০২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
শুক্রবার আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের আগে এ দাবি এল।

ইউক্রেইন শান্তি আলোচনায় কিইভকে রাখতে হবে, দাবি ইউরোপীয় মিত্রদের

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি। ছবি: রয়টার্স

 

রাশিয়ার সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনা হলে সেখানে অবশ্যই ইউক্রেইনকে রাখতে হবে, জোরাল সমর্থন নিয়ে কিইভের পাশে দাঁড়িয়ে এখন এমনটাই বলছে তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা।

এই সমর্থনের জোয়ার এমন এক সময়ে এল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

“ইউক্রেইনে শান্তি আনার পথ নিয়ে সিদ্ধান্ত ইউক্রেইনকে ছাড়া হতে পারে না,” যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও ইউরোপীয় কমিশনের নেতাদের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথাই বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইউক্রেইনকে শান্তি আলোচনায় ডাকা নাও হতে পারে বলে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিইভকে ছাড়া কোনো চুক্তি হলে তা হবে ‘নিস্ফলা সিদ্ধান্ত’।

পরে শনিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করার ইচ্ছা আছে ট্রাম্পের, কিন্তু আপাতত রুশ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে কেবল রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যেই বৈঠক হচ্ছে।

ট্রাম্প এর আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক দিয়ে শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি ‘রাশিয়াকে দিয়েই শুরুর’ পরিকল্পনা করছেন, তবে পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের ‘সুযোগ আছে’ বলে তার বিশ্বাস।

তবে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ব্যাপারে পুতিন আদৌ রাজি হবেন কিনা, তা অনিশ্চিত। সাড়ে তিন বছর আগে তিনি প্রতিবেশী দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার পর রাশিয়া ও ইউক্রেইনের দুই নেতা কখনো মুখোমুখি বসেননি।

শুক্রবার ট্রাম্প সম্ভাব্য শান্তিচুক্তিতে ইউক্রেইনকে কিছু ভূমি ছাড়তে হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ নিয়ে জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া হয় তীব্র।

“আমরা রাশিয়াকে তার অপরাধের জন্য পুরস্কৃত করতে পারি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সিদ্ধান্ত, ইউক্রেইনকে ছাড়া যে কোনো সিদ্ধান্তই হবে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত।

“ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের বিনিময়ে ইউক্রেইনের ভূখণ্ড ‘অদলবদলের’ ধারণা রাশিয়ানরা চাপিয়ে দিতে চায়, যা যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে রাশিয়ানদের সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই নিশ্চিত করে না,” টেলিগ্রামে এমনটাই বলেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়া ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া পুরো দনবাস অঞ্চল ও ক্রাইমিয়া রাখতে পারবে এমন প্রস্তাবসহ একটি চুক্তিতে ইউরোপীয় নেতাদের রাজি করাতে হোয়াইট হাউস চেষ্টা করে যাচ্ছে।

২০১৪ সালেই রাশিয়া ক্রাইমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এখন দনবাসের সিংহভাগও তাদের কব্জায়। খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়ার কিছু এলাকা দখলে থাকলেও ওই দুই অঞ্চলের বেশ খানিকটা এখনও কিইভ বাহিনীর হাতে রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেইন ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ যুদ্ধ বন্ধে তাদের ‘ছক’ ট্রাম্প ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এর মধ্যে আছে- ভূখণ্ড অদলবদল হলে তা হতে হবে পাল্টাপাল্টি, তাতে ইউক্রেইন কিছু এলাকা থেকে সরলে রাশিয়াকেও অন্যগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

শনিবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে ইউরোপের নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, “শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানার পরিবর্তন হতে দেওয়া যাবে না।”

“নিজেদের ভাগ্য বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে ইউক্রেইনের,” কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দিয়ে এমনটাই বলেছেন তারা।

কেবল ইউক্রেইনের সুরক্ষা নয়, ইউরোপের নিরাপত্তার জন্যও ‘কূটনৈতিক সমাধান’ খুবই জরুরি, ভাষ্য তাদের।

আলাস্কার বৈঠকে অংশ নিতে কেবল যে ইউক্রেইনই পীড়াপীড়ি করছে এমন নয়, ইউরোপও এ শান্তি আলোচনার অংশ হতে চায়।

ট্রাম্প যদি পুতিনের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তিতে পৌঁছান, যার ফলাফলের ওপর ইউরোপীয় নেতাদের প্রভাব নেই, তাহলে তা ইউরোপের জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে অনেক কিইভমিত্রই মনে করছে।

শনিবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ খোলাখুলিই এই উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন।

“ইউরোপিয়ানদেরও এই সমাধানের অংশ হওয়া দরকার, তাদের নিজেদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে,” লিখেছেন তিনি।

এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ানরা যেন আর কখনো কাউকে ধোঁকা দিতে না পারে তা নিশ্চিত করাই যে মূল বিষয় সেটাই তিনি শনিবার ম্যাক্রোঁকে এক ফোন কলে জানিয়েছেন।

“আমাদের সবারই প্রয়োজন যুদ্ধের সত্যিকারের অবসান আর ইউক্রেন ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের জন্য বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তার ভিত্তি,” বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাজ্য সফরে থাকা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি ও জেলেনস্কির দুই শীর্ষ সহযোগীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেও জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক ইউক্রেইনকে শান্তি আলোচনায় রাখার প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেছেন।

“বিশ্বাসযোগ্য, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি কেবল তখনই সম্ভব যখন ইউক্রেইন আলোচনার টেবিলে থাকবে। যুদ্ধবিরতি দরকার, তবে ফ্রন্টলাইন সীমানা নয়,” বলেছেন তিনি।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক যে আলাস্কায় হচ্ছে, সেটি ১৮৬৭ সালে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেচে দিয়েছিল।

২০২১ সালে জো বাইডেন সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় পুতিনের সঙ্গে বসার পর দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে চার বছরে আর কোনো বৈঠক হয়নি।

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

শুক্রবার আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের আগে এ দাবি এল।

ইউক্রেইন শান্তি আলোচনায় কিইভকে রাখতে হবে, দাবি ইউরোপীয় মিত্রদের

আপডেট সময় ১২:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

 

রাশিয়ার সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনা হলে সেখানে অবশ্যই ইউক্রেইনকে রাখতে হবে, জোরাল সমর্থন নিয়ে কিইভের পাশে দাঁড়িয়ে এখন এমনটাই বলছে তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা।

এই সমর্থনের জোয়ার এমন এক সময়ে এল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

“ইউক্রেইনে শান্তি আনার পথ নিয়ে সিদ্ধান্ত ইউক্রেইনকে ছাড়া হতে পারে না,” যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও ইউরোপীয় কমিশনের নেতাদের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথাই বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইউক্রেইনকে শান্তি আলোচনায় ডাকা নাও হতে পারে বলে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিইভকে ছাড়া কোনো চুক্তি হলে তা হবে ‘নিস্ফলা সিদ্ধান্ত’।

পরে শনিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করার ইচ্ছা আছে ট্রাম্পের, কিন্তু আপাতত রুশ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে কেবল রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যেই বৈঠক হচ্ছে।

ট্রাম্প এর আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক দিয়ে শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি ‘রাশিয়াকে দিয়েই শুরুর’ পরিকল্পনা করছেন, তবে পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের ‘সুযোগ আছে’ বলে তার বিশ্বাস।

তবে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ব্যাপারে পুতিন আদৌ রাজি হবেন কিনা, তা অনিশ্চিত। সাড়ে তিন বছর আগে তিনি প্রতিবেশী দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার পর রাশিয়া ও ইউক্রেইনের দুই নেতা কখনো মুখোমুখি বসেননি।

শুক্রবার ট্রাম্প সম্ভাব্য শান্তিচুক্তিতে ইউক্রেইনকে কিছু ভূমি ছাড়তে হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ নিয়ে জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া হয় তীব্র।

“আমরা রাশিয়াকে তার অপরাধের জন্য পুরস্কৃত করতে পারি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সিদ্ধান্ত, ইউক্রেইনকে ছাড়া যে কোনো সিদ্ধান্তই হবে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত।

“ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের বিনিময়ে ইউক্রেইনের ভূখণ্ড ‘অদলবদলের’ ধারণা রাশিয়ানরা চাপিয়ে দিতে চায়, যা যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে রাশিয়ানদের সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই নিশ্চিত করে না,” টেলিগ্রামে এমনটাই বলেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়া ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া পুরো দনবাস অঞ্চল ও ক্রাইমিয়া রাখতে পারবে এমন প্রস্তাবসহ একটি চুক্তিতে ইউরোপীয় নেতাদের রাজি করাতে হোয়াইট হাউস চেষ্টা করে যাচ্ছে।

২০১৪ সালেই রাশিয়া ক্রাইমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এখন দনবাসের সিংহভাগও তাদের কব্জায়। খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়ার কিছু এলাকা দখলে থাকলেও ওই দুই অঞ্চলের বেশ খানিকটা এখনও কিইভ বাহিনীর হাতে রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেইন ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ যুদ্ধ বন্ধে তাদের ‘ছক’ ট্রাম্প ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এর মধ্যে আছে- ভূখণ্ড অদলবদল হলে তা হতে হবে পাল্টাপাল্টি, তাতে ইউক্রেইন কিছু এলাকা থেকে সরলে রাশিয়াকেও অন্যগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

শনিবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে ইউরোপের নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, “শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানার পরিবর্তন হতে দেওয়া যাবে না।”

“নিজেদের ভাগ্য বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে ইউক্রেইনের,” কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দিয়ে এমনটাই বলেছেন তারা।

কেবল ইউক্রেইনের সুরক্ষা নয়, ইউরোপের নিরাপত্তার জন্যও ‘কূটনৈতিক সমাধান’ খুবই জরুরি, ভাষ্য তাদের।

আলাস্কার বৈঠকে অংশ নিতে কেবল যে ইউক্রেইনই পীড়াপীড়ি করছে এমন নয়, ইউরোপও এ শান্তি আলোচনার অংশ হতে চায়।

ট্রাম্প যদি পুতিনের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তিতে পৌঁছান, যার ফলাফলের ওপর ইউরোপীয় নেতাদের প্রভাব নেই, তাহলে তা ইউরোপের জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে অনেক কিইভমিত্রই মনে করছে।

শনিবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ খোলাখুলিই এই উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন।

“ইউরোপিয়ানদেরও এই সমাধানের অংশ হওয়া দরকার, তাদের নিজেদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে,” লিখেছেন তিনি।

এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ানরা যেন আর কখনো কাউকে ধোঁকা দিতে না পারে তা নিশ্চিত করাই যে মূল বিষয় সেটাই তিনি শনিবার ম্যাক্রোঁকে এক ফোন কলে জানিয়েছেন।

“আমাদের সবারই প্রয়োজন যুদ্ধের সত্যিকারের অবসান আর ইউক্রেন ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের জন্য বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তার ভিত্তি,” বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাজ্য সফরে থাকা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি ও জেলেনস্কির দুই শীর্ষ সহযোগীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেও জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক ইউক্রেইনকে শান্তি আলোচনায় রাখার প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেছেন।

“বিশ্বাসযোগ্য, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি কেবল তখনই সম্ভব যখন ইউক্রেইন আলোচনার টেবিলে থাকবে। যুদ্ধবিরতি দরকার, তবে ফ্রন্টলাইন সীমানা নয়,” বলেছেন তিনি।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক যে আলাস্কায় হচ্ছে, সেটি ১৮৬৭ সালে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেচে দিয়েছিল।

২০২১ সালে জো বাইডেন সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় পুতিনের সঙ্গে বসার পর দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে চার বছরে আর কোনো বৈঠক হয়নি।

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম