থাইল্যান্ডের দাবি, কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন মাইন পুঁতেছে। নম পেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থলমাইন নিয়ে বিরোধ, বাড়ছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া উত্তেজনা

- আপডেট সময় ০৬:২১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
টহল দেওয়া অবস্থায় তিন সেনা আহত হওয়ার পর থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে বিতর্কিত এক সীমান্ত এলাকায় নতুন করে স্থলমাইন পোঁতার অভিযোগ এনেছে।
নম পেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ওই সেনারা টহলের নির্ধারিত পথ থেকে সরে গিয়েছিল এবং কয়েক দশকের যুদ্ধের সময়কার পুরনো এক মাইনে তারা আহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই থাইল্যান্ডের উবোন রাচাথানি ও কম্বোডিয়ার প্রাহ ভিহেয়ার প্রদেশের মাঝে বিতর্কিত এক সীমান্ত এলাকার থাই অংশে নিয়মিত টহলের সময় একটি স্থলমাইনের বিস্ফোরণে তিন থাই সেনা আহত হন।
আহতদের মধ্যে একজন পা হারিয়েছেন।
এরপরই থাইল্যান্ড দাবি তোলে, কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে মাইন পুঁতেছে।
রোববার কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা অস্বীকার করে বলেছে, থাই সেনারা নির্ধারিত টহল পথ থেকে সরে গিয়ে এমন জায়গায় চলে গিয়েছিলেন, যেখানে অবিস্ফোরিত মাইন রয়েছে।
কম্বোডিয়া গত শতকের শেষ দিকে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের মধ্যে ছিল, এ কারণে তাদের সীমান্ত এলাকাগুলোতে এখনও বিপুল সংখ্যক অবিস্ফোরিত মাইন ও গোলা পাওয়া যায়।
পরে সোমবার থাই সেনাবাহিনী জানায়, তিন সেনা যেখানে আহত হয়েছে ওই এলাকায় গত ১৮ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তারা ১০টি রাশিয়ার তৈরি পিএমএন-২ ধরনের নতুন পোঁতা স্থলমাইন পেয়েছে। এ ধরনের মাইন থাইল্যান্ডের ভাণ্ডারে নেই, তারা ব্যবহারও করে না।
“এটি থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালার চরম অবমাননা,” ব্যাংককে সোমবার থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র মারাতি নালিতা আন্দামো এমনটাই বলেছেন।
কম্বোডিয়াজুড়ে এখনও ৪০ থেকে ৬০ লাখ স্থলমাইন রয়েছে বলে অনুমান কম্বোডিয়া মাইন অ্যাকশন সেন্টারের। তারা বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম চারমাসে কম্বোডিয়ায় স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলার কারণে ৫ জন নিহত ও ডজনখানেক আহত হয়েছে।
যেখানে মাইন বিস্ফোরণে তিন সেনা আহত হয়েছে, তার কাছেই গত মে মাসে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত গুলিবিনিময়ে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হয়েছিল।
এ ঘটনা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ বাড়ায় এবং থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকেও অস্থিতিশীল করে তোলে, যার ধাক্কায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
থাইল্যান্ড জানিয়েছে, তারা নতুন স্থলমাইন পাওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানাবে এবং অটোয়া চুক্তির স্থলমাইনবিরোধী কনভেনশন লঙ্ঘন করায় থাইল্যান্ডের কাছে জবাবদিহিতা চাইবে। তাদের সেনারা সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় সতর্কতার মাত্রাও বাড়াবে।
সূত্র : বার্তাসংস্থা রয়টার্স / বিবিসি
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম