“আমরা পরে জানতে পারি ভদ্রমহিলা বিবাহিত ছিলেন, যা বাবার মনে গভীর আঘাত হানে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।”
ছেলের বিয়ে দিতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল কিশোর কুমারের

- আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বড় সন্তান গায়ক অমিত কুমারের সঙ্গে কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমারের ‘বন্ধুর মত সম্পর্কে’ গল্প বিভিন্ন সময়ে সামনে এসেছে। তবে কীভাবে অমিতের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় অসুস্থ হয়ে কিশোর কুমারকে হাসপাতালে যেতে হয়, সে ঘটনা সবার অজানা।
পশ্চিমবঙ্গের ‘আজকাল’ পত্রিকা লিখেছে, রেডিও নশা অফিশিয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার বলেন, ১৯৮১ সালে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। যে আয়োজন হয়েছিল পারিবারিকভাবে।
অমিতের কথায়, তার বিয়ে নিয়ে কিশোর কুমার খুবই খুশি ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে জীবনে থিতু হোক। গায়কের পরিকল্পনা ছিল. মুম্বাই থেকে সিনেমা-সংগীত ইন্ডাস্ট্রির অনেককে অমিতের বিয়েতে অতিথি হিসেবে নিয়ে যাবেন।
কিন্তু আকস্মিক একটি খবরে ওই বিয়ে বাতিল করতে হয় কিশোর কুমারকে।
অমিত বলেন, “আমরা জানতে পারি ভদ্রমহিলা বিবাহিত ছিলেন। যা বাবার মনে গভীর আঘাত হানে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়।”
নিজের সংসার জীবনেও বারবার উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে কিশোর কুমারকে। ১৯৫০ সালে প্রথমবার তিনি বিয়ে করেন সত্যজিৎ রায়ের ভাইঝি রুমা গুহঠাকুরতাকে, আট বছরের মাথায় ঘটে বিচ্ছেদ। সেই সংসারের ছেলে অমিত কুমার। তবে এরপর আরো তিনবার বিয়ে করেন কিশোর কুমার।
গায়ক এবং অভিনেতা ছাড়াও চিত্র্যনাটকার, পরিচালক, প্রয়োজক একং সুরকার হিসেবেও কিশোর কুমারকে দেখেছে ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি।তবে সিনেমায় তার অভিনীত বেশিরভাগ চরিত্রই ছিল কমেডি ধাঁচের।
কিশোর কুমারের জন্ম ১৯২৯ সালের ৪ অগাস্টে ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ার শহরে এক বাঙালি পরিবারে। বাবা-মায়ে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি।
বড় ভাই অশোক কুমার ছিলেন হিন্দি সিনেমার এক খ্যাতিমান পুরুষ। অশোক কুমারের অনুপ্রেরণাতেই কিশোর এগিয়ে গেছেন তার জীবনে। গানের দুনিয়ায় পা দিয়ে আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায় নামটি বদলে তিনি হয়ে যান কিশোর কুমার।
বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম