০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“দেখেন, এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল,” বলেন তিনি।

ডাকসুতে আওয়ামী লীগ-জামায়াত ‘আঁতাত’ দেখছেন মির্জা আব্বাস

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

ডাকসু নির্বাচনে ‘তলে তলে আঁতাত’ করে আওয়ামী লীগের সকল ভোট জামায়াতে ইসলামী নিয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

 

ডাকসু নির্বাচনে ‘তলে তলে আঁতাত’ করে আওয়ামী লীগের সকল ভোট জামায়াতে ইসলামী নিয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

জামায়াতকে ‘মোনাফেকের দল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি দাবি করেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, যার ফল ঘোষণা করা হয় বুধবার সকালে।

এ নির্বাচনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির অভাবনীয় জয় পেয়েছে। যে সংগঠন অতীতে কখনো প্রকাশ্যে প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি, কেন্দ্রীয় কোনো পদে জয় পায়নি, তারা এবার সম্পাদকীয় ১২টি পদের মধ্যে নয়টিতে বড় জয় পেয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল নব্বইয়ের ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জিতলেও এবার কোনো পদে জয় পায়নি।

ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ ধরে বিএনপি নেতা আব্বাস বলেন, “গতকাল ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি হেরে গেছে, এটা বলতে পারেন আপনারা। আমি কিন্তু বলতে পারি না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর এত ভোট কোত্থেকে আসলো। আমার তো হিসেবে মিলে না ভাই।

“আমি বলতে চাই না, কারচুপি হয়েছে। আমি বলতে চাই, দেশে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।

“কারণ আমরা যখন বিভিন্ন দল একসঙ্গে বসি, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বারবার আমাদের বলেন-‘ভাই খেয়াল রাইখেন, আওয়ামী লীগ যাতে আর কোনদিন আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ ঠেকান সবসময়। যে আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচু কাটা করবে। এটা তাদের ডায়ালগ।’”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার সেভাবেই করলাম। আর তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সকল ভোট জামায়াত নিয়ে নিয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ বিএনপি একটি মাত্র দল বাংলাদেশে, যে দলের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের জানমাল নিরাপদ।

“ডাকসু নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কালকের নির্বাচনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’, আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন, এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।”

২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে চাননি দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “জোর করে মুজাহিদ সাহেব আমাদের দেশনেত্রীকে নির্বাচনে নিয়ে গেল। তার ফল কি হল? জামায়াতে ইসলামীর চার থেকে পাঁচজন লোকের ফাঁসি হয়ে গেল। আর আমাদের থেকে চলে গেল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

“বহুদিন জেল খেটেছি। জেল খাটার এক পর্যায়ে- আমার সাথে নিজামী ও মুজাহিদ সাহেব, ডা. আব্দুল্লাহ তাহের এরা সকলেই কিন্তু আমার সঙ্গে ছিল, একই জেলে। একদিন নিজামী সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, হুজুর আপনি নির্বাচনে কেন গেলেন বলেন তো? নিজে তো গেলেন, আমাদেরও নিয়ে গেলেন। মারলেন তো আমাদেরও। উনি বললেন, আমি ভাই এ ব্যাপারে কিছু বলব না। পাশে ছিল মুজাহিদ সাহেব। উনি বললেন, আপনি বুঝবেন না কেন গেছি।”

তিনি বলেন, “আজকে দুর্ভাগ্য এই, ওই নির্বাচন কিন্তু উনাদের ফাঁসির দিকে নিয়ে গেল। তারপরও দেখেন, আওয়ামী লীগের সাথে তাদের প্রেম কিন্তু ছোটে না। এখনো আওয়ামী লীগের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে। এই নির্বাচনেও ভারতে বসে বসে তারা ‘ইন্সট্রাকশন’ দিয়েছে জামায়াতকে ভোট দিতে হবে।

“অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংস করলে পরে আর কোনো সমস্যা থাকে না জামায়াতে ইসলামের। আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে বসে বলবে, এই যে মৌলবাদীরা এসে গেছে। সুতরাং এই দেশটাকে দখল করতে হবে। এরকম চিন্তাভাবনা আওয়ামী লীগের ভিতরে আছে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না, দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে।”

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্বাচিতদের স্বাগত জানিয়ে আব্বাস বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে যাই হোক, যেভাবেই হোক, ওরা ইলেকশনে পাস করেছে। আমি এই কমিটিকে স্বাগত জানাতে চাই। আশা করব, এই কমিটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে। এবং তাদের সিনিয়র নেতারা দেশটাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, সেখান থেকে তাদের যেন রক্ষা করে।”

 

‘নোমানের প্রতি অবিচার হয়েছে’

প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের সাথে রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, “নোমান ভাইয়ের সাথে আমরা একসাথে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। ওনার মত একজন সৎ ও ভালো রাজনৈতিক সহকর্মী পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। দলকে তিনি এত ভালোবাসতেন, সকল কাজে আপ্রাণ লেগে থাকতেন। একসঙ্গে মিছিল করেছি, রাজপথে আন্দোলন করেছি। বহু স্মৃতি ওনার সাথে।

“এই দলের কাছ থেকে নোমান ভাইয়ের অনেক পাওনা ছিল। উনি দলের জন্য যে অবদান রেখেছেন, সে অনুযায়ী বিএনপির কাছ থেকে ওনার পাওনা ছিল। সেটা করার জন্য আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা সেটা যথাযথভাবে করতে পারিনি। ওনার উপর অবিচার করা হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্য বলেন, “আমার আব্বা ছিলেন বড় যোদ্ধা। তিনি মানুষের সমস্যা ও প্রয়োজন আগে বোঝার চেষ্টা করতেন। আমাদের দলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। আবদুল্লাহ আল নোমান কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে আপোষ করেননি।

“আপনারাও করবেন না। তা না হলে বাংলাদেশ আবার হোঁচট খাবে। গ্রুপিং এর নামে আমাদের মত মানুষরা যে কষ্ট পাচ্ছে, সেটা দরকার নেই। আমাদের যা আছে সব দিয়ে দিব। ষড়যন্ত্রের দরকার নেই।”

আব্দুল্লাহ আল নোমান শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার।

সেখানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, দলের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

 

 

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“দেখেন, এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল,” বলেন তিনি।

ডাকসুতে আওয়ামী লীগ-জামায়াত ‘আঁতাত’ দেখছেন মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় ১১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

ডাকসু নির্বাচনে ‘তলে তলে আঁতাত’ করে আওয়ামী লীগের সকল ভোট জামায়াতে ইসলামী নিয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

জামায়াতকে ‘মোনাফেকের দল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি দাবি করেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, যার ফল ঘোষণা করা হয় বুধবার সকালে।

এ নির্বাচনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির অভাবনীয় জয় পেয়েছে। যে সংগঠন অতীতে কখনো প্রকাশ্যে প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি, কেন্দ্রীয় কোনো পদে জয় পায়নি, তারা এবার সম্পাদকীয় ১২টি পদের মধ্যে নয়টিতে বড় জয় পেয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল নব্বইয়ের ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জিতলেও এবার কোনো পদে জয় পায়নি।

ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ ধরে বিএনপি নেতা আব্বাস বলেন, “গতকাল ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি হেরে গেছে, এটা বলতে পারেন আপনারা। আমি কিন্তু বলতে পারি না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর এত ভোট কোত্থেকে আসলো। আমার তো হিসেবে মিলে না ভাই।

“আমি বলতে চাই না, কারচুপি হয়েছে। আমি বলতে চাই, দেশে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।

“কারণ আমরা যখন বিভিন্ন দল একসঙ্গে বসি, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বারবার আমাদের বলেন-‘ভাই খেয়াল রাইখেন, আওয়ামী লীগ যাতে আর কোনদিন আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ ঠেকান সবসময়। যে আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচু কাটা করবে। এটা তাদের ডায়ালগ।’”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার সেভাবেই করলাম। আর তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সকল ভোট জামায়াত নিয়ে নিয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ বিএনপি একটি মাত্র দল বাংলাদেশে, যে দলের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের জানমাল নিরাপদ।

“ডাকসু নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কালকের নির্বাচনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’, আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন, এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।”

২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে চাননি দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “জোর করে মুজাহিদ সাহেব আমাদের দেশনেত্রীকে নির্বাচনে নিয়ে গেল। তার ফল কি হল? জামায়াতে ইসলামীর চার থেকে পাঁচজন লোকের ফাঁসি হয়ে গেল। আর আমাদের থেকে চলে গেল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

“বহুদিন জেল খেটেছি। জেল খাটার এক পর্যায়ে- আমার সাথে নিজামী ও মুজাহিদ সাহেব, ডা. আব্দুল্লাহ তাহের এরা সকলেই কিন্তু আমার সঙ্গে ছিল, একই জেলে। একদিন নিজামী সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, হুজুর আপনি নির্বাচনে কেন গেলেন বলেন তো? নিজে তো গেলেন, আমাদেরও নিয়ে গেলেন। মারলেন তো আমাদেরও। উনি বললেন, আমি ভাই এ ব্যাপারে কিছু বলব না। পাশে ছিল মুজাহিদ সাহেব। উনি বললেন, আপনি বুঝবেন না কেন গেছি।”

তিনি বলেন, “আজকে দুর্ভাগ্য এই, ওই নির্বাচন কিন্তু উনাদের ফাঁসির দিকে নিয়ে গেল। তারপরও দেখেন, আওয়ামী লীগের সাথে তাদের প্রেম কিন্তু ছোটে না। এখনো আওয়ামী লীগের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে। এই নির্বাচনেও ভারতে বসে বসে তারা ‘ইন্সট্রাকশন’ দিয়েছে জামায়াতকে ভোট দিতে হবে।

“অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংস করলে পরে আর কোনো সমস্যা থাকে না জামায়াতে ইসলামের। আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে বসে বলবে, এই যে মৌলবাদীরা এসে গেছে। সুতরাং এই দেশটাকে দখল করতে হবে। এরকম চিন্তাভাবনা আওয়ামী লীগের ভিতরে আছে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না, দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে।”

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্বাচিতদের স্বাগত জানিয়ে আব্বাস বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে যাই হোক, যেভাবেই হোক, ওরা ইলেকশনে পাস করেছে। আমি এই কমিটিকে স্বাগত জানাতে চাই। আশা করব, এই কমিটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে। এবং তাদের সিনিয়র নেতারা দেশটাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, সেখান থেকে তাদের যেন রক্ষা করে।”

 

‘নোমানের প্রতি অবিচার হয়েছে’

প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের সাথে রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, “নোমান ভাইয়ের সাথে আমরা একসাথে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। ওনার মত একজন সৎ ও ভালো রাজনৈতিক সহকর্মী পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। দলকে তিনি এত ভালোবাসতেন, সকল কাজে আপ্রাণ লেগে থাকতেন। একসঙ্গে মিছিল করেছি, রাজপথে আন্দোলন করেছি। বহু স্মৃতি ওনার সাথে।

“এই দলের কাছ থেকে নোমান ভাইয়ের অনেক পাওনা ছিল। উনি দলের জন্য যে অবদান রেখেছেন, সে অনুযায়ী বিএনপির কাছ থেকে ওনার পাওনা ছিল। সেটা করার জন্য আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা সেটা যথাযথভাবে করতে পারিনি। ওনার উপর অবিচার করা হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্য বলেন, “আমার আব্বা ছিলেন বড় যোদ্ধা। তিনি মানুষের সমস্যা ও প্রয়োজন আগে বোঝার চেষ্টা করতেন। আমাদের দলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। আবদুল্লাহ আল নোমান কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে আপোষ করেননি।

“আপনারাও করবেন না। তা না হলে বাংলাদেশ আবার হোঁচট খাবে। গ্রুপিং এর নামে আমাদের মত মানুষরা যে কষ্ট পাচ্ছে, সেটা দরকার নেই। আমাদের যা আছে সব দিয়ে দিব। ষড়যন্ত্রের দরকার নেই।”

আব্দুল্লাহ আল নোমান শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার।

সেখানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, দলের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

 

 

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম