১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
২০২২ সালে টুইটার কিনে নেওয়ার পর কোম্পানিটির খরচ কমানোর জন্য প্রায় ছয় হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন মাস্ক, যা কোম্পানিটির মোট কর্মীর অর্ধেকের বেশি ছিল।

ছাঁটাই হওয়া টুইটার কর্মীদের সঙ্গে মীমাংসা ইলন মাস্কের

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৩:২৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

কেনার পর টুইটারের নাম বদলে এক্স রাখেন মাস্ক, পাশাপাশি ছাঁটাই করেন বেশিরভাগ কর্মী। ছবি: রয়টার্স

 

টুইটার কেনার পর গুরুত্বপূর্ণ এক ক্লাস অ্যাকশন মামলা হয়েছিল প্ল্যাটফর্মটির নতুন মালিক ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে। সেই মমলার মিমাংসা হল এবার।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে অর্থ না দিয়ে ছাঁটাইয়ের অভিযোগে মামলা করেছিলেন টুইটারের (বর্তমানে এক্স) কিছু কর্মী।

ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের দাবি ছিল, ছাঁটাইয়ের সময় কোম্পানি তাদের প্রাপ্য ৫০ কোটি ডলার মুল্যের বেতন দেয়নি। তবে এখন টুইটারের ওই সাবেক কর্মীরা এক্স-এর সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।।

বুধবার স্যান ফ্রান্সিসকোর মার্কিন আপিল আদালতে উভয় পক্ষ, অর্থাৎ, এক্স ও ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা বলেছে, এ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন তারা। দুই পক্ষ আদালতে অনুরোধ করেছে, যেন এ মামলার আসন্ন শুনানি কিছু সময়ের জন্য পেছানো হয়, যাতে তারা চুক্তির কাগজপত্র ঠিকমতো গোছাতে পারেন।

২০২২ সালে টুইটার কিনে নেওয়ার পর কোম্পানিটির খরচ কমানোর জন্য প্রায় ছয় হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন মাস্ক, যা কোম্পানিটির পুরো কর্মীর অর্ধেকের বেশি ছিল।

ছাঁটাই হওয়া অনেক কর্মীই ওই সময় মামলা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ছাঁটাইয়ের পর কোম্পানিটি তাদের প্রাপ্য অর্থ দেয়নি।

এ বিষয়ে বিবিসির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি এক্স এবং ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের আইনজীবীরা।

সমঝোতার বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। পাশাপাশি এই চুক্তি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হতে আদালতের অনুমোদন লাগবে।

মামলাটি শুরু করেছিলেন টুইটারের সাবেক কর্মী কোর্টনি ম্যাকমিলান। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, প্রায় ৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সময় কোম্পানির নিয়ম অনুসারে কর্মীদের যেসব সুবিধা বা অর্থ দেওয়ার কথা ছিল তা না দিয়ে তাদের ঠকানো হয়েছে।

মামলাকারীরা বলেছেন, অনেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর তাদের দেওয়ার কথা রয়েছে এমন বেশ কয়েক মাসের বেতন ও কিছু অন্যান্য সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কেবল এক মাসের ছাঁটাই বেতন দিয়েছিল এবং কিছু কর্মী কোনও অর্থই পাননি।

টুইটার কেনার পর থেকে কোম্পানিটি থেকে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছেন মাস্ক, বিশেষ করে যারা কোম্পানিটির নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও নিয়ম কানুন দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তাদের।

ওই সময় টুইটারের কর্মী ছাঁটাই ছিল অনেক বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির খরচ কমানোর প্রথম ধাপ। সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি খরচ কমাতে ছোট পদের কর্মী বা সাধারণ স্টাফদের প্রথমেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে অনেক কোম্পানি দ্রুত অনেক কর্মী নিয়োগ করেছিল। কারণ তখন ডিজিটাল টুলস যেমন– কম্পিউটার, ইন্টারনেট, অ্যাপ ইত্যাদির ব্যবহার দ্রুতই বেড়েছিল।

তবে পরবর্তী বছরগুলোতে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে ফেইসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় মার্কিন বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২২ সালে টুইটার কিনে নেওয়ার পর কোম্পানিটির খরচ কমানোর জন্য প্রায় ছয় হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন মাস্ক, যা কোম্পানিটির মোট কর্মীর অর্ধেকের বেশি ছিল।

ছাঁটাই হওয়া টুইটার কর্মীদের সঙ্গে মীমাংসা ইলন মাস্কের

আপডেট সময় ০৩:২৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

 

টুইটার কেনার পর গুরুত্বপূর্ণ এক ক্লাস অ্যাকশন মামলা হয়েছিল প্ল্যাটফর্মটির নতুন মালিক ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে। সেই মমলার মিমাংসা হল এবার।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে অর্থ না দিয়ে ছাঁটাইয়ের অভিযোগে মামলা করেছিলেন টুইটারের (বর্তমানে এক্স) কিছু কর্মী।

ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের দাবি ছিল, ছাঁটাইয়ের সময় কোম্পানি তাদের প্রাপ্য ৫০ কোটি ডলার মুল্যের বেতন দেয়নি। তবে এখন টুইটারের ওই সাবেক কর্মীরা এক্স-এর সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।।

বুধবার স্যান ফ্রান্সিসকোর মার্কিন আপিল আদালতে উভয় পক্ষ, অর্থাৎ, এক্স ও ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা বলেছে, এ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন তারা। দুই পক্ষ আদালতে অনুরোধ করেছে, যেন এ মামলার আসন্ন শুনানি কিছু সময়ের জন্য পেছানো হয়, যাতে তারা চুক্তির কাগজপত্র ঠিকমতো গোছাতে পারেন।

২০২২ সালে টুইটার কিনে নেওয়ার পর কোম্পানিটির খরচ কমানোর জন্য প্রায় ছয় হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন মাস্ক, যা কোম্পানিটির পুরো কর্মীর অর্ধেকের বেশি ছিল।

ছাঁটাই হওয়া অনেক কর্মীই ওই সময় মামলা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ছাঁটাইয়ের পর কোম্পানিটি তাদের প্রাপ্য অর্থ দেয়নি।

এ বিষয়ে বিবিসির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি এক্স এবং ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের আইনজীবীরা।

সমঝোতার বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। পাশাপাশি এই চুক্তি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হতে আদালতের অনুমোদন লাগবে।

মামলাটি শুরু করেছিলেন টুইটারের সাবেক কর্মী কোর্টনি ম্যাকমিলান। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, প্রায় ৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সময় কোম্পানির নিয়ম অনুসারে কর্মীদের যেসব সুবিধা বা অর্থ দেওয়ার কথা ছিল তা না দিয়ে তাদের ঠকানো হয়েছে।

মামলাকারীরা বলেছেন, অনেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর তাদের দেওয়ার কথা রয়েছে এমন বেশ কয়েক মাসের বেতন ও কিছু অন্যান্য সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কেবল এক মাসের ছাঁটাই বেতন দিয়েছিল এবং কিছু কর্মী কোনও অর্থই পাননি।

টুইটার কেনার পর থেকে কোম্পানিটি থেকে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছেন মাস্ক, বিশেষ করে যারা কোম্পানিটির নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও নিয়ম কানুন দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তাদের।

ওই সময় টুইটারের কর্মী ছাঁটাই ছিল অনেক বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির খরচ কমানোর প্রথম ধাপ। সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি খরচ কমাতে ছোট পদের কর্মী বা সাধারণ স্টাফদের প্রথমেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে অনেক কোম্পানি দ্রুত অনেক কর্মী নিয়োগ করেছিল। কারণ তখন ডিজিটাল টুলস যেমন– কম্পিউটার, ইন্টারনেট, অ্যাপ ইত্যাদির ব্যবহার দ্রুতই বেড়েছিল।

তবে পরবর্তী বছরগুলোতে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে ফেইসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় মার্কিন বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম