১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৮২ লাখ টাকার সোনাসহ শাহজালালে গাড়িচালক আটক

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৮৯ বার পড়া হয়েছে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়িচালক সালেহকুজ্জামানকে ৫টি সোনার বার ও ৫০টি স্বর্ণের চেনসহ আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি জানান, বিমানবন্দরে ২১ নাম্বার গেট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন ড্রাইভার সালেকুজ্জামান।

এরপর ১ নাম্বার লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে সোনার বার এবং স্বর্ণের চেনগুলো সংগ্রহ করেন। এরপর এই স্বর্ণগুলো নিয়ে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তার আচরণ এবং মুভমেন্ট দেখে এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়। গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়।

জিয়াউল হক আরও জানান, ক্যাবের গাড়িচালককে এপিবিএনের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরবর্তীতে তিনি সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন। এরপর তার শরীর তল্লাশী করলে তিনি নিজ হাতেই স্বর্ণের প্যাকেটগুলো বের করে দেন। সোনারবারগুলো কালো স্কচটেপে মোড়ানো ছিল এবং স্বর্ণের চেনগুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ছিল।

৫টি সোনার বার (৯৯.৯৬ গ্রাম করে প্রতিটি বার) পাওয়া যায়। সোনার বারগুলোর ওজন ৪৯৯.৬২ গ্রাম, স্বর্ণের চেন এবং ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩.৯০ গ্রাম। সবমিলে ৮২৩.৫২ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া সোনার বার এবং চেনের বিষয়ে ফৌজদারি আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

৮২ লাখ টাকার সোনাসহ শাহজালালে গাড়িচালক আটক

আপডেট সময় ০৫:৪০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়িচালক সালেহকুজ্জামানকে ৫টি সোনার বার ও ৫০টি স্বর্ণের চেনসহ আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি জানান, বিমানবন্দরে ২১ নাম্বার গেট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন ড্রাইভার সালেকুজ্জামান।

এরপর ১ নাম্বার লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে সোনার বার এবং স্বর্ণের চেনগুলো সংগ্রহ করেন। এরপর এই স্বর্ণগুলো নিয়ে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তার আচরণ এবং মুভমেন্ট দেখে এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়। গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়।

জিয়াউল হক আরও জানান, ক্যাবের গাড়িচালককে এপিবিএনের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরবর্তীতে তিনি সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন। এরপর তার শরীর তল্লাশী করলে তিনি নিজ হাতেই স্বর্ণের প্যাকেটগুলো বের করে দেন। সোনারবারগুলো কালো স্কচটেপে মোড়ানো ছিল এবং স্বর্ণের চেনগুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ছিল।

৫টি সোনার বার (৯৯.৯৬ গ্রাম করে প্রতিটি বার) পাওয়া যায়। সোনার বারগুলোর ওজন ৪৯৯.৬২ গ্রাম, স্বর্ণের চেন এবং ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩.৯০ গ্রাম। সবমিলে ৮২৩.৫২ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া সোনার বার এবং চেনের বিষয়ে ফৌজদারি আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।