“নেতা-কর্মীদের প্রতি আমাদের বার্তা হল, জাতীয় পার্টিকে আমরা ভাঙতে দেব না, আমরা কাউন্সিল করতে তাদের বাধ্য করব,” বলেন তিনি।
জিএম কাদেরকে কাউন্সিলের চ্যালেঞ্জ জাতীয় পার্টির পদচ্যুত নেতাদের

- আপডেট সময় ০৬:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পার্টি থেকে মহাসচিব ও দুই সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দিয়ে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাকে ‘বেআইনি’ দাবি করেছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জাতীয় পার্টি থেকে মহাসচিব ও দুই সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দিয়ে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাকে ‘বেআইনি’ দাবি করেছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তারা জাতীয় পার্টিতে ‘স্বপদেই বহাল’ আছেন এবং দল ছাড়বেন না বলেও দাবি করে অব্যাহতি পাওয়া এই কো-চেয়ারম্যান বলেন, কাউন্সিল থেকেই সব সিদ্ধান্ত আসতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম বলেন, “২৮ তারিখের কোরামবিহীন প্রেসিডিয়াম বৈঠকটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক ডাকা হয়নি। সেই প্রেসিডিয়ামের মিটিংয়ের দোহাই দিয়ে যে সিদ্ধান্ত উনি (জিএম কাদের) নিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রূপে বেআইনি এবং অবৈধ।
“সুতরাং আমরা সকলে পার্টিতে স্বপদে বহাল আছি এবং পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুই আছেন।”
অব্যহতিপত্রে, পার্টির বিরুদ্ধে কাজ করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “পার্টির বিরুদ্ধে আমরা কোনো কাজ করিনি।”
জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাংশের বিদ্রোহের মধ্যে নতুন মহাসচিব বেছে নেওয়ার পর সোমবার জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং দুই কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মজিবুর রহমান চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে বলা হয়, গত ২৫ জুন দলের মতবিনিময় সভায় সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মজিবুর রহমান চুন্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এর তিন দিন পর গত ২৮ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এই তিনজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
”এমতাবস্থা পার্টির চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ পার্টির সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এ আদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।”
এর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারের কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের সামনে আসেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, মজিবুল হক চুন্নুসহ অতীতে অব্যহতি পাওয়া কাজী ফিরোজ রশীদ (যিনি জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ অংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান)।
‘জিএম কাদের প্রতি আহ্বান’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আমরা এখনো বলব, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাউন্সিল করি। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত করবো কে থাকবেন না থাকবেন। আপনি তো পার্টির চেয়ারম্যান আছেন। কাউন্সিলে সব হবে। কাউন্সিলই দলের সর্বোচ্চ অঙ্গ।
“এখনো সময় আছে, আমরা পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই, পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকুক। অনতিবিলম্বে কাউন্সিল ডাকুন… যেসব বিষয় আমরা তুলেছি সেগুলো কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হোক এবং কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এগুলোর সমাধান হবে।”
দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সোমবার রাতে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাউন্সিল ঘোষণা করার পরে কাউকে সরানো যায় না। এই সিদ্ধান্ত কাউন্সিল থেকেই আসতে হবে। কাউকেই কারণ দর্শানো নোটিস ব্যতিত অব্যাহতি দেওয়া যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম