হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি হুতি পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভি।
ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে হুতি স্থাপনায় হামলা ইসরায়েলি বাহিনীর

- আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ফাইল ছবি। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধাদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
গত কিছুদিন ধরে ইসরায়েলগামী জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা এবং ইসরায়েলের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের এ শিয়া মিলিশিয়ারা। তার পাল্টায় সোমবার হোদেইদা বন্দরে এ হামলা চালাল তেল আবিব।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, তাদের বাহিনী আগে চালানো হামলায় ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী অবকাঠামো পুনর্গঠনের যেকোনো চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করছে।
হুতি পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভিও সোমবার হোদেইদা বন্দরে সিরিজ হামলার খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টিভিটি হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যে বন্দরটিতে হামলা চালিয়েছে, সেটি অনেক কিছুর পাশাপাশি ‘ইরানি শাসকদের থেকে হুতিদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের রুট’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। ওই অস্ত্রশস্ত্র পরে ‘হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েল ও তার মিত্রদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহার করছে’।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে হুতিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী নৌযানে হামলা চালানো শুরু করে।
এর পাল্টায় ইসরায়েলও হুতিদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের সবচেয়ে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো এখনও হুতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, হোদেইদা বন্দরও তারাই পরিচালনা করছে।
“আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইয়েমেনের পরিণতিও তেহরানের মতোই হবে। ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় হুতিদের চড়া মূল্য দিতে হবে,” বলেছেন কাটজ।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি সোমবার বলেছেন, তাদের বাহিনী ইসরায়েলের একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন ছুড়েছে। এসব হামলা হয়েছে হোদেইদা বন্দর লক্ষ্য করে ইসরায়েলের আক্রমণ ও গাজায় অব্যাহত অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়।
জুলাইয়ের শুরুতে ইরানসমর্থিত এ গোষ্ঠীটি গ্রিক জাহাজ ইটার্নিটি সি-তে হামলা চালায়, তাতে জাহাজের আরোহী ২৫ জনের মধ্যে ৪ জন নিহত হয়েছিল।
চলতি বছর ক্ষমতায় ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিলেন। কিন্তু মে-তে আচমকা এক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র জাহাজে আক্রমণ বন্ধের বিনিময়ে হুতি স্থাপনায় হামলা বন্ধে রাজি হয়ে যায়।
এ চুক্তিতে ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলার বিষয়ে কোনো শর্ত নেই বলে সেসময়ই বলেছিল হুতিরা।
সূত্র : বার্তাসংস্থা রয়টার্স / বিবিসি
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম