“এ মামলার তিনটি অভিযোগ আজ প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে। ট্রাইব্যুনাল তিনটি অভিযোগই আমলে নিয়েছেন।”
কার্নিশে তরুণকে গুলি: ডিএমপির সাবেক কমিশনারকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

- আপডেট সময় ১১:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪১ বার পড়া হয়েছে
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা এবং দুজনকে হত্যার মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
হাবিবুর রহমান ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- খিলগাঁও জোনের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
গাজী তামিম সাংবাদিকদের বলেন, “এ মামলার তিনটি অভিযোগ আজ প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে। ট্রাইব্যুনাল তিনটি অভিযোগই আমলে নিয়েছেন।
“এই মামলার পাঁচজন আসামি। তাদের মধ্যে রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার আছেন। তাকে আগামী ১৭ অগাস্ট আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।”
অভিযোগ তিনটির বর্ণনা দিয়ে তামিম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি।
তিনি বলেন, ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। কিন্তু তাকে দেখে ফেলে পুলিশ। পরে তার ওপর ছয়টি গুলি ছোড়েন এক পুলিশ সদস্য। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করেন। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন ভুক্তভোগী এই তরুণ।
দ্বিতীয় অভিযোগের বিষয়ে তামিম বলেন, মুসা নামের ছয় বছরের এক শিশু দাদির সঙ্গে ঘরের মধ্যে অবস্থান করছিল। ১৯শে জুলাই আন্দোলন চলাকালে পুলিশ গুলি করলে গুলি মুসার মাথা ভেদ করে দাদির পিঠে লাগে। দাদি সেখানে মারা যান। মুসাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সে এখন জীবিত আছে, কিন্তু কথা বলতে পারে না।
“তৃতীয় ঘটনাটি হল রামপুরার বনশ্রীতে। সেখানে পুলিশের গুলিতে নাদিম নামের একজন মারা যান।”
নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম