সোহাগ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন বরগুনার বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম মণি।
মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

- আপডেট সময় ০৬:০২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়ায় সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগমের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মণি।
ঢাকার মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার ১৩ জুলাই বিকালে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়ায় সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগমের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মণি।
এ সময় তিনি সোহাগের পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসঙ্গে এ ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন নূরুল ইসলাম মণি।
এর আগে স্থানীয় কাকচিড়া হাইস্কুল মাঠে এক পথসভায় মণি বলেন, “বর্তমানে দেশ এক সংকটময় সময় পার করছে। একটি মহল যেকোনো ঘটনাকে বিএনপির দায় বলে প্রচার করছে। যারা এটি করেছে, তারা দেশে সময়মতো একটি নির্বাচন হোক তা চায় না। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক তা চায় না।
“দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি গোষ্ঠী আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বলছে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ভারতসহ পৃথিবীর বহু উন্নত রাষ্ট্রে আনুপাতিক হারে নির্বাচন হয় না। এটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের একটি অপচেষ্টা মাত্র।”
মিটফোর্ডে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে সোহাগ হত্যার ঘটনাকে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে চাঁদাবাজি বলে প্রচার করছে দাবি করে বিএনপি নেতা মণি বলেন, মহলটি সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে।
সোহাগ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সরকারের কাছে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এই বিএনপি নেতা।
পরে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সোহাগের স্ত্রী লাকী বেগম ও মেয়ে সোহানা এবং ছেলে সোহানের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন নূরুল ইসলাম মণি।
স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে লাকী বেগম বলেন, “আমি আর কিছু চাই না, আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমার মত আর কেউ যাতে স্বামী হারা না হয়। আর কারো সন্তান জেনো বাবা হারা না হয়।
“শাস্তি চাই, নিরাপত্তা চাই আর কিছু চাই না। আমার ছেলে-মেয়ে দুটোকে যেন মানুষ করতে পারি। আপনাদের কাছে হাতজোড় করে বলছি, সেই ব্যবস্থা করে দেন।”
বরগুনা প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম