থাগুলো।

এর আগে ব্র্যান্ড লাইসেন্সিংয়ের জন্য তারা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়া নথি এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

গল্‌ফ ক্লাব পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে এটি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ট্রাম্প পরিবারের হাতে। কিন্তু কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া বা বিনিয়োগের বিষয়ে তারা জড়িত থাকবে না।

ট্রাম্প বলেছেন, তার ব্যবসায়িক সম্পদ একটি ট্রাস্টে রাখা আছে। সেটি তার সন্তানরা পরিচালনা করে। তবে জুনে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এসব উৎসের আয় শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের কাছেই যায়।

রয়টার্স ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয়, হুং ইয়েন কর্তৃপক্ষ, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ও কিনব্যাক সিটির কাছে ক্ষতিপূরণের হার সম্পর্কে জানতে চেয়ে জবাব পায়নি।

জমির আকার ও অবস্থান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ করবে। এরপর আগামী মাসে তা আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জমি হারানোর মুখে থাকা পাঁচ কৃষক জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ১২ থেকে ৩০ মার্কিন ডলারের মধ্যে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছে।

তাছাড়া, উপড়ে ফেলা গাছের জন্য বাড়তি অর্থ এবং কয়েক মাসের জন্য চাল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রয়টার্সের পাওয়া নথির তথ্যের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে জানেন এমন একজনও বলেছেন, এই হার সঠিক। তবে তথ্যটি এখনও প্রকাশ্যে না আসায় তিনি নাম-পরিচয় জানাতে চাননি।

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে না বলতে চেয়েও এক স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, এ এলাকার কৃষিজমির দাম সাধারণত প্রতি বর্গমিটারে ১৪ মার্কিন ডলারের বেশি হয় না। তবে অন্য প্রদেশে এ হার প্রায় সময়ই বেশি হয়ে থাকে।

কমিউনিস্ট শাসিত ভিয়েতনামে কৃষিজমি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের জন্য কৃষকদেরকে ছোট ছোট প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জমি ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলে এই কৃষকদের তেমন কিছু বলার থাকে না।

এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবাদ হলেও তা সাধারনত ফলপ্রসূ হয় না। ক্ষতিপূরণের অর্থ রাষ্ট্র দিলেও এর খরচ বহন করে ডেভেলপাররা। রয়টার্সের হাতে আসা আকেটি নথি অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চাল সরবরাহ করার প্রস্তাবও দিয়েছে।

নামমাত্র ক্ষতিপূরণ নিয়ে যখন অনেক কৃষকই চিন্তিত, তখন প্রদেশের আইনজীবী ও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন- গলফ ক্লাব আরও ভাল চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং গ্রামবাসীদের সমৃদ্ধি বাড়বে।

৬৫ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা লে ভ্যান তু তার ছোট জমির জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। গল্ফ ক্লাবটি যেখানে তৈরি হবে তার কাছেই ভ্যান তু’র একটি খাবারের দোকান আছে। তিনি ভাবছেন, ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দোকানটি উন্নত করে রেস্তোরাঁ বানাবেন তিনি।

তিনি বলেন, গত অক্টোবরে গল্ফ ক্লাব প্রকল্পের ঘোষণা আসার পর থেকেই গ্রামে জমির দাম পাঁচগুণ বেড়েছে। তাছাড়া, স্থানীয় একটি শূকরের খামারও উঠে যাবে বলে খুশি তিনি। “তখন আর দুর্গন্ধ থাকবে না”, বলেন লে ভ্যান তু।

 

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

সামান্য ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে ভিয়েতনামে কৃষকদের জমিতে হচ্ছে ট্রাম্পের গলফ ক্লাব

আপডেট সময় ১১:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

 

ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষ তাকে চাষের জমি খালি করে দিতে বলার পরই থেকেই হুয়ংয়ের এই দশা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পরিবারের গল্ফ ক্লাব তৈরির জন্য হুয়ংকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে তার জমি। বিনিময়ে তিনি ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন মাত্র ৩,২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।

আগামী মাস থেকে এই গল্ফ রিসোর্টের কাজ শুরু হওয়ার কথা। হাজারো গ্রামবাসীর চাষের জমি অধিগ্রহণ করে তৈরি করা হবে এই ক্লাব। এই জমিগুলো দশকের পর দশক ধরে তাদের রুজি-রোজগারের পথ হয়ে ছিল।

আর এখন সেসব জমির বিনিময়ে তাদেরকে নামমাত্র ওই ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। হাতে আসা নথি ও সরাসরি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছয়জনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পের পরিবার পরিচালিত ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ সংস্থার হোটেল, আবাসন আছে। তবে ভিয়েতনামে এই প্রথম ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসায় যৌথ উদ্যোগে গল্ফ ক্লাব প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে।

উচ্চ শুল্ক এড়াতে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় দ্রুতই এই প্রকল্প অনুমোদন করে হ্যানয়।

প্রথমে এই প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ধরা হলেও ডেভেলপাররা এখন তা কমিয়ে আনছেন বলে জানিয়েছেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন।

গল্‌ফ ক্লাব তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ৯৯০ হেক্টর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ জমিতে মূলত বিভিন্ন ফলের চাষ হয়। স্থানীয় কৃষকরা এই ফল চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। জমি থেকে উৎখাত হলে কীভাবে পেট চলবে, তা নিয়ে চিন্তিত তারা।

বিশেষ করে বয়স্ক কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন, দেশের তারুণ্যনির্ভর সক্রিয় অর্থনীতিতে তারা বিকল্প জীবিকা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে পারেন।

৫০ বছর বয়সী কৃষক হুয়ংকে রাজধানী হ্যানয়ের কাছের হুং ইয়েন প্রদেশে তার ২০০ বর্গমিটার (২১৫২.৭৮ বর্গফুট) জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। বিনিময়ে তাকে যা দেওয়া হচ্ছে, তা ভিয়েতনামে একছরের গড় আয়ের চেয়েও কম।

হুয়ং বলেন, “গোটা গ্রাম এই প্রকল্প নিয়ে চিন্তিত। কারণ, এটি আমাদেরকে জমিহীন করবে এবং বেকার করে দেবে।”

ট্রাম্প পরিবার অবশ্য এই জমি অধিগ্রহণ বা গল্‌ফ ক্লাব নির্মাণ নিয়ে নাক গলাচ্ছে না। এই প্রকল্পের কাজ মূলত করছে ভিয়েতনামের রিয়েল এস্টেট সংস্থা ‘কিনব্যাক সিটি’ এবং এর অংশীদার সংস্থাগুলো।

এর আগে ব্র্যান্ড লাইসেন্সিংয়ের জন্য তারা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়া নথি এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

গল্‌ফ ক্লাব পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে এটি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ট্রাম্প পরিবারের হাতে। কিন্তু কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া বা বিনিয়োগের বিষয়ে তারা জড়িত থাকবে না।

ট্রাম্প বলেছেন, তার ব্যবসায়িক সম্পদ একটি ট্রাস্টে রাখা আছে। সেটি তার সন্তানরা পরিচালনা করে। তবে জুনে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এসব উৎসের আয় শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের কাছেই যায়।

রয়টার্স ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয়, হুং ইয়েন কর্তৃপক্ষ, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ও কিনব্যাক সিটির কাছে ক্ষতিপূরণের হার সম্পর্কে জানতে চেয়ে জবাব পায়নি।

জমির আকার ও অবস্থান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ করবে। এরপর আগামী মাসে তা আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জমি হারানোর মুখে থাকা পাঁচ কৃষক জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ১২ থেকে ৩০ মার্কিন ডলারের মধ্যে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছে।

তাছাড়া, উপড়ে ফেলা গাছের জন্য বাড়তি অর্থ এবং কয়েক মাসের জন্য চাল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রয়টার্সের পাওয়া নথির তথ্যের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে জানেন এমন একজনও বলেছেন, এই হার সঠিক। তবে তথ্যটি এখনও প্রকাশ্যে না আসায় তিনি নাম-পরিচয় জানাতে চাননি।

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে না বলতে চেয়েও এক স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, এ এলাকার কৃষিজমির দাম সাধারণত প্রতি বর্গমিটারে ১৪ মার্কিন ডলারের বেশি হয় না। তবে অন্য প্রদেশে এ হার প্রায় সময়ই বেশি হয়ে থাকে।

কমিউনিস্ট শাসিত ভিয়েতনামে কৃষিজমি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের জন্য কৃষকদেরকে ছোট ছোট প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জমি ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলে এই কৃষকদের তেমন কিছু বলার থাকে না।

এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবাদ হলেও তা সাধারনত ফলপ্রসূ হয় না। ক্ষতিপূরণের অর্থ রাষ্ট্র দিলেও এর খরচ বহন করে ডেভেলপাররা। রয়টার্সের হাতে আসা আকেটি নথি অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চাল সরবরাহ করার প্রস্তাবও দিয়েছে।

নামমাত্র ক্ষতিপূরণ নিয়ে যখন অনেক কৃষকই চিন্তিত, তখন প্রদেশের আইনজীবী ও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন- গলফ ক্লাব আরও ভাল চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং গ্রামবাসীদের সমৃদ্ধি বাড়বে।

৬৫ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা লে ভ্যান তু তার ছোট জমির জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। গল্ফ ক্লাবটি যেখানে তৈরি হবে তার কাছেই ভ্যান তু’র একটি খাবারের দোকান আছে। তিনি ভাবছেন, ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দোকানটি উন্নত করে রেস্তোরাঁ বানাবেন তিনি।

তিনি বলেন, গত অক্টোবরে গল্ফ ক্লাব প্রকল্পের ঘোষণা আসার পর থেকেই গ্রামে জমির দাম পাঁচগুণ বেড়েছে। তাছাড়া, স্থানীয় একটি শূকরের খামারও উঠে যাবে বলে খুশি তিনি। “তখন আর দুর্গন্ধ থাকবে না”, বলেন লে ভ্যান তু।

 

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম