“মাগরিবের পর থেকে সিন্ডিকেটের মতো করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু সে আমাদের কেউ না।”
ডাকসু: রিটকারীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ব্যক্তি শিবিরের নন, দাবি ফরহাদের

- আপডেট সময় ০৪:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে রিট আবেদন করা শিক্ষার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া ব্যক্তি ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেউ নন বলে দাবি করেছে সংগঠনটির মনোনীত প্যানেল— ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
সোমবার রাতে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্যানেলটির জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, “আজ ওই শিক্ষার্থীর (হুমকিাদাতা) ফিডব্যাক আসছে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তার মানে সে ছাত্রশিবিরের কেউ হওয়ার কথা না। যদি শিবিরের হতো, তাহলে কালকেই (রোববার) হুমকি দিত।
“এটুকু আইকিউ যদি অ্যাক্টিভিস্টদের না থাকে, তাহলে খুবই দুঃখজনক। যারা আমাদের নিয়ে এ ধরনের বাজে ফ্রেমিং করছেন, তাদের ব্যাপারে নিন্দা জানাচ্ছি।”
এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম।
৫ অগাস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন, এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদনে।
সোমবার তার রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে এবং আদেশের ১৫ দিনের মধ্যে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে।
ওই আদেশের পর শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করায় নির্বাচনের ‘বাধা’ কেটে যায়।
ফাহমিদাকে নিয়ে সামাজিক সোমবার বিকালে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলী হুসেন।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এ আবাসিক শিক্ষার্থী পোস্টে লেখেন, “হাই কোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত।
“কেউ এসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে ওপরের কথাটা তার জন্যও প্রযোজ্য।”
তার এ পোস্টের পর থেকে ছাত্রদল ও বেশ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন অভিযোগ করে, আলী হুসেন ছাত্রশিবিরের কর্মী।
এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনে এস এম ফরহাদ বলেন, “জহুরুল হক হলের যে শিক্ষার্থী বাজে ভাষায় অ্যাপ্রোচ করেছে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ নিতে হবে।
“মাগরিবের পর থেকে সিন্ডিকেটের মতো করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু সে আমাদের কেউ না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম