১০:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫
বয়স অনুসারে হাঁটার প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন।

দৈনিক সাত হাজার পদক্ষেপে কমবে হৃদরোগ ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

অনেকেই মনে করেন প্রতিদিন দশ হাজার ধাপ হাঁটতে পারলেই শরীর ভালো থাকবে, স্বাস্থ্য বজায় থাকবে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা সেই প্রচলিত ধারণায় এনেছে পরিবর্তন।

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট’ নামের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা-সংক্রান্ত রিভিউ জার্নালে। যেখানে বলা হয়েছে প্রতিদিন ১০ হাজার ধাপ হাঁটার দরকার নেই বরং পাঁচ থেকে সাত হাজার ধাপ হাঁটলেই শরীর পাবে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

গবেষণাটি মিলিতভাবে পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও স্পেনের গবেষকরা।

 

হাঁটার নতুন ‘স্বাস্থ্যসীমা’: সাত হাজার পদক্ষেপে কী লাভ?

রিয়েলসিম্পল ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষণাটির নানান তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, দিনে সাত হাজার পদক্ষেপের সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৪৭ শতাংশ কমে যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে ২৫ শতাংশ এবং হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত।

অর্থাৎ, দৈনিক মাত্র সাত হাজার পদক্ষেপে হাঁটেন, তবুও হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিল রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এ জন্য দশ হাজার ধাপ পূরণ করার চাপ বা দুশ্চিন্তা নেওয়ার দরকার নেই।

 

বয়স অনুসারে হাঁটার প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন

গবেষণায় একটি চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, তা হল বয়সভেদে হাঁটার ধাপের উপকারিতার তারতম্য হয়।

তরুণদের ক্ষেত্রে দিনে পাঁচ হাজার চারশ ধাপ হাঁটাই যথেষ্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সংখ্যাটি ‘স্বাস্থ্য উপকারিতার মিষ্টি বিন্দু’।

এর চেয়ে বেশি হাঁটার ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা কিছুটা বাড়ে, তবে তার হার ধীরে হয়।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে, হাঁটার পরিমাণ যত বাড়বে, উপকার তত বাড়বে। এখানে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যত বেশি হাঁটা সম্ভব, তত ভালো।

 

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও হাঁটা কার্যকর

এই গবেষণার আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল- হাঁটা কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাইওয়ানে পরিচালিত একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, যারা প্রতিদিন এক হাজার পদক্ষেপে বেশি হাঁটেন, তাদের মধ্যে হতাশাজনিত উপসর্গ পাঁচ শতাংশ কম দেখা যায়।

তবে এই অভ্যাস কমপক্ষে দুই বছর ধরে বজায় রাখতে হয়।

বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাঁটা- হতাশা, উদ্বেগ এবং একাকিত্ব কমাতে সহায়তা করে।

 

দশ হাজার ধাপ না হাঁটলেও হবে

গবেষণা থেকে পাওয়া সব তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেছেন, সাত হাজার ও ১০ হাজার পদক্ষেপের মধ্যে স্বাস্থ্যের ওপর তেমন বড় ধরনের পার্থক্য নেই।

মানে, ১০ হাজার পদক্ষেপে যে স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়, সাত হাজার পদক্ষেপে হাঁটলেও প্রায় একই রকম ফল পাওয়া সম্ভব।

এই তথ্য যারা ব্যস্ত জীবনযাপন করেন বা শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে চান তবে সময় পান না, তাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

বয়স অনুসারে হাঁটার প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন।

দৈনিক সাত হাজার পদক্ষেপে কমবে হৃদরোগ ঝুঁকি

আপডেট সময় ০১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

 

অনেকেই মনে করেন প্রতিদিন দশ হাজার ধাপ হাঁটতে পারলেই শরীর ভালো থাকবে, স্বাস্থ্য বজায় থাকবে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা সেই প্রচলিত ধারণায় এনেছে পরিবর্তন।

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট’ নামের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা-সংক্রান্ত রিভিউ জার্নালে। যেখানে বলা হয়েছে প্রতিদিন ১০ হাজার ধাপ হাঁটার দরকার নেই বরং পাঁচ থেকে সাত হাজার ধাপ হাঁটলেই শরীর পাবে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

গবেষণাটি মিলিতভাবে পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও স্পেনের গবেষকরা।

 

হাঁটার নতুন ‘স্বাস্থ্যসীমা’: সাত হাজার পদক্ষেপে কী লাভ?

রিয়েলসিম্পল ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষণাটির নানান তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, দিনে সাত হাজার পদক্ষেপের সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৪৭ শতাংশ কমে যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে ২৫ শতাংশ এবং হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত।

অর্থাৎ, দৈনিক মাত্র সাত হাজার পদক্ষেপে হাঁটেন, তবুও হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিল রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এ জন্য দশ হাজার ধাপ পূরণ করার চাপ বা দুশ্চিন্তা নেওয়ার দরকার নেই।

 

বয়স অনুসারে হাঁটার প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন

গবেষণায় একটি চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, তা হল বয়সভেদে হাঁটার ধাপের উপকারিতার তারতম্য হয়।

তরুণদের ক্ষেত্রে দিনে পাঁচ হাজার চারশ ধাপ হাঁটাই যথেষ্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সংখ্যাটি ‘স্বাস্থ্য উপকারিতার মিষ্টি বিন্দু’।

এর চেয়ে বেশি হাঁটার ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা কিছুটা বাড়ে, তবে তার হার ধীরে হয়।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে, হাঁটার পরিমাণ যত বাড়বে, উপকার তত বাড়বে। এখানে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যত বেশি হাঁটা সম্ভব, তত ভালো।

 

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও হাঁটা কার্যকর

এই গবেষণার আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল- হাঁটা কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাইওয়ানে পরিচালিত একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, যারা প্রতিদিন এক হাজার পদক্ষেপে বেশি হাঁটেন, তাদের মধ্যে হতাশাজনিত উপসর্গ পাঁচ শতাংশ কম দেখা যায়।

তবে এই অভ্যাস কমপক্ষে দুই বছর ধরে বজায় রাখতে হয়।

বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাঁটা- হতাশা, উদ্বেগ এবং একাকিত্ব কমাতে সহায়তা করে।

 

দশ হাজার ধাপ না হাঁটলেও হবে

গবেষণা থেকে পাওয়া সব তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেছেন, সাত হাজার ও ১০ হাজার পদক্ষেপের মধ্যে স্বাস্থ্যের ওপর তেমন বড় ধরনের পার্থক্য নেই।

মানে, ১০ হাজার পদক্ষেপে যে স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়, সাত হাজার পদক্ষেপে হাঁটলেও প্রায় একই রকম ফল পাওয়া সম্ভব।

এই তথ্য যারা ব্যস্ত জীবনযাপন করেন বা শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে চান তবে সময় পান না, তাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম