স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১টি বাজেটের ইতিবৃত্ত
- আপডেট সময় ১০:০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
- / ১১১ বার পড়া হয়েছে
আর কিছুক্ষণ পরেই দেশের ইতিহাসের ৫২তম বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রীর এটি পঞ্চম বাজেট। সরকারের যে কর্মকাণ্ডের উপর সব মহলের মোটামুটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে তা হলো জাতীয় বাজেট। নতুন কী থাকছে, কিসের দাম বাড়ছে, কিসের দাম কমছে সেদিকে থাকে সাধারণ মানুষের মূল আগ্রহ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক ব্যয়ের হিসাব থাকবে এই বাজেটে। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’।
৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার অর্থনীতি নিয়ে ১৯৭১ সালে যাত্রা শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ। এর পরের বছর ’৭২ সালে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছরের ব্যবধানে উত্থাপিত হতে যাওয়া দেশের ৫২তম বাজেট ৯৬৯ গুণ বড়।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১টি বাজেট ঘোষণা করেছে। এসব বাজেটের আকার ও পেশকারীর নাম—
১. তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর ৭৮৬ কোটি টাকা, ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর ৯৯৫ কোটি টাকা, ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর ১ হাজার ৮৪.৩৭ কোটি টাকা।
২. ড. আজিজুর রহমান ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর ১ হাজার ৫৪৯.১৯ কোটি টাকা।
৩. মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর ১ হাজার ৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।
৪. ড. এম এন হুদা ১৯৭৯-৮০ অর্থবছর ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা।
৫. এম সাইফুর রহমান ১৯৮০-৮১ অর্থবছর ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা, ১৯৮১-৮২ অর্থবছর ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা।
৬. আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-৮৩ অর্থবছর ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা, ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।
৭. এম সাইদুজ্জামান ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছর ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা, ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছর ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা, ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা।
৮. মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা, ১৯৮৯-৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা, ১৯৯০-৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা।
৯. এম সাইফুর রহমান ১৯৯১-৯২ অর্থবছর ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছর ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা, ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছর ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
১০. এসএএমএস কিবরিয়া ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছর ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, ১৯৯৯-০০ অর্থবছর ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা, ২০০০-০১ অর্থবছর ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা, ২০০১-০২ অর্থবছর ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা।
১১. এম সাইফুর রহমান ২০০২-০৩ অর্থবছর ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছর ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থবছর ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থবছর ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা, ২০০৬-০৭ অর্থবছর ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা।
১২. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ অর্থবছর ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থবছর ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।
১৩. আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছর ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছর ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছর ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছর ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছর ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছর ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছর ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছর ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছর ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছর ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
১৪. আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছর ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছর ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছর ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছর ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
এদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এ বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।