চীনে কুচকাওয়াজের মঞ্চের দিকে পাশাপাশি হেঁটে যাওয়ার সময়ে মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আর চীনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে অঙ্গ-প্রতিস্থাপন ও অমরত্ব নিয়ে আলোচনা।
‘১৫০ বছর বাঁচতে পরে মানুষ’, শি-পুতিন আড্ডা ধরা পড়ল মাইকে

- আপডেট সময় ০১:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের জমকালো আয়োজন এবং চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতার এক মঞ্চে হাজির হওয়া সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে দুই নেতার ‘অমরত্বের আড্ডা’।
কুচকাওয়াজের মঞ্চের দিকে পাশাপাশি হাঁটার সময় চালু থাকা মাইক্রোফোনে ধরা পড়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেদের মধ্যে আলাপ করছেন অঙ্গ-প্রতিস্থাপন, দীর্ঘায়ু আর অমরত্বের সম্ভাবনা নিয়ে।
বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে এই দুই নেতা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে ছিলেন।
কুচকাওয়াজের জন্য চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই মঞ্চের দিকে যাওয়ার সময়ই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি-র সরাসরি সম্প্রচারে পুতিনের দোভাষীর কণ্ঠ ধরা পড়ে।
দোভাষীকে বলতে শোনা যায়, “বায়োটেকনোলজি ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে… মানব অঙ্গ অবিরাম প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। যত বেশি বাঁচবেন, তত তরুণ হয়ে উঠবেন, এমনকি অমরত্বও অর্জন করা যেতে পারে।”
জবাবে অফ ক্যামেরায় থাকা শি জিনপিংকে বলতে শোনা যায়, “এই শতাব্দীতেই মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে—এমনও ভবিষ্যদ্বাণী করেন কেউ কেউ।”
শি এর পাশেই হাঁটছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। তিনি এই মন্তব্য শুনে হেসে ওঠেন। তবে শি এর কথাটি তার জন্য অনুবাদ করা হয়েছিল কি না সেটি স্পষ্ট নয়।
ওই সময় পুতিনের কণ্ঠ সিসিটিভি ক্লিপে রুশ ভাষায় পরিষ্কারভাবে শোনা যায়নি। তবে শি এবং পুতিনের ওই কথোপকথন চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি ও সিজিটিএন, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিতে সরাসরি প্রচার করা হয়।
চীনের বেতার ও টিভি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই আলাপের সিসিটিভি ফুটেজের সম্প্রচার অনলাইনে দেখা হয়েছে ১৯০ কোটিরও বেশি বার, আর টেলিভিশনে দেখেছেন ৪০ কোটির বেশি দর্শকশ্রোতা।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুতিনও এই আলাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আমরা আধুনিক স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ চিকিৎসার নানা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছিলাম। এসব অগ্রগতি মানবজাতিকে আশা দিচ্ছে যে, সক্রিয় জীবন একসময় আজকের চেয়ে ভিন্ন মাত্রা পাবে।”
বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম