শুরুতেই অধিনায়ককে হারিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়ে ইংলিশ দলটিকে কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি সেরি আ চ্যাম্পিয়নরা।
১০ জনের নাপোলিকে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির শুভসূচনা

- আপডেট সময় ০৮:০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
অধিনায়ক জিওভান্নি দি লরেন্সো শুরুর দিকেই লাল কার্ড দেখায় বাধ্য হয়ে রক্ষণে মনোযোগ বাড়ায় নাপোলি। তবে ম্যানচেস্টার সিটিকে আটকাতে পারেনি তারা। পুরোটা সময় আধিপত্য করে অনায়াস জয় পেয়েছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে ২-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন অভিযান শুরু করেছে ২০২২-২৩ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। আর্লিং হলান্ড দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান জেরেমি ডোকু।
আক্রমণ সামলাতে গিয়ে বড় ভুলটা করে বসেন নাপোলির অধিনায়ক জিওভান্নি দি লরেন্সো। তাতে তার দলের পরিকল্পনা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে যায়।
২১তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান হলান্ড, তখন ডি-বক্সের বাইরে তাকে ফাউল করে বসেন দি লরেন্সো। ভিএআর মনিটরে দেখে ইতালিয়ান ডিফেন্ডারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এই ঘটনায় কেভিন ডে ব্রুইনের সিটির আঙিনায় প্রতিপক্ষ রূপে ফেরার অধ্যায়টা খুব ছোট হয়ে যায়; রক্ষণকে শক্তিশালী রাখতে কিছুক্ষণ পরই বেলজিয়ান তারকাকে তুলে ডিফেন্ডার মাথিয়াস অলিভেরাকে নামান নাপোলি কোচ।
প্রতিপক্ষে একজন কম থাকায় চাপ আরও বাড়ায় সিটি। যদিও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়া নাপোলির বিপক্ষে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধে নাপোলির এক শটের বিপরীতে সিটি গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৫টি। বিরতির আগে কয়েক মিনিটের মধ্যে দারুণ দুটি সেভ করে নাপোলিকে সমতায় রাখেন গোলরক্ষক মিলিনকোভিচ-সাভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে অবশেষে ৫৬তম মিনিটে ডেডলক ভাঙতে পারে সিটি। ফিল ফোডেনের উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল হেডে জালে পাঠান হলান্ড।
সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্রুততম ৫০ গোলের রেকর্ড গড়েন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার, ৪৯ ম্যাচে। ২০০৭ সালে ৬২ ম্যাচে গোলের ফিফটি ছুঁয়ে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রেয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্ট্রাইকার রুড ফন নিস্টলরয়।
এই ৫০ গোলের ২৭টি হলান্ড করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। বাকিগুলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড (১৫) ও রেড বুল সালসবুর্কের জার্সিতে (৮)।
এগিয়ে যাওয়ার ৯ মিনিটের মাথায় দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডোকু। ডি-বক্সের মুখে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝে সতীর্থের পাস ধরে তড়িৎ ভেতরে ঢুকে, আরও দুজনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।
এরপর সিটির আক্রমণের ধার কমে যায়। বাকি সময়ে কেউই উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। আর নাপোলি পুরো ম্যাচে গোলের জন্য ওই একটি শটই নিতে পারে।
স্পোর্টস ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম