১০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
“এক বছরে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শিখেছি,” বলেন তিনি।

এক বছরের যাত্রা চমৎকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:২৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭৩ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্বের এক বছরের যাত্রাকে ‘চমৎকার’ বলে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন শফিকুল আলম।

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্বের এক বছরের যাত্রাকে ‘চমৎকার’ বলে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন শফিকুল আলম।

এ দায়িত্ব পালনকালে নানা অভিজ্ঞতার কথা বুধবার রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তিনি।

এই সময়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরেছেন সেখানে। দায়িত্ব শেষে আবারও সাংবাদিকতায় ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

চব্বিশের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের তিন দিন পর ৮ অগাস্ট দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ছয় দিন পর, অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের দায়িত্ব পান ঢাকায় এএফপির ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম। বুধবার সেই দায়িত্বের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।

শফিকুল আলম লেখেন, “এটি একটি চমৎকার যাত্রা। একটি বিদেশি সংবাদ সংস্থার প্রধান থেকে দৈনন্দিন আলোচনায় চলে আসা। গত এক বছরে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শিখেছি। আমাকে এই পদ প্রথম থেকেই তৈরি এবং গঠন করতে হয়েছে। কারণ এর আগে এটি প্রধানত আনুষ্ঠানিক ছিল এবং কোনো বাস্তব দায়িত্ব ছিল না।”

নিজের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে তিনি লেখেন, “আমি কী আমার কাজ ভালোভাবে করেছি? আমার মনে হয়, হ্যাঁ। যদিও আমার কিছু বন্ধু ভিন্ন মত পোষণ করেন। এটা ঠিক আছে, আমি তাদের মতামত সম্মান করি। আমি আরও ভালো করতে পারতাম বলে কামনা করি। আমার ভুলগুলো বেশিরভাগই সময় নির্ধারণের ব্যাপারে ছিল। কখনো দ্রুত পরিবর্তনশীল ঘটনাতে প্রতিক্রিয়া দিতে আমার দেরি হয়ে গেছে। আবার কখনো আমার কোনো প্রতিক্রিয়াই দেওয়া উচিত ছিল না। যোগাযোগ, অর্থনীতির মত প্রায়ই একে ‘নিরানন্দ বিজ্ঞান’ বলা হয়। এখানে নিয়ম আছে, কিন্তু বাস্তবতা সবসময় সেগুলো মেনে চলে না।”

নিজের স্ত্রী-সন্তান ও ভাইবোনদের জন্য এ বছর কঠিন ছিল বলে মনে করেন প্রেস সচিব।

তার কথায়, “তারা আমার পদসংক্রান্ত চাপ এবং সমালোচনা সহ্য করেছেন। আমি অনেক বন্ধু হারিয়েছি, সাংবাদিক সমাজেও। কিছু তরুণ সাংবাদিক আমাকে প্রকাশ্যে ‘স্পিন ডাক্তার’ বলে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমি ‘স্পিন’ করি না। আমি সাদাকে ‘সাদা’ এবং কালোকে ‘কালো’ বলি। ব্যাখ্যার পার্থক্য মানে এই নয় যে একপক্ষ মিথ্যা বলছে।”

প্রেস সচিব হিসেবে এক বছরে পাওয়া কিছু প্রশ্নকে ‘আলোচিত’ অভিহিত করে সেগুলো ফেইসবুক পোস্টে তুলে ধরেন শফিকুল।

বাংলাদেশ অবজারভারে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। সাড়ে ৭ বছর ক্রীড়া সাংবাদিকতার পর বাণিজ্য বিষয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে। আড়াই বছর সেখানে কাজ করে ২০০৫ সালে এএফপিতে যোগ দেন। এএফপিতে প্রথম সাত বছর করেসপন্ডেন্ট হিসেবে এবং পরে ঢাকার ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“এক বছরে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শিখেছি,” বলেন তিনি।

এক বছরের যাত্রা চমৎকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

আপডেট সময় ১২:২৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্বের এক বছরের যাত্রাকে ‘চমৎকার’ বলে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন শফিকুল আলম।

এ দায়িত্ব পালনকালে নানা অভিজ্ঞতার কথা বুধবার রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তিনি।

এই সময়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরেছেন সেখানে। দায়িত্ব শেষে আবারও সাংবাদিকতায় ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

চব্বিশের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের তিন দিন পর ৮ অগাস্ট দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ছয় দিন পর, অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের দায়িত্ব পান ঢাকায় এএফপির ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম। বুধবার সেই দায়িত্বের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।

শফিকুল আলম লেখেন, “এটি একটি চমৎকার যাত্রা। একটি বিদেশি সংবাদ সংস্থার প্রধান থেকে দৈনন্দিন আলোচনায় চলে আসা। গত এক বছরে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শিখেছি। আমাকে এই পদ প্রথম থেকেই তৈরি এবং গঠন করতে হয়েছে। কারণ এর আগে এটি প্রধানত আনুষ্ঠানিক ছিল এবং কোনো বাস্তব দায়িত্ব ছিল না।”

নিজের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে তিনি লেখেন, “আমি কী আমার কাজ ভালোভাবে করেছি? আমার মনে হয়, হ্যাঁ। যদিও আমার কিছু বন্ধু ভিন্ন মত পোষণ করেন। এটা ঠিক আছে, আমি তাদের মতামত সম্মান করি। আমি আরও ভালো করতে পারতাম বলে কামনা করি। আমার ভুলগুলো বেশিরভাগই সময় নির্ধারণের ব্যাপারে ছিল। কখনো দ্রুত পরিবর্তনশীল ঘটনাতে প্রতিক্রিয়া দিতে আমার দেরি হয়ে গেছে। আবার কখনো আমার কোনো প্রতিক্রিয়াই দেওয়া উচিত ছিল না। যোগাযোগ, অর্থনীতির মত প্রায়ই একে ‘নিরানন্দ বিজ্ঞান’ বলা হয়। এখানে নিয়ম আছে, কিন্তু বাস্তবতা সবসময় সেগুলো মেনে চলে না।”

নিজের স্ত্রী-সন্তান ও ভাইবোনদের জন্য এ বছর কঠিন ছিল বলে মনে করেন প্রেস সচিব।

তার কথায়, “তারা আমার পদসংক্রান্ত চাপ এবং সমালোচনা সহ্য করেছেন। আমি অনেক বন্ধু হারিয়েছি, সাংবাদিক সমাজেও। কিছু তরুণ সাংবাদিক আমাকে প্রকাশ্যে ‘স্পিন ডাক্তার’ বলে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমি ‘স্পিন’ করি না। আমি সাদাকে ‘সাদা’ এবং কালোকে ‘কালো’ বলি। ব্যাখ্যার পার্থক্য মানে এই নয় যে একপক্ষ মিথ্যা বলছে।”

প্রেস সচিব হিসেবে এক বছরে পাওয়া কিছু প্রশ্নকে ‘আলোচিত’ অভিহিত করে সেগুলো ফেইসবুক পোস্টে তুলে ধরেন শফিকুল।

বাংলাদেশ অবজারভারে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। সাড়ে ৭ বছর ক্রীড়া সাংবাদিকতার পর বাণিজ্য বিষয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে। আড়াই বছর সেখানে কাজ করে ২০০৫ সালে এএফপিতে যোগ দেন। এএফপিতে প্রথম সাত বছর করেসপন্ডেন্ট হিসেবে এবং পরে ঢাকার ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম