০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মাধ্যমিক স্তরে বাধ্যতামূলক আইসিটি পাঠ্যক্রম চালুর উদ্দেশ্য ছিল— ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা। অথচ, বাস্তবে নেই ব্যবহারিক ক্লাস, নেই কম্পিউটার ল্যাব, শুধু মুখস্থের খেলা। শিক্ষার্থীরা রয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি অজ্ঞ।

মাধ্যমিকে আইসিটি পড়ছে সবাই, শিখছে কে?

আলাউল হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজও কম্পিউটার ল্যাব নেই। যেসব স্কুলে নামমাত্র ল্যাব আছে, সেখানেও নেই পর্যাপ্ত কম্পিউটার, নেই কোনো যত্ন। ছবি: এআই

 

মাধ্যমিক স্তরে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত করা। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। শহর হোক বা মফস্বল, কোথাও এই বিষয়ের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে, এই পাঠ্যবিষয় শিক্ষার্থীদের কাছে নিছক মুখস্থ বিদ্যায় পরিণত হয়েছে, যার বাস্তব জীবনের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই।

তত্ত্বীয় পাঠ্যবইয়ে যেসব বিষয় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে যুগোপযোগী এবং আন্তর্জাতিক মানের। ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা শেখে কম্পিউটার পরিচিতি, অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার, ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, ডিজিটাল কনটেন্ট ইত্যাদি। সপ্তম শ্রেণিতে আসে কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ক্লাউড কম্পিউটিং, নেটওয়ার্কিং, সাইবার সিকিউরিটি। অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু হয় প্রোগ্রামিং ধারণা, স্ক্র্যাচ বা পাইথনের প্রাথমিক বিষয়, মাল্টিমিডিয়া ও গ্রাফিক্স। নবম-দশম শ্রেণিতে শেখানো হয় এসকিউএল কোয়েরি, পাইথন বা সি প্রোগ্রামিংয়ের শর্ত, লুপ, ফাংশন থেকে শুরু করে ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পর্যন্ত। এটি একদিকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী উদ্যোগ, কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে এটি একপ্রকার ব্যঙ্গাত্মক প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

তত্ত্বগতভাবে যা পড়ানো হচ্ছে, তার ছিটেফোঁটাও শিক্ষার্থীরা বাস্তবে দেখছে না, বুঝছে না। আইসিটি বিষয়টি বাস্তব জীবনে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা বোঝাতে হলে শিক্ষার্থীদের হাতে কম্পিউটার তুলে দিতে হতো, ইন্টারঅ্যাকটিভ ল্যাব সেশনের ব্যবস্থা করতে হতো, হ্যান্ডস-অন অভিজ্ঞতা দিতে হতো। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজও কম্পিউটার ল্যাব নেই। যেসব স্কুলে নামমাত্র ল্যাব আছে, সেখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার নেই। অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহকৃত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রধান শিক্ষক বা প্রভাবশালী শিক্ষকদের বাসায় থাকে, বছরের পর বছর ব্যক্তিগত ব্যবহারে পড়ে থাকে, শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য থাকে না।

এই পরিস্থিতিতে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। অনেক স্কুলে পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেনের প্রথা চলে। শিক্ষার্থী প্রতি নির্দিষ্ট অংকের টাকা নিয়ে পূর্ণ নম্বর লিখে দেওয়া হয়। কোনো ব্যবহারিক ক্লাস ছাড়াই শিক্ষার্থীরা উচ্চ নম্বর পায়, কিন্তু দক্ষতাহীন থেকে যায়, মুখস্থ বিদ্যায় আটকে থাকে। অধিকাংশ শিক্ষকের কম্পিউটার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। এনটিআরসিএ-এর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক জাল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, যারা নিজেরাও জানেন না কীভাবে ফোল্ডার তৈরি করতে হয়।

আইসিটি পাঠ্যক্রম প্রণয়নকারী বিশেষজ্ঞ প্যানেল দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বোর্ড, প্রজেক্টর, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—এই দাবিগুলো ঢাকাকেন্দ্রিক কিছু নামী স্কুল বা সরকারি প্রকল্পের রিপোর্টে সীমাবদ্ধ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর তো দূর, একটি সচল মনিটরও পাওয়া যায় না। শ্রেণিকক্ষে নেই ডিজিটাল বোর্ড, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট সংযোগ। তাহলে এই মাল্টিমিডিয়া শিক্ষার স্বপ্ন কার স্বার্থে?

যদি বলা হয়, ৫০টি নামকরা স্কুল ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী আইসিটির বাস্তব সুবিধা পায় না, তাহলে এই বিষয়ের বাধ্যতামূলকতার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি। যারা বলেন, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাসের কপি সংগ্রহ করে, তারা কি জানেন কত শতাংশ শিক্ষার্থীর নিজস্ব স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট নেই? পাবনা জেলা স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্কুলেও যেখানে কার্যকর কম্পিউটার ল্যাব নেই, সেখানে উপজেলার হাজার হাজার স্কুলের চিত্র কতটা করুণ, তা বলাই বাহুল্য।

আরেকটি সমস্যা হলো—আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রযুক্তি দক্ষতার পরিবর্তে অপব্যবহারে লিপ্ত হচ্ছে। শহর-মফস্বলে ভেদাভেদ নেই; অভিভাবকরা যখন শোনেন তাদের সন্তান অনলাইন ক্লাস করছে, তখন অনেকেই জানেন না, ওই ক্লাসের নামে তারা ইউটিউব, ফেইসবুক বা গেমে ব্যস্ত। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৪০% মাধ্যমিক শিক্ষার্থী স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যার অধিকাংশই অনিয়ন্ত্রিত। অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে স্মার্টফোন হাতে পাওয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও অসহায়। তারা জানেন না কীভাবে সন্তানের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করবেন। ফলে পরিবারে বিশ্বাসের সংকট তৈরি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও দায়িত্ব নিচ্ছে না, কারণ তাদের নিজেদেরই নেই অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষক বা নির্দেশনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাধ্যমিক স্তরে বাধ্যতামূলক আইসিটি পাঠ্যক্রম চালুর উদ্দেশ্য ছিল— ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা। অথচ, বাস্তবে নেই ব্যবহারিক ক্লাস, নেই কম্পিউটার ল্যাব, শুধু মুখস্থের খেলা। শিক্ষার্থীরা রয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি অজ্ঞ।

মাধ্যমিকে আইসিটি পড়ছে সবাই, শিখছে কে?

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

মাধ্যমিক স্তরে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত করা। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। শহর হোক বা মফস্বল, কোথাও এই বিষয়ের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে, এই পাঠ্যবিষয় শিক্ষার্থীদের কাছে নিছক মুখস্থ বিদ্যায় পরিণত হয়েছে, যার বাস্তব জীবনের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই।

তত্ত্বীয় পাঠ্যবইয়ে যেসব বিষয় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে যুগোপযোগী এবং আন্তর্জাতিক মানের। ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা শেখে কম্পিউটার পরিচিতি, অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার, ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, ডিজিটাল কনটেন্ট ইত্যাদি। সপ্তম শ্রেণিতে আসে কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ক্লাউড কম্পিউটিং, নেটওয়ার্কিং, সাইবার সিকিউরিটি। অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু হয় প্রোগ্রামিং ধারণা, স্ক্র্যাচ বা পাইথনের প্রাথমিক বিষয়, মাল্টিমিডিয়া ও গ্রাফিক্স। নবম-দশম শ্রেণিতে শেখানো হয় এসকিউএল কোয়েরি, পাইথন বা সি প্রোগ্রামিংয়ের শর্ত, লুপ, ফাংশন থেকে শুরু করে ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পর্যন্ত। এটি একদিকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী উদ্যোগ, কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে এটি একপ্রকার ব্যঙ্গাত্মক প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

তত্ত্বগতভাবে যা পড়ানো হচ্ছে, তার ছিটেফোঁটাও শিক্ষার্থীরা বাস্তবে দেখছে না, বুঝছে না। আইসিটি বিষয়টি বাস্তব জীবনে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা বোঝাতে হলে শিক্ষার্থীদের হাতে কম্পিউটার তুলে দিতে হতো, ইন্টারঅ্যাকটিভ ল্যাব সেশনের ব্যবস্থা করতে হতো, হ্যান্ডস-অন অভিজ্ঞতা দিতে হতো। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজও কম্পিউটার ল্যাব নেই। যেসব স্কুলে নামমাত্র ল্যাব আছে, সেখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার নেই। অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহকৃত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রধান শিক্ষক বা প্রভাবশালী শিক্ষকদের বাসায় থাকে, বছরের পর বছর ব্যক্তিগত ব্যবহারে পড়ে থাকে, শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য থাকে না।

এই পরিস্থিতিতে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। অনেক স্কুলে পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেনের প্রথা চলে। শিক্ষার্থী প্রতি নির্দিষ্ট অংকের টাকা নিয়ে পূর্ণ নম্বর লিখে দেওয়া হয়। কোনো ব্যবহারিক ক্লাস ছাড়াই শিক্ষার্থীরা উচ্চ নম্বর পায়, কিন্তু দক্ষতাহীন থেকে যায়, মুখস্থ বিদ্যায় আটকে থাকে। অধিকাংশ শিক্ষকের কম্পিউটার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। এনটিআরসিএ-এর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক জাল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, যারা নিজেরাও জানেন না কীভাবে ফোল্ডার তৈরি করতে হয়।

আইসিটি পাঠ্যক্রম প্রণয়নকারী বিশেষজ্ঞ প্যানেল দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বোর্ড, প্রজেক্টর, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—এই দাবিগুলো ঢাকাকেন্দ্রিক কিছু নামী স্কুল বা সরকারি প্রকল্পের রিপোর্টে সীমাবদ্ধ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর তো দূর, একটি সচল মনিটরও পাওয়া যায় না। শ্রেণিকক্ষে নেই ডিজিটাল বোর্ড, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট সংযোগ। তাহলে এই মাল্টিমিডিয়া শিক্ষার স্বপ্ন কার স্বার্থে?

যদি বলা হয়, ৫০টি নামকরা স্কুল ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী আইসিটির বাস্তব সুবিধা পায় না, তাহলে এই বিষয়ের বাধ্যতামূলকতার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি। যারা বলেন, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাসের কপি সংগ্রহ করে, তারা কি জানেন কত শতাংশ শিক্ষার্থীর নিজস্ব স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট নেই? পাবনা জেলা স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্কুলেও যেখানে কার্যকর কম্পিউটার ল্যাব নেই, সেখানে উপজেলার হাজার হাজার স্কুলের চিত্র কতটা করুণ, তা বলাই বাহুল্য।

আরেকটি সমস্যা হলো—আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রযুক্তি দক্ষতার পরিবর্তে অপব্যবহারে লিপ্ত হচ্ছে। শহর-মফস্বলে ভেদাভেদ নেই; অভিভাবকরা যখন শোনেন তাদের সন্তান অনলাইন ক্লাস করছে, তখন অনেকেই জানেন না, ওই ক্লাসের নামে তারা ইউটিউব, ফেইসবুক বা গেমে ব্যস্ত। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৪০% মাধ্যমিক শিক্ষার্থী স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যার অধিকাংশই অনিয়ন্ত্রিত। অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে স্মার্টফোন হাতে পাওয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও অসহায়। তারা জানেন না কীভাবে সন্তানের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করবেন। ফলে পরিবারে বিশ্বাসের সংকট তৈরি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও দায়িত্ব নিচ্ছে না, কারণ তাদের নিজেদেরই নেই অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষক বা নির্দেশনা।