লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল মাদ্রিদের দলটি।
১০ জন নিয়ে সোসিয়েদাদের মাঠে জিতল রেয়াল মাদ্রিদ

- আপডেট সময় ১২:১৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
প্রথমার্ধে দারুণ খেলল রেয়াল মাদ্রিদ। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার আগে-পরে গোল করে এগিয়ে গেল তারা। বিরতির পর অবশ্য বেশিরভাগ সময় ঘর সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হলো তাদের। একের পর এক আক্রমণে ব্যবধান কমালেও দ্বিতীয় গোলের দেখা আর পেল না রেয়াল সোসিয়েদাদ।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতল রেয়াল মাদ্রিদ। লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল মাদ্রিদের দলটি। চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শাবি আলোন্সোর দল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির পর প্রথমবার মাঠে নামা রেয়াল মাদ্রিদের এই জয়ের নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি তারকা করেন দলের প্রথম গোল। পরে আর্দা গিলেরের গোলে অবদান রাখেন তিনি। সোসিয়েদাদের একমাত্র গোলটি করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সোসিয়েদাদের জালে বল পাঠান গিলের। তবে বিল্ডআপের সময় এমবাপে অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। নবম মিনিটে দানি কার্ভাহালের ক্রসে দূরের পোস্টে ঠিকমতো ভলি করতে পারেননি এমবাপে, বল সহজেই ধরে ফেলেন গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পরই প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে সোসিয়েদাদের একজনের ব্যাকপাস পেয়ে সঙ্গে লেগে থাকা আরেকজনকে ছিটকে ফেলে এগিয়ে যান তিনি, এরপর বক্সের বাইরে থেকে শটে লক্ষ্যভেদ করেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
আসরে চার ম্যাচে এমবাপের গোল হলো চারটি।
পঞ্চদশ মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারতেন তিনি। বক্সের ভেতর দারুণ নৈপুণ্যে তার নেওয়া শট পোস্টের বাইরের দিকে লেগে চলে যায়।
৩২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রেয়াল মাদ্রিদ। মাঝমাঠের কাছে সোসিয়েদাদের ওইয়ারসাবালকে পেছনে থেকে ঘাড় ধরে টেনে ফেলে দেন সেন্টার-ব্যাক হাউসেন। তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। রেয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা ভিএআরে দেখার দাবি জানালেও শোনেননি তিনি, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান কোচ আলোন্সো।
রেয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারে আট ম্যাচে দুটি লাল কার্ড দেখলেন ২০ বছর বয়সী হাউসেন।
ওই ধাক্কা সামলে ৪৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। পায়ের কারিকুরিতে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে বাইলাইনের কাছ থেকে কাটব্যাক করেন এমবাপে, আর বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাছ থেকে জালে পাঠান গিলের।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেতে গিয়ে বেঁচে যায় রেয়াল মাদ্রিদ। সোসিয়েদাদের পাবলো মারিনের শট বক্সে আটকে দেন মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনি, বল এক পাশের পোস্টে লেগে গড়িয়ে অন্য পাশের পোস্টেও লাগে!
পাঁচ মিনিট পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান ওইয়ারসাবাল। বক্সে কার্ভাহালের হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
৬৫তম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পান ওইয়ারসাবাল। এবার কাছ থেকে তার শট ঠেকান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
৮৪তম মিনিটে আবার দলকে রক্ষা করেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। এগিয়ে এসে আরও একবার ওইয়ারসাবালের প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি।
প্রায় ৬৪ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য মোট ২৩টি শট নেয় সোসিয়েদাদ, যদিও লক্ষ্যে ছিল কেবল চারটি। রেয়াল মাদ্রিদের ১৬ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল।
চার ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে আছে সোসিয়েদাদ।
স্পোর্টস ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম