০৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“মোট শুল্ক প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে,‘’ বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিজিএমইএর বৈঠক

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:২২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নতুন মার্কিন শুল্কের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএ।

 

নতুন মার্কিন শুল্কের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএ।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ বলেছে, ব্রেন্ডন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাদের ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ‘চিফ অব মিশন রেসিডেন্সে’ এ বৈঠক হয়। এতে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ও লেবার অ্যাটাশে লীনা খান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির ওপর গড় এমএফএন (মোস্ট ফেবারড নেশন) শুল্ক ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর সঙ্গে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক মিলিয়ে মোট শুল্কের পরিমান প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।‘’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে শুল্ক আরও কমানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘স্ট্যাকিং মেথড’ ব্যবহার করে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে এই শুল্কের সমন্বয় করা যেতে পারে। কৌশলটি শুধু শুল্কের বোঝা কমাবে না, বরং মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেবে।

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাকে ২০ শতাংশ বা তার বেশি যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহৃত হলে সেই পণ্যের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আনুপাতিক হারে অব্যাহতি পাওয়া যাবে।

বিজিএমইএ নেতারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এই সুযোগকে কাজে লাগাতে অত্যন্ত আগ্রহী।

বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ এর সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন, আর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতি বজায় রেখে বাংলাদেশে শ্রম আইন সংস্কার করা হবে, এটি অত্যন্ত প্রত্যাশিত।

বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রেজওয়ান সেলিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক আবদুস সালাম এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এফটিএ অ্যান্ড পিটিএর চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব।

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“মোট শুল্ক প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে,‘’ বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিজিএমইএর বৈঠক

আপডেট সময় ১০:২২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

নতুন মার্কিন শুল্কের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএ।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ বলেছে, ব্রেন্ডন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাদের ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ‘চিফ অব মিশন রেসিডেন্সে’ এ বৈঠক হয়। এতে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ও লেবার অ্যাটাশে লীনা খান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির ওপর গড় এমএফএন (মোস্ট ফেবারড নেশন) শুল্ক ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর সঙ্গে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক মিলিয়ে মোট শুল্কের পরিমান প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।‘’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে শুল্ক আরও কমানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘স্ট্যাকিং মেথড’ ব্যবহার করে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে এই শুল্কের সমন্বয় করা যেতে পারে। কৌশলটি শুধু শুল্কের বোঝা কমাবে না, বরং মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেবে।

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাকে ২০ শতাংশ বা তার বেশি যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহৃত হলে সেই পণ্যের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আনুপাতিক হারে অব্যাহতি পাওয়া যাবে।

বিজিএমইএ নেতারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এই সুযোগকে কাজে লাগাতে অত্যন্ত আগ্রহী।

বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ এর সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন, আর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতি বজায় রেখে বাংলাদেশে শ্রম আইন সংস্কার করা হবে, এটি অত্যন্ত প্রত্যাশিত।

বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রেজওয়ান সেলিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক আবদুস সালাম এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এফটিএ অ্যান্ড পিটিএর চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব।

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম