নির্বাচনি সরঞ্জামের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে এ উদ্যোগ এল।
ভোট প্রস্তুতি: ব্যবহার উপযোগী স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ তথ্য নিচ্ছে ইসি

- আপডেট সময় ০৩:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার উপযোগী কত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার উপযোগী কত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন।
এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কমিশন সচিবালয়ের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে।
সভাটি হয়েছে ১৮ অগাস্ট, সে হিসেবে এ সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পর্যায় থেকে ব্যালট বাক্সের তথ্য পাওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচনি সরঞ্জামের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে এ উদ্যোগ এল।
গেল ৫ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ‘মোটামুটি প্রস্তুত’, আগামী সপ্তাহে তা ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “তারপর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা মোটামুটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তা ঘোষণা করা হতে পারে।”
সমন্বয় সভায় ইসি সচিব আখতার আহমেদ সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তথ্য, নির্বাচনি সরঞ্জাম সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণে গুদামে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দের চাহিদা এবং ব্যবহার উপযোগী ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
সচিব বলেছেন, প্রয়োজনীয় সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে যাতে সময়ের কাজ সময় মতো শেষ করতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। একটু প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে সুচারুভাবে তা শেষ করা যাবে।
১০ সেপ্টেম্বর আসনভিত্তিক ভোটারের বিপরীতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ হচ্ছে; ২০ অক্টোবরের মধ্যে এ সম্ভাব্য তালিকা চূড়ান্ত হবে। তবে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট করবে ইসি।
ইতোমধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের সিলসহ নির্বাচনি সরঞ্জামের কেনাকাটার প্রাথমিক কাজ চলছে। এ ধারাবাহিকতায় ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন-ইসির কর্মকর্তারা।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৩ লাখের মতো ব্যালট বাক্স ব্যবহার করেছিল তৎকালীন কমিশন। সেবার ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি ভোট কক্ষ ছিল। নির্বাচনের আগে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স কিনতে হয়েছিল।
নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হয়। আর প্রতি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেওয়া হয়। সে হিসাবে, এবার ৩ লাখের বেশি ব্যালট বাক্সের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ও কেন্দ্রীয়ভাবে কী পরিমাণ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার উপযোগী আছে তা হিসেব করে চাহিদা নিরূপণ করবে ইসি সচিবালয়।
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার ও সতর্কতা
ভোটগ্রহণে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার শুরু হয় ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে। একই ধরনের ভিন্ন ভিন্ন নম্বর যুক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স জেলা পর্যায়ে পাঠানো হয় ভোটের আগে।
নির্বাচনের আগের দিন সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়।
>> প্রত্যেক ভোটকক্ষের জন্য একটি করে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি অতিরিক্ত হিসেবে ব্যালট বাক্স দেওয়ার নির্দেশনা থাকে। কোন ভোটকক্ষে একই সংগে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যায় না।
>> ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর অন্য একটি ব্যালট বাক্স দেওয়া হয়-ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ে কোনো ভোটকক্ষে যদি কোনো ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে যায় বা ব্যালট পেপার গ্রহণের জন্য তা আর ব্যবহার করা না যায়, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার এ ব্যালট বাক্স তার নিজের স্বাক্ষর ও সিলমোহর দ্বারা এবং উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনি এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টদের মধ্যে যারা ইচ্ছুক তাদের সিলমোহর বা দস্তখত নিয়ে সিল করে দেন এবং বাক্সকে একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখেন।
>> ভোট শুরু হওয়ার আগে ভোটকক্ষে যে পদ্ধতিতে ব্যালট বাক্স দিতে হয় সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে পুনরায় একটি নতুন ব্যালট বাক্স ব্যবহার করার নির্দেশনা থাকে ইসির।
সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম