০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
পাউবোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, আগে মানুষ এত পানি দেখেনি।

লক্ষ্মীপুরে জোয়ারের পানিতে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ; বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

শনিবার বিকেলে নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। বসতবাড়ি এবং সড়কে পানি উঠে গেছে। কারো কারো ঘরের ভেতরেও পানি উঠে গেছে।

তবে সন্ধ্যার দিকে নেমে যেতে থাকে। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা চলছে।

সরজমিনে কমলনগরে মধ্য ও পশ্চিম চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে দেখা, জোয়ারের পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে দেখা যায়। বসতবাড়ির উঠান এবং সড়কে পানি উঠে যেতে দেখা গেছে। অনেকের পুকুর ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে।

তোরাবগঞ্জ এলাকার কামাল হোসেন বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জোয়ারের পানিতে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘরে পানি উঠে গেলে সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। রান্নার কাজে ব্যাহত হয়। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। এ ছাড়া মাঠে থাকা আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার বরাদ্ধ হয়। চলতি বছর কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর পাঁচ ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছে। এতে কয়েক কিলোমিটার বাঁধ কাজ এখনো ধরা হয়নি। চলমান কাজগুলোও ধীরগতিতে চলছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগে মানুষ এত পানি দেখেনি। নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ পাওয়া ধীরগতিতে কাজ করা ঠিকাদারদের আটটি কাজ বাতিল বাতিল করা হয়েছে। এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের ৪০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

 

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ; বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

পাউবোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, আগে মানুষ এত পানি দেখেনি।

লক্ষ্মীপুরে জোয়ারের পানিতে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

শনিবার বিকেলে নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। বসতবাড়ি এবং সড়কে পানি উঠে গেছে। কারো কারো ঘরের ভেতরেও পানি উঠে গেছে।

তবে সন্ধ্যার দিকে নেমে যেতে থাকে। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা চলছে।

সরজমিনে কমলনগরে মধ্য ও পশ্চিম চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে দেখা, জোয়ারের পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে দেখা যায়। বসতবাড়ির উঠান এবং সড়কে পানি উঠে যেতে দেখা গেছে। অনেকের পুকুর ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে।

তোরাবগঞ্জ এলাকার কামাল হোসেন বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জোয়ারের পানিতে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘরে পানি উঠে গেলে সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। রান্নার কাজে ব্যাহত হয়। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। এ ছাড়া মাঠে থাকা আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার বরাদ্ধ হয়। চলতি বছর কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর পাঁচ ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছে। এতে কয়েক কিলোমিটার বাঁধ কাজ এখনো ধরা হয়নি। চলমান কাজগুলোও ধীরগতিতে চলছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগে মানুষ এত পানি দেখেনি। নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ পাওয়া ধীরগতিতে কাজ করা ঠিকাদারদের আটটি কাজ বাতিল বাতিল করা হয়েছে। এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের ৪০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

 

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ; বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম