০২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
ওভালে আগ্রাসী সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি হ্যারি ব্রুক, ফিকে হয়ে গেছে তার সিরিজ-সেরা হওয়ার আনন্দ।

ব্রুকের গলায় পদক, হৃদয়ে আক্ষেপ

স্পোর্টস ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

জো রুটকে ছাপিয়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ-সেরার স্বীকৃতি পেলেন হ্যারি ব্রুক। তার গলায় পদক, হাতে শ্যাম্পেনের বোতল। ছবির জন্য পোজ দেওয়ার সময় খানিকটা হাসলেন বটে। তবে দ্রুতই মিলিয়ে গেল সেই হাসি। সেখানে ফুটে উঠল যেন হৃদয়ের ছবিটা। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির পর সিরিজ-সেরার পুরস্কারকে সঙ্গী করে তার আফসোস, “তখন ওই শট যদি না খেলতাম…।”

‘ওই শট’ মানে তার আউট হওয়া শটটি, ম্যাচের মোড় বদলে যাওয়ার মুহূর্ত যেটি। ইংল্যান্ডের পতন আর ভারতের অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানোর সূচনা যেখান থেকে।

ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্রুক যখন ক্রিজে যান, ৩৭৪ রান তাড়ায় ইংল্যান্ড তখন বেশ নড়বড়ে। ৩ উইকেটে ১০৬ রানে থাকা দল প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে তার ব্যাটেই। ছন্দে থাকা ভারতীয় পেসারদের এলোমেলো করে দেন তিনি পাল্টা আক্রমণ করে। ভরসার প্রতীক হয়ে আরেক প্রান্তে ছিলেন জো রুট।

এই দুজনের দুর্দান্ত জুটিতে তিনশ পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তাদের জয় তখন মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। সেই সময়টাও এগিয়ে আসছিল দ্রুত। ৯১ বলে সেঞ্চুরি করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রুক। আকাশ দিপের টানা দুই বলে বাউন্ডারির পর চেষ্টা করলেন টানা তৃতীয়টির। এবার গড়বড়। তার হাত থেকে ছুটে ব্যাট চলে গেল স্কয়ার লেগের দিকে, বল গেল মিড অফ ফিল্ডারের হাতে।

৯৮ বলে ১১১ রান করে ব্রুক যখন আউট হলেন, তখনও ভাবা যায়নি ম্যাচে কত নাটকীয়তা অপেক্ষায়। ব্রুকও ভাবতে পারেননি তেমন কিছু। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় ব্যাট উঁচিয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার মতোই।

কিন্তু পরের সবকিছু তো এখন সবারই জানা। চতুর্থ দিনে আরও দুটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবু জয়ের কাছেই ছিল তারা। কিন্তু শেষ দিন সকালের অতি নাটকীয় এক ঘণ্টায় মোহাম্মেদ সিরাজ ও প্রাসিধ কৃষ্ণার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ রানের স্মরণীয় জয়ে সিরিজ ড্র করে ফেলে ভারত।

ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে দুই দলের দুজনকে সিরিজ-সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সিরিজে রুটের রান ৫৩৭, ব্রুকের ৪৮১। ভারতের কোচ গৌতাম গাম্ভিরের বিচারে ইংলিশদের সেরার স্বীকৃতি পান ব্রুক।

কিন্তু পুরস্কার নেওয়ার পর হৃদয়ের দহনের কথাই তাকে বলতে হলো বেশি। নিজের হতাশা তুলে ধরার পাশাপাশি কৃতিত্ব দিলেন তিনি ভারতের নায়ক সিরাজকেও।

“আমার ভাবনা ছিল যত দ্রুত সম্ভব যত বেশি রান করা যায়। এমন যদি হতো যে আমি ও রুট ক্রিজে থাকা অবস্থায় আর ৪০ রান লাগত, খেলা ততক্ষণে শেষ হয়ে যেত। আমি তখন আউট হলেও সমস্যা হতো না। অবশ্যই এখন বলতে পারি, তা কাজে লাগেনি। কী করলে কী হতো, এটা সবসময়ই চমৎকার ব্যাপার। কিন্তু এখন অবশ্যই মনে হচ্ছে, তখন ওই শট যদি না খেলতাম আর আউট না হতাম…!”

“আমার ধারণা ছিল, আজকে (সোমবার) সকালে আমরা সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলব। তবে সিরাজ যেভাবে বল করেছে, আজকের সবটুকু সাফল্য তার প্রাপ্য। আমার মনে হয়েছিল, রোলার ব্যবহারের পর পিচ অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে। কিন্তু মেঘলা আকাশের নিচে এটা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তবে সিরাজের সিরিজটি অসাধারণ ছিল, শেষটুকুও।”

টানা দুটি বাউন্ডারির পর আরেকটির চেষ্টা করা, তার শট নির্বাচন, অতি ঝুঁকির পথ বেছে নেওয়া, এসব নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে বেশ। ব্রুক শোনালেন অমন ব্যাটিংয়ের পেছনে তার ভাবনা।

“এই সময়টায় অবশ্যই আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। পরের দুই ওভারে ৩০ রান নিতে পারলে কার্যত খেলাই শেষ হয়ে যেত। সেটাই ছিল আমার ভাবনায়। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি খেলায় এগিয়ে থাকতে ও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে… অবশ্যই ভালো লাগত শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে। তবে এসব ব্যাপার তো বলেকয়ে হয় না।”

ব্রুকের দুরন্ত গতির পেছনে বড় ভূমিকা ছিল আরেকপ্রান্তে রুটের উপস্থিতিও। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানও সেঞ্চুরি করেছেন। ব্রুক ভেবেছিলেন, ঠাণ্ডা মাথায় দলকে জিতিয়েই ফিরবেন রুট।

“আমার ভাবনার সীমানাতেও ছিল না যে ৬০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারাতে পারি আমরা। এছাড়া রুট তখনও ক্রিজে ছিল, তর্কযুক্তভাবে যাকে বলা যায় বিশ্বের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার। আমার মনের কোণে তাই ছিল, একপ্রান্তে রুট আছেই, আমি চেষ্টা করে দেখি দ্রুত যত বেশি সম্ভব রান তুলতে, তাহলেই খেলা শেষ। রুটের ওপর সবটুকু বিশ্বাস ছিল আমার যে, সে টিকে থাকবে শেষ পর্যন্ত।”

ব্রুকের বিদায়ের পরও ৩১ রানের জুটি গড়েন রুট ও জেকব বেথেল। তরুণ বেথেল উইকেট ছুড়ে দেন এলোমেলো শটে। এরপর রুটও বিদায় নেন ১০৫ রানে।

সম্ভাবনায় তখনও এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। শেষ দিনে ৪ উইকেট নিয়ে স্রেফ ৩৫ রান করতে হতো তাদের। ক্রিস ওকসের চোট থাকলেও ক্রিজে ছিলেন জেমি স্মিথ ও জেমি ওভারটন। দুজনের একজন জ্বলে উঠলেও ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারত দ্রুত। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন গাস অ্যাটকিনসন, লর্ডসে টেস্ট সেঞ্চুরি আছে যার।

কিন্তু দিনটি ছিল সিরাজ আর ভারতের।

পেছন ফিরে তাকিয়ে অনেকে তাই কাঠগড়ায় তুলছেন সেই ব্রুককেই। তিনি অতি আগ্রাসী না হলেই হতো! তবে তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই ম্যাচে না থাকা ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।

“হ্যারি (ব্রুক) ওভাবে খেলেই আমাদেরকে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে এবং ভারতীয় বোলারদের প্রবল চাপে ফেলে বাধ্য করেছে তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের পছন্দের লেংথে বল করা থেকে দূরে সরতে।”

“আমি নিশ্চিত, সে যখন সেঞ্চুরি করেছে এভাবে খেলেই, সবাই তখন তালি দিয়েছে। কিছু শট সে খেলেছে, স্রেফ অবিশ্বাস্য। তার যে আউট এবং যেভাবে বিদায় নিয়েছে, ওই শটও ইনিংসজুড়ে অনেক খেলেছে সে। তখন সেই শটগুলো প্রশংসাই পেয়েছে সবার।”

 

স্পোর্টস ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ওভালে আগ্রাসী সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি হ্যারি ব্রুক, ফিকে হয়ে গেছে তার সিরিজ-সেরা হওয়ার আনন্দ।

ব্রুকের গলায় পদক, হৃদয়ে আক্ষেপ

আপডেট সময় ১২:৩৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

 

জো রুটকে ছাপিয়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ-সেরার স্বীকৃতি পেলেন হ্যারি ব্রুক। তার গলায় পদক, হাতে শ্যাম্পেনের বোতল। ছবির জন্য পোজ দেওয়ার সময় খানিকটা হাসলেন বটে। তবে দ্রুতই মিলিয়ে গেল সেই হাসি। সেখানে ফুটে উঠল যেন হৃদয়ের ছবিটা। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির পর সিরিজ-সেরার পুরস্কারকে সঙ্গী করে তার আফসোস, “তখন ওই শট যদি না খেলতাম…।”

‘ওই শট’ মানে তার আউট হওয়া শটটি, ম্যাচের মোড় বদলে যাওয়ার মুহূর্ত যেটি। ইংল্যান্ডের পতন আর ভারতের অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানোর সূচনা যেখান থেকে।

ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্রুক যখন ক্রিজে যান, ৩৭৪ রান তাড়ায় ইংল্যান্ড তখন বেশ নড়বড়ে। ৩ উইকেটে ১০৬ রানে থাকা দল প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে তার ব্যাটেই। ছন্দে থাকা ভারতীয় পেসারদের এলোমেলো করে দেন তিনি পাল্টা আক্রমণ করে। ভরসার প্রতীক হয়ে আরেক প্রান্তে ছিলেন জো রুট।

এই দুজনের দুর্দান্ত জুটিতে তিনশ পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তাদের জয় তখন মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। সেই সময়টাও এগিয়ে আসছিল দ্রুত। ৯১ বলে সেঞ্চুরি করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রুক। আকাশ দিপের টানা দুই বলে বাউন্ডারির পর চেষ্টা করলেন টানা তৃতীয়টির। এবার গড়বড়। তার হাত থেকে ছুটে ব্যাট চলে গেল স্কয়ার লেগের দিকে, বল গেল মিড অফ ফিল্ডারের হাতে।

৯৮ বলে ১১১ রান করে ব্রুক যখন আউট হলেন, তখনও ভাবা যায়নি ম্যাচে কত নাটকীয়তা অপেক্ষায়। ব্রুকও ভাবতে পারেননি তেমন কিছু। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় ব্যাট উঁচিয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার মতোই।

কিন্তু পরের সবকিছু তো এখন সবারই জানা। চতুর্থ দিনে আরও দুটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবু জয়ের কাছেই ছিল তারা। কিন্তু শেষ দিন সকালের অতি নাটকীয় এক ঘণ্টায় মোহাম্মেদ সিরাজ ও প্রাসিধ কৃষ্ণার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ রানের স্মরণীয় জয়ে সিরিজ ড্র করে ফেলে ভারত।

ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে দুই দলের দুজনকে সিরিজ-সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সিরিজে রুটের রান ৫৩৭, ব্রুকের ৪৮১। ভারতের কোচ গৌতাম গাম্ভিরের বিচারে ইংলিশদের সেরার স্বীকৃতি পান ব্রুক।

কিন্তু পুরস্কার নেওয়ার পর হৃদয়ের দহনের কথাই তাকে বলতে হলো বেশি। নিজের হতাশা তুলে ধরার পাশাপাশি কৃতিত্ব দিলেন তিনি ভারতের নায়ক সিরাজকেও।

“আমার ভাবনা ছিল যত দ্রুত সম্ভব যত বেশি রান করা যায়। এমন যদি হতো যে আমি ও রুট ক্রিজে থাকা অবস্থায় আর ৪০ রান লাগত, খেলা ততক্ষণে শেষ হয়ে যেত। আমি তখন আউট হলেও সমস্যা হতো না। অবশ্যই এখন বলতে পারি, তা কাজে লাগেনি। কী করলে কী হতো, এটা সবসময়ই চমৎকার ব্যাপার। কিন্তু এখন অবশ্যই মনে হচ্ছে, তখন ওই শট যদি না খেলতাম আর আউট না হতাম…!”

“আমার ধারণা ছিল, আজকে (সোমবার) সকালে আমরা সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলব। তবে সিরাজ যেভাবে বল করেছে, আজকের সবটুকু সাফল্য তার প্রাপ্য। আমার মনে হয়েছিল, রোলার ব্যবহারের পর পিচ অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে। কিন্তু মেঘলা আকাশের নিচে এটা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তবে সিরাজের সিরিজটি অসাধারণ ছিল, শেষটুকুও।”

টানা দুটি বাউন্ডারির পর আরেকটির চেষ্টা করা, তার শট নির্বাচন, অতি ঝুঁকির পথ বেছে নেওয়া, এসব নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে বেশ। ব্রুক শোনালেন অমন ব্যাটিংয়ের পেছনে তার ভাবনা।

“এই সময়টায় অবশ্যই আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। পরের দুই ওভারে ৩০ রান নিতে পারলে কার্যত খেলাই শেষ হয়ে যেত। সেটাই ছিল আমার ভাবনায়। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি খেলায় এগিয়ে থাকতে ও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে… অবশ্যই ভালো লাগত শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে। তবে এসব ব্যাপার তো বলেকয়ে হয় না।”

ব্রুকের দুরন্ত গতির পেছনে বড় ভূমিকা ছিল আরেকপ্রান্তে রুটের উপস্থিতিও। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানও সেঞ্চুরি করেছেন। ব্রুক ভেবেছিলেন, ঠাণ্ডা মাথায় দলকে জিতিয়েই ফিরবেন রুট।

“আমার ভাবনার সীমানাতেও ছিল না যে ৬০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারাতে পারি আমরা। এছাড়া রুট তখনও ক্রিজে ছিল, তর্কযুক্তভাবে যাকে বলা যায় বিশ্বের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার। আমার মনের কোণে তাই ছিল, একপ্রান্তে রুট আছেই, আমি চেষ্টা করে দেখি দ্রুত যত বেশি সম্ভব রান তুলতে, তাহলেই খেলা শেষ। রুটের ওপর সবটুকু বিশ্বাস ছিল আমার যে, সে টিকে থাকবে শেষ পর্যন্ত।”

ব্রুকের বিদায়ের পরও ৩১ রানের জুটি গড়েন রুট ও জেকব বেথেল। তরুণ বেথেল উইকেট ছুড়ে দেন এলোমেলো শটে। এরপর রুটও বিদায় নেন ১০৫ রানে।

সম্ভাবনায় তখনও এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। শেষ দিনে ৪ উইকেট নিয়ে স্রেফ ৩৫ রান করতে হতো তাদের। ক্রিস ওকসের চোট থাকলেও ক্রিজে ছিলেন জেমি স্মিথ ও জেমি ওভারটন। দুজনের একজন জ্বলে উঠলেও ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারত দ্রুত। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন গাস অ্যাটকিনসন, লর্ডসে টেস্ট সেঞ্চুরি আছে যার।

কিন্তু দিনটি ছিল সিরাজ আর ভারতের।

পেছন ফিরে তাকিয়ে অনেকে তাই কাঠগড়ায় তুলছেন সেই ব্রুককেই। তিনি অতি আগ্রাসী না হলেই হতো! তবে তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই ম্যাচে না থাকা ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।

“হ্যারি (ব্রুক) ওভাবে খেলেই আমাদেরকে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে এবং ভারতীয় বোলারদের প্রবল চাপে ফেলে বাধ্য করেছে তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের পছন্দের লেংথে বল করা থেকে দূরে সরতে।”

“আমি নিশ্চিত, সে যখন সেঞ্চুরি করেছে এভাবে খেলেই, সবাই তখন তালি দিয়েছে। কিছু শট সে খেলেছে, স্রেফ অবিশ্বাস্য। তার যে আউট এবং যেভাবে বিদায় নিয়েছে, ওই শটও ইনিংসজুড়ে অনেক খেলেছে সে। তখন সেই শটগুলো প্রশংসাই পেয়েছে সবার।”

 

স্পোর্টস ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম