পাকিস্তান এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও তাদের এক কর্মকর্তা জুনের এক বিবৃতি দেখিয়ে দিয়েছেন; যেখানে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লি এই আদালতের এখতিয়ারই মানে না।
জলবিদ্যুৎ নির্মাণে ভারতকে সিন্ধু চুক্তি মানতে বলল হেগের সালিশি আদালত

- আপডেট সময় ০৪:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা করার সময় ভারতকে সিন্ধু পানিচুক্তির শর্ত মেনে চলতে বলেছে আন্তর্জাতিক একটি আদালত
পাকিস্তানের দিকে বয়ে চলা নদীগুলোতে যেকোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা করার সময় ভারতকে সিন্ধু পানিচুক্তির শর্ত মেনে চলতে বলেছে আন্তর্জাতিক একটি আদালত।
আদালতের এ রায় সিন্ধু চুক্তি নিয়ে কার্যত ইসলামাবাদের অবস্থানকেই সমর্থন করছে বলে মঙ্গলবার এক ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন।
এ রায় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তিতে পশ্চিম দিকে বয়ে চলা তিনটি নদীর পানি পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে, আর পূর্বদিয়ে বয়ে চলা তিনটি নদী পেয়েছে ভারত।
ইসলামাবাদের আশঙ্কা, প্রতিবেশী ভারত তাদের প্রাপ্য তিনটি নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ বা সীমিত করে দিতে পারে। পাকিস্তানের কৃষি এবং জলবিদ্যুতের ৮০ শতাংশই এই তিন নদীর ওপর নির্ভরশীল।
সিন্ধু চুক্তিতে পাকিস্তানকে দেওয়া নদীগুলোতে ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ছক নিয়ে ২০২৩ সালে ইসলামাবাদ হেগভিত্তিক স্থায়ী সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয়।
শুক্রবার ওই আদালত তাদের রায়ে বলে, ভারত এই পশ্চিমের নদীগুলোতে তার ইচ্ছামতো নকশায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারে না। নকশা করতে হবে সিন্ধু চুক্তিতে থাকা শর্ত অনুযায়ী।
সোমবার আদালতের ওয়েবসাইটে রায়টি প্রকাশিত হয়।
এরপর মঙ্গলবার রয়টার্সকে পাকিস্তানির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মোটাদাগে আদালত পাকিস্তানের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে, বিশেষ করে নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশার ক্ষেত্রে।
“এটা এখন পরিষ্কার, ভারত আদালতের রায় লঙ্ঘন করে এই প্রকল্পগুলোর কোনোটিই যে নির্মাণ করতে পারবে না তা আমি নিশ্চিত,” বলেছেন তিনি।
ভারতকে এই তিন নদীর পানি প্রবাহিত হতে দিতে হবে, যেন পাকিস্তান তা অবাধে ব্যবহার করতে পারে, আদালতের রায়ে এমনটাই বলা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আদালতের এই রায় চূড়ান্ত এবং উভয় দেশকেই এটা মানতে হবে, বিবৃতিতে এমনটাই বলেছে তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারতীয় এক কর্মকর্তা তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনের এক বিবৃতি দেখিয়ে দেন, যেখানে বলা হয়েছে, ভারত কখনোই সালিশি আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করেনি।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি ওই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ আছে অভিযোগ তুলে একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
পরের মাসে দুই দেশ চারদিনের ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে; কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যুর পর দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম