০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে এভাবে ভোট চাওয়া নিয়ে ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে।

ডাকসু: ভোট চেয়ে এলাকা থেকে ‘নেতাদের’ ফোন, সমালোচনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০১:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকি ছবি

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচার শুধু ক্যাম্পাসেই থেমে নেই; বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের ফোন দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাওয়া হচ্ছে, যা নিয়ে সমালোচনা মুখর হয়েছেন অনেকেই।

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে এভাবে ভোট চাওয়া নিয়ে ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে।

শনিবার বিকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেছেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় নেতারা ফোন দিয়ে এ দুই ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলছেন।

এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর ছাত্রদল খুলনার রূপসার এক নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

আর ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানভীর বারী হামীম শনিবার রাতে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভোট চাইতে নিষেধ করেছেন।

তবে জামায়াত নেতাদের ভোট চাওয়ার বিষয়ে ছাত্রশিবির বা তাদের সর্মথিত প্যানেলের তরফে কোনো ঘোষণা আসেনি।

ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম ও জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদকে মোবাইল ফোন দেওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

হাজী মুহম্মমদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাইফ বিন শফি ফেইসবুকে পোস্টে লেখেন, “একটু আগে আবিদ ভাইয়ের সাথে একটা ছবি পোস্ট করার পর কক্সবাজার বিএনপির হারুন ভাই ফোন দিয়েছে। আমার ভোটটি আবিদ ভাইয়ের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলেছে। জয় আবিদ ভাইয়েরই হবে।”

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ গালিব বলেছেন, “আমাকে আমার এলাকা দিনাজপুর বিএনপির এক সদস্য ফোন দিয়েছে। বলেছে, ছাত্রদল প্রার্থীদের ভোট দিতে।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস আহমেদ হিমেল বলেন, “আমার মাকে ফোন দিয়ে এক জামায়াত নেত্রী বলছে, ডাকসুতে সাদিক-ফরহাদকে ভোট দিতে।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে শামসুন্নাহার হলের এজিএস প্রার্থী নিয়ন মনি ফেইসবুকে পোস্টে অভিযোগ করেন, “আজ সকালে আমার ফোনে একটা কল আসে। স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা আমাকে কল দেন এবং ছাত্রদলকে যেন ভোট দেই এটার জন্য প্রেশারাইজ করেন এবং বলেন আমাদের উপজেলার ঢাবির সকল পোলাপানদের সাথে ৯ তারিখের আগে দেখা করবেন, যেন ছাত্রদলের প্যানেলকেই আমরা ভোট দেই।

”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী কাকে ভোট দিবে না দিবে এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আপনারা সর্বোচ্চ অনুরোধ করতে পারেন কিন্তু ছাত্রদলের প্যানেলকেই ভোট দিতে হবে এ সিদ্ধান্ত আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না, এ এখতিয়ার কি আদৌও আপনার আছে?? দ্বিতীয়ত ছাত্রদলের সাথে আমার হল মানে শামসুন নাহার হলের অনে গুলো ন্যাক্কারজনক কাহিনি রয়েছে।”

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি লিখেছেন, “আমি ব্যক্তি নিয়ন মনি হিসেবে আপনাদের অবশ্যই ভোট দিব যদি আপনারা আমার প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মাদার পার্টির নেতারা এভাবে প্রত্যেকটা মেয়ের ব্যক্তিগত নাম্বারে কল দিয়ে এভাবে পুরা প্যানেলকে ভোট দেওয়ার জন্য বলাটা, শিক্ষার্থীদের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয় পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি ও অতীব জরুরি। আমার ভোট আমার গণতান্ত্রিক অধিকার, আমার যাকে যোগ্য মনে হবে তাকেই ভোট দিব।”

রোকয়া হল সংসদের জিএস প্রার্থী সামিয়া আক্তার ফেইসবুকে পোস্ট বলেছেন, “ভোট হয় ঢাবিতে, যখন তখন কল দিয়ে ভোট চায় জেলাভিত্তিক রাজনৈতিক কমিটির নেতারা। হোয়াট ইজ দিস ননসেন্স ভাই?

“আমার প্রশ্ন হচ্ছে ওইসব লোক আমাদের পারসোনাল নাম্বার পায় কিভাবে?? এগুলা অবশ্যই ক্যাম্পাস থেকেই কেও তাদেরকে দেয়?? এখানে আমার প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে, আমি আমার পারসোনাল নাম্বারে কল দিতে যাকে তাকে এলাউ করবো না, তাও কল দিয়ে আবার আমার সব ডিটেইলস বলে তারা।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব সামিয়া আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, “এজন্য হলেও আপনারা অনেক শিক্ষার্থীর বিরক্তির কারণ হওয়ায় ভোট হারাবেন। সুস্থ রাজনীতি করার রিকোয়েস্ট রইল।”

এদিকে এক শিক্ষার্থীর কাছে খুলনার পূর্ব রূপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনের ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে রাতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

ভিডিওতে সুজনকে বলতে শোনা যায়, “হ্যালো আসসালামু আলাইকমু, চৈতি আপু বলছেন? আমি রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজন। আমি আপনাদের বাসায় গেছিলাম, আপনার আম্মুর সঙ্গে কথা হয়েছে।

“আমরা মূলত আপনার বাসায় গেছি, কারণ আপনি অবগত আছেন, ঢাকা ভার্সিটিতে নির্বাচন চলতেছে। আমাদের ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি প্যানেল আছে, আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ, আমরা এ পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাদের বাসায় গেছি, আপনার পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। জিএস পদে যিনি নির্বাচন করতেছেন তিনি খুলনার রূপসার ছেলে ও আজিজুল বারী হেলালের ভাইপো (ভাতিজা)। ইতোমধ্যেই আপনি হয়তো বিষয়টি জানেন।”

শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সুজনকে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ বহিষ্কারের কথা জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হলে এভাবে ভোট চাইতে বারণ করে ফেইসুবেক পোস্ট দেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম।

তিনি লেখেন, “সারা বাংলাদেশের আপামর জনতা এবং বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী যারা আমাকে কিংবা আমার প‍্যানেলকে সমর্থন করছেন- আপনাদের কাছে অনুরোধ কোন শিক্ষার্থীকে কল করে আমাদের জন‍্য ভোট চেয়ে প্লিজ তাদেরকে বিব্রত করবেন না। আমি আপনাদের আবেগ-অনুভূতি-সমর্থনের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে আপনাদের অনুৎসাহিত করছি। আমি জানি, এ দেশের আপামর জনতার দুআ-সমর্থন ও ভালোবাসা আমাদের সাথে রয়েছে। এ সময়ে আপনাদের দুয়া’ই আমার ও আমাদের কাছে মুখ‍্য।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, “অনেকক্ষেত্রে বিরোধীরা নিজেরা কল করে আপনাকে বিব্রত করতে পারে। তাই তদন্তপূর্বক প্রতিক্রিয়া ব‍্যক্ত করবেন এই আশা আপনাদের কাছ থেকে আপনাদের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমি করতে চাই।”

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে এভাবে ভোট চাওয়া নিয়ে ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে।

ডাকসু: ভোট চেয়ে এলাকা থেকে ‘নেতাদের’ ফোন, সমালোচনা

আপডেট সময় ০১:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচার শুধু ক্যাম্পাসেই থেমে নেই; বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের ফোন দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাওয়া হচ্ছে, যা নিয়ে সমালোচনা মুখর হয়েছেন অনেকেই।

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে এভাবে ভোট চাওয়া নিয়ে ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে।

শনিবার বিকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেছেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় নেতারা ফোন দিয়ে এ দুই ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলছেন।

এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর ছাত্রদল খুলনার রূপসার এক নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

আর ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানভীর বারী হামীম শনিবার রাতে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভোট চাইতে নিষেধ করেছেন।

তবে জামায়াত নেতাদের ভোট চাওয়ার বিষয়ে ছাত্রশিবির বা তাদের সর্মথিত প্যানেলের তরফে কোনো ঘোষণা আসেনি।

ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম ও জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদকে মোবাইল ফোন দেওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

হাজী মুহম্মমদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাইফ বিন শফি ফেইসবুকে পোস্টে লেখেন, “একটু আগে আবিদ ভাইয়ের সাথে একটা ছবি পোস্ট করার পর কক্সবাজার বিএনপির হারুন ভাই ফোন দিয়েছে। আমার ভোটটি আবিদ ভাইয়ের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলেছে। জয় আবিদ ভাইয়েরই হবে।”

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ গালিব বলেছেন, “আমাকে আমার এলাকা দিনাজপুর বিএনপির এক সদস্য ফোন দিয়েছে। বলেছে, ছাত্রদল প্রার্থীদের ভোট দিতে।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস আহমেদ হিমেল বলেন, “আমার মাকে ফোন দিয়ে এক জামায়াত নেত্রী বলছে, ডাকসুতে সাদিক-ফরহাদকে ভোট দিতে।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে শামসুন্নাহার হলের এজিএস প্রার্থী নিয়ন মনি ফেইসবুকে পোস্টে অভিযোগ করেন, “আজ সকালে আমার ফোনে একটা কল আসে। স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা আমাকে কল দেন এবং ছাত্রদলকে যেন ভোট দেই এটার জন্য প্রেশারাইজ করেন এবং বলেন আমাদের উপজেলার ঢাবির সকল পোলাপানদের সাথে ৯ তারিখের আগে দেখা করবেন, যেন ছাত্রদলের প্যানেলকেই আমরা ভোট দেই।

”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী কাকে ভোট দিবে না দিবে এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আপনারা সর্বোচ্চ অনুরোধ করতে পারেন কিন্তু ছাত্রদলের প্যানেলকেই ভোট দিতে হবে এ সিদ্ধান্ত আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না, এ এখতিয়ার কি আদৌও আপনার আছে?? দ্বিতীয়ত ছাত্রদলের সাথে আমার হল মানে শামসুন নাহার হলের অনে গুলো ন্যাক্কারজনক কাহিনি রয়েছে।”

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি লিখেছেন, “আমি ব্যক্তি নিয়ন মনি হিসেবে আপনাদের অবশ্যই ভোট দিব যদি আপনারা আমার প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মাদার পার্টির নেতারা এভাবে প্রত্যেকটা মেয়ের ব্যক্তিগত নাম্বারে কল দিয়ে এভাবে পুরা প্যানেলকে ভোট দেওয়ার জন্য বলাটা, শিক্ষার্থীদের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয় পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি ও অতীব জরুরি। আমার ভোট আমার গণতান্ত্রিক অধিকার, আমার যাকে যোগ্য মনে হবে তাকেই ভোট দিব।”

রোকয়া হল সংসদের জিএস প্রার্থী সামিয়া আক্তার ফেইসবুকে পোস্ট বলেছেন, “ভোট হয় ঢাবিতে, যখন তখন কল দিয়ে ভোট চায় জেলাভিত্তিক রাজনৈতিক কমিটির নেতারা। হোয়াট ইজ দিস ননসেন্স ভাই?

“আমার প্রশ্ন হচ্ছে ওইসব লোক আমাদের পারসোনাল নাম্বার পায় কিভাবে?? এগুলা অবশ্যই ক্যাম্পাস থেকেই কেও তাদেরকে দেয়?? এখানে আমার প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে, আমি আমার পারসোনাল নাম্বারে কল দিতে যাকে তাকে এলাউ করবো না, তাও কল দিয়ে আবার আমার সব ডিটেইলস বলে তারা।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব সামিয়া আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, “এজন্য হলেও আপনারা অনেক শিক্ষার্থীর বিরক্তির কারণ হওয়ায় ভোট হারাবেন। সুস্থ রাজনীতি করার রিকোয়েস্ট রইল।”

এদিকে এক শিক্ষার্থীর কাছে খুলনার পূর্ব রূপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনের ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে রাতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

ভিডিওতে সুজনকে বলতে শোনা যায়, “হ্যালো আসসালামু আলাইকমু, চৈতি আপু বলছেন? আমি রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজন। আমি আপনাদের বাসায় গেছিলাম, আপনার আম্মুর সঙ্গে কথা হয়েছে।

“আমরা মূলত আপনার বাসায় গেছি, কারণ আপনি অবগত আছেন, ঢাকা ভার্সিটিতে নির্বাচন চলতেছে। আমাদের ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি প্যানেল আছে, আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ, আমরা এ পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাদের বাসায় গেছি, আপনার পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। জিএস পদে যিনি নির্বাচন করতেছেন তিনি খুলনার রূপসার ছেলে ও আজিজুল বারী হেলালের ভাইপো (ভাতিজা)। ইতোমধ্যেই আপনি হয়তো বিষয়টি জানেন।”

শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সুজনকে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ বহিষ্কারের কথা জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হলে এভাবে ভোট চাইতে বারণ করে ফেইসুবেক পোস্ট দেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম।

তিনি লেখেন, “সারা বাংলাদেশের আপামর জনতা এবং বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী যারা আমাকে কিংবা আমার প‍্যানেলকে সমর্থন করছেন- আপনাদের কাছে অনুরোধ কোন শিক্ষার্থীকে কল করে আমাদের জন‍্য ভোট চেয়ে প্লিজ তাদেরকে বিব্রত করবেন না। আমি আপনাদের আবেগ-অনুভূতি-সমর্থনের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে আপনাদের অনুৎসাহিত করছি। আমি জানি, এ দেশের আপামর জনতার দুআ-সমর্থন ও ভালোবাসা আমাদের সাথে রয়েছে। এ সময়ে আপনাদের দুয়া’ই আমার ও আমাদের কাছে মুখ‍্য।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, “অনেকক্ষেত্রে বিরোধীরা নিজেরা কল করে আপনাকে বিব্রত করতে পারে। তাই তদন্তপূর্বক প্রতিক্রিয়া ব‍্যক্ত করবেন এই আশা আপনাদের কাছ থেকে আপনাদের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমি করতে চাই।”

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম