“পরিত্যক্ত বোয়িং-৭৮৭-৮ এয়ারক্রাফটটির কুলিং সিস্টেম কাজ না করায় আমরা এই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
দুবাইয়ে আটকা বিমানের যাত্রীদের দুই দিন পর ফেরানো হচ্ছে অন্য ফ্লাইটে

- আপডেট সময় ০৮:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুবাই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে আটকে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি মেরামত করতে না পেরে যাত্রীদের অন্য একটি ফ্লাইটে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুবাই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে আটকে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি মেরামত করতে না পেরে যাত্রীদের অন্য একটি ফ্লাইটে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই রিজিওনাল ম্যানেজার সাকিয়া সুলতানা বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “পরিত্যক্ত বোয়িং-৭৮৭-৮ এয়ারক্রাফটটির কুলিং সিস্টেম কাজ না করায় আমরা এই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
তিনি বলেন, নিয়মিত এয়ারক্র্যাফটের পরিবর্তে একটি সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ দেওয়া হচ্ছে। তাতে মঙ্গলবার থেকে আটকে থাকা ১৭৮ জন যাত্রীর পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত ফ্লাইটের যাত্রীদের একসঙ্গে দেখে পাঠানো যাবে। এই উড়োজাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৪১৯ জন।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে এসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় দুবাই পৌঁছেছে। সেটি রাত ১২টা ৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি-২৪৮ নাম নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
শুক্রবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে উড়োজাহাজটি সিলেটে পৌঁছাবে এবং এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার অবর্ণনীয় দুর্ভোগের পর বিমান যাত্রীরা দেশের পথে রওনা হবেন।
পরিত্যক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজে করে ঢাকা থেকে একটি টেকনিক্যাল টিম দুবাই পৌঁছেছেন বলে সাকিয়া সুলতানা জানান।
যান্ত্রিক গোলযোগে পড়া বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১১ মিনিটে। সেখান থেকে ফিরতি যাত্রায় রওনা হওয়ার কথা ছিল রাত ১২টা ৫ মিনিটে। ফ্লাইট বিজি-২৪৮ এর সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে।
নির্ধারিত সময়ে যাত্রীদের উড়োজাহাজে ওঠানোর পর যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি ধরা পড়ে। ফলে দুবাই বিমানবন্দরে গ্রাউন্ডেড হয়ে থাকে বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার।
আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে ১৭৫ জনকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয় এবং ভিসাজনিত সমস্যার কারণে বাকি তিনজনকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে রাখা হয়।
এর মধ্যে বিমানের আরেকটি ফ্লাইট প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে দুবাই পৌঁছায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে। যাত্রীদের জানানো হয়, মেরামত শেষে রাত দেড়টায় ফ্লাইট ছাড়বে। সেজন্য যাত্রীদের রাত ৯টায় হোটেল থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
এরপর বলা হয়, দেড়টায় নয়, বিমান ছাড়বে রাত ২টায়। পরে আরেক দফা পিছিয়ে আড়াইটায় ফ্লাইট সময় ঠিক হয়। কিন্তু তারপরও বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি সারানো যায়নি।
ফলে যাত্রীদের দুর্দশার মধ্যে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে রাত্রিযাপন করতে হয়। যাত্রীদের বৃহস্পতিবার সকালে ফের এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়।
আটকা পড়া যাত্রীদের মধ্যে আছেন আবুধাবির হাবিব আহমেদ। তিনি বলেন, “দ্রুত ঢাকায় পৌঁছানোর জন্য বিমানের ফ্লাইটটি বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু বিলম্বের কারণে নারী, শিশু ও প্রবীণসহ সবাই ভোগান্তিতে পড়েছে।”