০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“কিছু গণমাধ্যম এই বিভ্রান্তিকর উপাদানগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং এলআর গ্লোবালের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

‘সুনাম নষ্টের চেষ্টা’ হচ্ছে, অভিযোগ এলআর গ্লোবালের

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে, তাদের প্রতিযোগীরা, ‘অন্তত একজন সাংবাদিকের সহযোগিতায়’, গণমাধ্যমে ‘ভুল’ তথ্য ছড়াচ্ছে।

 

সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে, তাদের প্রতিযোগীরা, ‘অন্তত একজন সাংবাদিকের সহযোগিতায়’, গণমাধ্যমে ‘ভুল’ তথ্য ছড়াচ্ছে।

সোমবার এলআর গ্লোবালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কিছু গণমাধ্যম এই বিভ্রান্তিকর উপাদানগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং এলআর গ্লোবালের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

“এই ধরনের ভুল তথ্য প্রচারণা আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ব্যবসায়িক সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে, যার মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি করার প্রয়াস চলছে।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই প্রতিযোগী বা সাংবাদিকের নাম বলা হয়নি। কী ধরনের ‘ভুল তথ্য বা প্রচার’ চালানো হচ্ছে, সেটাও স্পষ্ট করা হয়নি।

সেখানে বলা হয়েছে, “এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণিত অভিযোগ কখনোই পাওয়া যায়নি। উত্থাপিত যে কোনো উদ্বেগ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৬ মার্চ তারিখে স্পষ্ট করা হয়েছিল।

“এলআর গ্লোবাল ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এবং এখনও চলমান একটি দীর্ঘস্থায়ী অবৈধ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচারণার সম্মুখীন হয়েছে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু সেবা প্রদানকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে।”

এলআর গ্লোবাল বলছে, “এই কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে—মিথ্যা অভিযোগ, ব্যবসা এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমে বাধা, সেবা প্রদানকারীদের অযৌক্তিকভাবে এলআর গ্লোবাল এবং এর তহবিলের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার, আমাদের এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড তহবিলের বাজারে ম্যানিপুলেশন, মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং অযৌক্তিক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ এবং নিয়ন্ত্রক অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এলআর গ্লোবালকে বাংলাদেশের বাজার থেকে বিতাড়িত করার প্রচেষ্টা।”

নিজেদের ব্যবসা পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, “আমাদের তহবিলের শুরু থেকে, এলআর গ্লোবাল পরিচালিত সকল তহবিল ২০০৮ সাল থেকে বাজারের মানদণ্ডের তুলনায় ৮৮.৫% বেশি পারফরম্যান্স দেখিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ৭০% এর বেশি লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত দিয়েছে, যা প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে দুর্নীতি এবং বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রতিকূল বিনিয়োগ পরিবেশ সত্ত্বেও আমাদের শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।”

হতাশা প্রকাশ করে সেখানে বলা হয়েছে, “এলআর গ্লোবালের মত বিনিয়োগ পেশাদাররা যখন তাদের প্রচেষ্টা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিয়ে কোম্পানিগুলোকে পুনর্বাসন করার জন্য কাজ করে, তখন এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু এলআর গ্লোবালের ক্ষতি করে না, বরং অন্যান্য পেশাদার বিনিয়োগ ব্যবস্থাপকদেরও নিরুৎসাহিত করে। গভীর দক্ষতার সাথে, আমরা শুধু কোম্পানিগুলোকে পুনর্বাসন করি না, বরং পুঁজিবাজারে উচ্চ-মানের নতুন স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসি।“এই গুরুতর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, গণমাধ্যম, অন্যান্য সেবা প্রদানকারী এবং এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে এলআর গ্লোবালের মতো বৈধ পেশাদারদের ক্ষতি করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কর্মকাণ্ডগুলো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ শিল্পে ব্যাপক এবং দূরবর্তী প্রভাব ফেলে।”

এলআর গ্লোবাল বলছে, “মিথ্যা এবং মানহানিকর বিবৃতি ছড়ানো কোনো নতুন ঘটনা নয়। একই ব্যক্তিরা ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে এলআর গ্লোবালের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে আসছে, ২০১৯-২০২০ সালে তাদের প্রচেষ্টা পুনরাবৃত্তি করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে, আমরা এই প্রচারণাগুলোর বিরুদ্ধে সফলভাবে প্রতিরোধ করেছি।

“আজ, আমাদের প্রতিযোগীরা আবারও গণমাধ্যমের সহায়তায় পুঁজিবাজারে এলআর গ্লোবালের নেতিবাচক চিত্র প্রকাশ করার চেষ্টা করছে, যার ফলে আমাদের সংস্থা এবং আমাদের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হচ্ছে।”

এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলআর গ্লোবাল বলেছে, “আমরা সম্মানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোসহ, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার এবং পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করছি। এটি করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারের অখণ্ডতা বজায় থাকবে।

“আমরা ব্যক্তি এবং অন্যদের উৎসাহিত করছি যেন তারা এই উপাদানগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং এলআর গ্লোবালের কাছে প্রকাশ করে যাতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়।”

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“কিছু গণমাধ্যম এই বিভ্রান্তিকর উপাদানগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং এলআর গ্লোবালের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

‘সুনাম নষ্টের চেষ্টা’ হচ্ছে, অভিযোগ এলআর গ্লোবালের

আপডেট সময় ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে, তাদের প্রতিযোগীরা, ‘অন্তত একজন সাংবাদিকের সহযোগিতায়’, গণমাধ্যমে ‘ভুল’ তথ্য ছড়াচ্ছে।

সোমবার এলআর গ্লোবালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কিছু গণমাধ্যম এই বিভ্রান্তিকর উপাদানগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং এলআর গ্লোবালের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

“এই ধরনের ভুল তথ্য প্রচারণা আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ব্যবসায়িক সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে, যার মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি করার প্রয়াস চলছে।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই প্রতিযোগী বা সাংবাদিকের নাম বলা হয়নি। কী ধরনের ‘ভুল তথ্য বা প্রচার’ চালানো হচ্ছে, সেটাও স্পষ্ট করা হয়নি।

সেখানে বলা হয়েছে, “এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণিত অভিযোগ কখনোই পাওয়া যায়নি। উত্থাপিত যে কোনো উদ্বেগ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৬ মার্চ তারিখে স্পষ্ট করা হয়েছিল।

“এলআর গ্লোবাল ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এবং এখনও চলমান একটি দীর্ঘস্থায়ী অবৈধ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচারণার সম্মুখীন হয়েছে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু সেবা প্রদানকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে।”

এলআর গ্লোবাল বলছে, “এই কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে—মিথ্যা অভিযোগ, ব্যবসা এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমে বাধা, সেবা প্রদানকারীদের অযৌক্তিকভাবে এলআর গ্লোবাল এবং এর তহবিলের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার, আমাদের এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড তহবিলের বাজারে ম্যানিপুলেশন, মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং অযৌক্তিক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ এবং নিয়ন্ত্রক অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এলআর গ্লোবালকে বাংলাদেশের বাজার থেকে বিতাড়িত করার প্রচেষ্টা।”

নিজেদের ব্যবসা পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, “আমাদের তহবিলের শুরু থেকে, এলআর গ্লোবাল পরিচালিত সকল তহবিল ২০০৮ সাল থেকে বাজারের মানদণ্ডের তুলনায় ৮৮.৫% বেশি পারফরম্যান্স দেখিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ৭০% এর বেশি লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত দিয়েছে, যা প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে দুর্নীতি এবং বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রতিকূল বিনিয়োগ পরিবেশ সত্ত্বেও আমাদের শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।”

হতাশা প্রকাশ করে সেখানে বলা হয়েছে, “এলআর গ্লোবালের মত বিনিয়োগ পেশাদাররা যখন তাদের প্রচেষ্টা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিয়ে কোম্পানিগুলোকে পুনর্বাসন করার জন্য কাজ করে, তখন এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু এলআর গ্লোবালের ক্ষতি করে না, বরং অন্যান্য পেশাদার বিনিয়োগ ব্যবস্থাপকদেরও নিরুৎসাহিত করে। গভীর দক্ষতার সাথে, আমরা শুধু কোম্পানিগুলোকে পুনর্বাসন করি না, বরং পুঁজিবাজারে উচ্চ-মানের নতুন স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসি।“এই গুরুতর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, গণমাধ্যম, অন্যান্য সেবা প্রদানকারী এবং এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে এলআর গ্লোবালের মতো বৈধ পেশাদারদের ক্ষতি করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কর্মকাণ্ডগুলো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ শিল্পে ব্যাপক এবং দূরবর্তী প্রভাব ফেলে।”

এলআর গ্লোবাল বলছে, “মিথ্যা এবং মানহানিকর বিবৃতি ছড়ানো কোনো নতুন ঘটনা নয়। একই ব্যক্তিরা ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে এলআর গ্লোবালের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে আসছে, ২০১৯-২০২০ সালে তাদের প্রচেষ্টা পুনরাবৃত্তি করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে, আমরা এই প্রচারণাগুলোর বিরুদ্ধে সফলভাবে প্রতিরোধ করেছি।

“আজ, আমাদের প্রতিযোগীরা আবারও গণমাধ্যমের সহায়তায় পুঁজিবাজারে এলআর গ্লোবালের নেতিবাচক চিত্র প্রকাশ করার চেষ্টা করছে, যার ফলে আমাদের সংস্থা এবং আমাদের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হচ্ছে।”

এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলআর গ্লোবাল বলেছে, “আমরা সম্মানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোসহ, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার এবং পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করছি। এটি করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারের অখণ্ডতা বজায় থাকবে।

“আমরা ব্যক্তি এবং অন্যদের উৎসাহিত করছি যেন তারা এই উপাদানগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং এলআর গ্লোবালের কাছে প্রকাশ করে যাতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়।”

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম