“পোশাক পরিধান নিয়ে এমন নির্দেশনা পেয়েছি। তবে আমি অবাকই হয়েছি। কারণ এমন নির্দেশনা প্রত্যাশিত ছিল না,” বলেন এক কর্মকর্তা।
নারী কর্মীদের খাটো হাতার পোশাক, লেগিংস পরতে বারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের

- আপডেট সময় ০৯:২০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কী ধরনের পোশাক পরবেন তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘শালীন’ পোশাক পরার নির্দেশনা দিয়ে খাটো হাতা ও দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে।
আর পুরুষ কর্মীদের পোশাকের ক্ষেত্রে জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরা যাবে না। তাদের লম্বা বা হাফ হাতা ফরমাল শার্ট ও ফরমাল প্যান্ট পরার জন্য বলা হয়েছে।
২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ এর দেওয়া এই নিদের্শনায় বলা হয়েছে, এটি না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত বিভিন্ন বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বয়সের পার্থক্যজনিত কারণে পুরুষ এবং নারী উভয় সহকর্মীদের মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়।
“পোশাকের ধরনের নানা পার্থক্য নারী-নারী এবং পুরুষ-পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে মানসিক বৈষম্য দূর করে পারস্পরিক বুঝাপড়া (বন্ডিং) আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।”
সার্কুলারটিকে পরামর্শকমূলক দাবি তিনি বলেন, নারী সহকর্মীদের বোরখা এবং হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বা নির্দেশনা আরোপ করা হয়নি। এই সার্কুলারের মাধ্যমে বেশি কারুকার্যপূর্ণ পোশাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং বোরখা ও হিজাব পরাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
“আশা করি, এই সার্কুলারের মাধ্যমে অফিসে কারো পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হবে না।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, “পোশাক পরিধান নিয়ে এমন নির্দেশনা পেয়েছি। তবে আমি অবাকই হয়েছি। কারণ এমন নির্দেশনা প্রত্যাশিত ছিল না।”
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল স্তরেরর কর্মকর্তা/কর্মচারীগরকে সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরতে হবে।”
সেখানে পুরুষদের পোশাকের ক্ষেত্রে লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল শার্ট, ফরমাল প্যান্ট ও ফরমাল জুতা পরতে বলা হয়েছে। আর পরিহার করতে বলা হয়েছে জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট।
নারী কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পোশাকের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ ও ওড়না, অন্যান্য পেশাদার শালীন অবশ্যই সাদামাটা ও পেশাদার রঙের হতে হবে। আর ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা মাথার ওড়না বা হিজাব পরা যাবে।
তবে খাটো হাতা ও দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল ও ইউনিট এর বিভাগী মাসিক সভার এজেন্ডা ও কার্যবিবরণীতে নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত জানানো হয় সার্কুলারে।
গৃহীত সিদ্ধান্তের ১১ এর ঘ নম্বরে সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সি ও ডি শ্রেণিভুক্ত কর্মচারীদের নির্ধারিত পোশাক ব্যতীত) পোশাকের বিষয়ে বলা হয়েছে।
১২ নম্বর সিদ্ধান্তে পোশাক বিষয়ে এই নিদের্শনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা তদারিকর জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্যত্যয় হলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তা মানবসম্পদ বিভাগ পাঠাবেন সেই কর্মকর্তা।
সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম