০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
“লঞ্চে করে ঢাকায় চলে আসছে কি না, এজন্য ঢাকায় আসছি। কিন্তু পাচ্ছি না।”

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে খুঁজতে পিরোজপুর থেকে রাজধানীতে এক মা

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০১:৫০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

 

এক মেয়েকে দিতে গিয়েছিলেন মাদ্রাসায়, বাড়িতে এসে দেখেন আরেক মেয়ে নেই। ২৪ দিন নিখোঁজ ১২ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সেই মেয়ে মরিয়মকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মা।

মেয়েকে খুঁজে পেতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন মা রহিমা বেগম। পিরোজপুর থেকে তিনি এসেছে রাজধানী ঢাকাতেও। মেয়েকে খুঁজে পেতে সবার সাহায্য চেয়েছেন।

সদরঘাটে খোঁজার পর না পেয়ে আসেন পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায়। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা হলে মেয়েকে খুঁজে ফেরার কথা বলেন তিনি।

রহিমা বেগম বলেন, “আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটা আজ ২৪ দিন হারিয়ে গেছে। এলাকায় খোঁজাখুঁজি করছি, পাই নাই। খুলনা, গোপালগঞ্জেও খুঁজেছি, পাইনি। লঞ্চে করে ঢাকায় চলে আসছে কি না, এজন্য ঢাকায় আসছি। কিন্তু পাচ্ছি না।”

তিনি বলেন, আশুলিয়া এলকায় বড় মেয়ের বাসায় রাত কাটিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে ছবি হাতে ঘুরছেন মেয়ের খোঁজে।

 

পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বাদুরা গ্রামের রহিমা বেগম ও প্রয়াত রুহুল আমিন দম্পতির চার ছেলে-মেয়ের একজন মরিয়ম। বালিপাড়া নূরানী মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার বোন সুমাইয়াও একই মাদ্রাসায় পড়ছে। গত ১৩ অগাস্ট সকালে মেজ মেয়ে মরিয়মকে বাড়িতে রেখে ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে মাদ্রাসায় দিতে যান। বিকালে বাড়িতে ফিরে আর পাননি মরিয়মকে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রহিমা বলেন, “আমার মেয়েটার যখন এক বছর বয়স তখন ওর বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে ওরে পালছি। ও প্রতিবন্ধী টাইপের, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমার মেয়েটাকে ফেরত চাই।”

মেয়ের খোঁজ পেতে পিরোজপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

জিডির তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিরোজপুর সদর থানার এসআই মো. আব্দুল জলিল বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সারাদেশের থানাগুলোতে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। ফেইসবুক পেজেও ছবিসহ পোস্ট করা হয়েছে। পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি এবং এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সন্ধান মেলেনি। সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

 

মরিয়মের বর্ণনা

১২ বছরের মরিয়মের উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। মুখমণ্ডল গোলাকার, মাথার চুলকোকরা, খাট। নিখোঁজের সময় জলপাই রংয়ের নতুন থ্রিপিচ পড়া ছিল মেয়েটি। দুই হাতে ও দুট পায়ে বিভিন্ন দাগ আছে। পিরোজপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মেয়েটি।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“লঞ্চে করে ঢাকায় চলে আসছে কি না, এজন্য ঢাকায় আসছি। কিন্তু পাচ্ছি না।”

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে খুঁজতে পিরোজপুর থেকে রাজধানীতে এক মা

আপডেট সময় ০১:৫০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

এক মেয়েকে দিতে গিয়েছিলেন মাদ্রাসায়, বাড়িতে এসে দেখেন আরেক মেয়ে নেই। ২৪ দিন নিখোঁজ ১২ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সেই মেয়ে মরিয়মকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মা।

মেয়েকে খুঁজে পেতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন মা রহিমা বেগম। পিরোজপুর থেকে তিনি এসেছে রাজধানী ঢাকাতেও। মেয়েকে খুঁজে পেতে সবার সাহায্য চেয়েছেন।

সদরঘাটে খোঁজার পর না পেয়ে আসেন পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায়। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা হলে মেয়েকে খুঁজে ফেরার কথা বলেন তিনি।

রহিমা বেগম বলেন, “আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটা আজ ২৪ দিন হারিয়ে গেছে। এলাকায় খোঁজাখুঁজি করছি, পাই নাই। খুলনা, গোপালগঞ্জেও খুঁজেছি, পাইনি। লঞ্চে করে ঢাকায় চলে আসছে কি না, এজন্য ঢাকায় আসছি। কিন্তু পাচ্ছি না।”

তিনি বলেন, আশুলিয়া এলকায় বড় মেয়ের বাসায় রাত কাটিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে ছবি হাতে ঘুরছেন মেয়ের খোঁজে।

 

পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বাদুরা গ্রামের রহিমা বেগম ও প্রয়াত রুহুল আমিন দম্পতির চার ছেলে-মেয়ের একজন মরিয়ম। বালিপাড়া নূরানী মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার বোন সুমাইয়াও একই মাদ্রাসায় পড়ছে। গত ১৩ অগাস্ট সকালে মেজ মেয়ে মরিয়মকে বাড়িতে রেখে ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে মাদ্রাসায় দিতে যান। বিকালে বাড়িতে ফিরে আর পাননি মরিয়মকে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রহিমা বলেন, “আমার মেয়েটার যখন এক বছর বয়স তখন ওর বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে ওরে পালছি। ও প্রতিবন্ধী টাইপের, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমার মেয়েটাকে ফেরত চাই।”

মেয়ের খোঁজ পেতে পিরোজপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

জিডির তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিরোজপুর সদর থানার এসআই মো. আব্দুল জলিল বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সারাদেশের থানাগুলোতে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। ফেইসবুক পেজেও ছবিসহ পোস্ট করা হয়েছে। পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি এবং এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সন্ধান মেলেনি। সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

 

মরিয়মের বর্ণনা

১২ বছরের মরিয়মের উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। মুখমণ্ডল গোলাকার, মাথার চুলকোকরা, খাট। নিখোঁজের সময় জলপাই রংয়ের নতুন থ্রিপিচ পড়া ছিল মেয়েটি। দুই হাতে ও দুট পায়ে বিভিন্ন দাগ আছে। পিরোজপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মেয়েটি।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম