আগেও যারা আবেদন করেছেন তাদেরকে আবার আবেদন করতে হবে, বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
আবার ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ

- আপডেট সময় ০২:২২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর্যন্ত বিশেষায়িত এ ব্যাংকের জন্য আবেদন নেওয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেইসবুক পেইজে এ বিষয়ক ঘোষণা দেওয়া হয়।
দুই বছর পর আবার আবেদন চাওয়ার তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগেও যারা আবেদন করেছেন তাদেরকে আবার আবেদন করতে হবে।
এর আগে যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পেয়েছিল সেগুলোকেও আবার আবেদন করতে হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “তাদেরকে তো অস্থায়ীভিত্তিতে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। তারা যখন পুরোপুরি তৈরি হবে তখন আমাদের (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) কাছে আবেদন করবে বাণিজ্যিক লাইসেন্স নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা তো ওই আবেদন করেনি। তারা তো প্রস্তুতি হয়নি বাণিজ্যক কাজ শুরুর জন্য।”
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছ, বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় ডিজিটাল উদ্ভাবনের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। এই বদলে যাওয়া পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসাকে সহায়তা করে আর্থিক সেবা আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আবেদন করতে অফেরযোগ্য পাঁচ লাখ টাকা ফি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র দেওয়া না হলে আবেদন বাতিল করা হবে।
ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকের আগের নীতমালায় মূলধন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়া এবার তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করেছে।
এর আগে ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালায় এর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা।
বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকা মূলধন থাকতে হয়।
দেশে ২০২৩ সালের জুনে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের পথ সুগম করতে নীতিমালা অনুমোদন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই নীতিমালা ধরে সেসময় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মত ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন আহ্বান করলে ৫২টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৯টি প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিচালনা পর্ষদের সভায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম ধাপে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। তার মধ্যে নগদ, এসিআই এর ‘কড়ি’ কে লাইসেন্স দেওয়া হয়।