টিকে থাকা ১৬ দলের কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ে কার্যালয়, কমিটি খুঁজতে মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছে ইসি।
নিবন্ধন: প্রথম ধাপেই বাদ ১২৯ দল, টিকে থাকল এনসিপি

- আপডেট সময় ১০:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলগুলোকে ত্রুটি সংশোধন ও তথ্য ঘাটতি পূরণের সুযোগ দিলেও প্রাথমিক বাছাইয়ে অন্তত ১২৯টি দলের আবেদন বাতিল হয়েছে।
আর টিকে থাকা ১৬টি দলের মধ্যে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিও রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন।
রোববার নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত ইসি সচিবালয়ের কমিটির বৈঠক হয়েছে।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬টি দলের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।”
এসব দলের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়, কমিটিসহ অন্যান্য তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে তদন্ত করবে নির্বাচন কমিশন-ইসি।
তদন্তের সুপারিশ ও বাকিগুলোর বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন পেলে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদনপত্র বাছাইয়ের সময় ৫৯টি দলের আবেদনের সঙ্গে কোনো প্রয়োজনীয় দলিল ছিল না। আবেদনে ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার পরও আরও ৬৯-৭০টি দল তা করেনি।
নিবন্ধন অযোগ্য ও যাদের আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের তা জানিয়ে দেবে ইসি সচিবালয়।
এবার নিবন্ধন পেতে ১৪৫টি দল আবেদন করে। ২২ জুন এর মধ্যে আগ্রহীরা আবেদন করে; ৩ অগাস্ট পযন্ত ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধন প্রত্যাশী ৬৫টি দল আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিলপত্রের ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হয়। বাকি ৮০টি দল নিবন্ধন শর্তের ঘাটতি পূরণ করে তথ্য জমা দিয়েছিল। শেষ দিনে তথ্য পূরণ করে দেয় এনসিপি।
নিবন্ধন পেতে যেসব শর্ত দেওয়া হয় সেগুলো হল-
- নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলী সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে প্রতীক ও নিবন্ধন সনদ দেয় ইসি।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি, নিবন্ধন স্থগিত আছে টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগসহ চার দলের।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি; এরমধ্যে একটির নিবন্ধন পুনর্বহাল করা হয়।
সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম