০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
“রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন কোনো পোস্ট বা মন্তব্য যেন শিক্ষকরা না করেন, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।”

সোশাল মিডিয়া: প্রাথমিক শিক্ষকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি: রয়টার্স

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামাজিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটি।

এক্ষেত্রে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা’ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও উপপরিচালক (বই বিতরণ) তাপস কুমার অধিকারী বৃহস্পতিবার দুপুরে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতন ও দায়িত্বশীল থাকেন, সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা মনিটরিং টিমগুলোকে প্রতি মাসে রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। এটা রুটিন কাজ।

“আমরা শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাই। রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন কোনো পোস্ট বা মন্তব্য যেন শিক্ষকরা না করেন, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।”

২০১৯ সালে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নির্দেশিকা জারি করে সরকার। আর পরের বছরের ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরো বলেন কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে কোনো কিছু পোস্ট করলে তার বিবরণ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করে প্রতিমাসে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমগুলোকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

তাপস কুমার অধিকারী জানান, ওই নির্দেশিকা ও পরিপত্র অনুসারে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ৭ সদস্যের, জেলা পর্যায়ের ৬ সদস্যের এবং উপজেলা পর্যায়ের ৬ সদস্যের মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। ওই টিমগুলোকে তখনই প্রতি মাসে সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

“আসলে আমাদের কর্মকর্তারা বদলি হলে নতুন কর্মকর্তারা টিমগুলোর দায়িত্ব পান, তাদের রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়টি নতুন করে মনে করিয়া দেওয়া হয়েছে। বুধবার অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বিভাগীয় উপপরিচালকদের পাঠানো হয়।”

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

“রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন কোনো পোস্ট বা মন্তব্য যেন শিক্ষকরা না করেন, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।”

সোশাল মিডিয়া: প্রাথমিক শিক্ষকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান

আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামাজিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটি।

এক্ষেত্রে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা’ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও উপপরিচালক (বই বিতরণ) তাপস কুমার অধিকারী বৃহস্পতিবার দুপুরে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতন ও দায়িত্বশীল থাকেন, সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা মনিটরিং টিমগুলোকে প্রতি মাসে রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। এটা রুটিন কাজ।

“আমরা শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাই। রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন কোনো পোস্ট বা মন্তব্য যেন শিক্ষকরা না করেন, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।”

২০১৯ সালে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নির্দেশিকা জারি করে সরকার। আর পরের বছরের ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরো বলেন কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে কোনো কিছু পোস্ট করলে তার বিবরণ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করে প্রতিমাসে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমগুলোকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

তাপস কুমার অধিকারী জানান, ওই নির্দেশিকা ও পরিপত্র অনুসারে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ৭ সদস্যের, জেলা পর্যায়ের ৬ সদস্যের এবং উপজেলা পর্যায়ের ৬ সদস্যের মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। ওই টিমগুলোকে তখনই প্রতি মাসে সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

“আসলে আমাদের কর্মকর্তারা বদলি হলে নতুন কর্মকর্তারা টিমগুলোর দায়িত্ব পান, তাদের রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়টি নতুন করে মনে করিয়া দেওয়া হয়েছে। বুধবার অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বিভাগীয় উপপরিচালকদের পাঠানো হয়।”

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম