জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চার রাজনৈতিক নেতার সফর কেবল কূটনৈতিক নয়, দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য ও ভবিষ্যতের নির্বাচনের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
জাতিসংঘে ইউনূসের সফরসঙ্গী: আন্তর্জাতিক কূটনীতি নাকি বাংলাদেশের রাজনীতি?

- আপডেট সময় ০৯:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির জাতিসংঘ সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে নিউ ইয়র্কে।
আমার এক বন্ধু বলছিলেন, “জাতিসংঘের অধিবেশনের সময় ম্যানহাটনে বাংলাদেশি পপুলেশন হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। কারণ, বাংলাদেশ থেকে বড়োসড় প্রতিনিধি দল যায়। বেগম জিয়ার সময় এই সংখ্যা একশ’র বেশি ছিল, শেখ হাসিনার সময়ে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেত। ড. ইউনূসের সময় অবশ্য সংখ্যা প্রকাশ করা হয় না; শুধু বেছে বেছে বিশেষ সফরসঙ্গীদের নাম জানানো হয়।”
এবারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চার সফরসঙ্গীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তার সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন চারজন রাজনীতিবিদ—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
কেন ড. ইউনূস এই চারজনকে সফরসঙ্গী করলেন? কেন তিনি এই মুহূর্তে তাদেরকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাইলেন? সেটি নিশ্চয় গভীর চিন্তাভাবনার ফল।
একজন সিনিয়র সাংবাদিককে আমি জিজ্ঞেস করলে তিনি এটিকে সংক্ষেপে বললেন, ‘ইউনূসের কোয়ালিশন’। তার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে এই কোয়ালিশনের উদ্দেশ্য আসলে কী—তা আমরা সেটি একটু খতিয়ে দেখতে পারি।
কেউ প্রশ্ন করতে পারেন—জাতিসংঘের অধিবেশনে বেসরকারি সফরসঙ্গীদের কাজই বা কী? আমি বিগত বছরগুলোতে যা দেখেছি—দামি হোটেলে থাকা, ভালো রেস্তোরাঁয় খাওয়া, নিউ ইয়র্কে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা; এর বাইরে তাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না।

সরকার প্রধানরাও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এসে বক্তৃতা দেওয়া ছাড়া যে খুব বেশি কিছু করতে পারেন, তা বলা যাবে না। এত দেশ থেকে এত নেতা একসঙ্গে জড়ো হন—এই অল্প সময়ে কে-ই বা কার সঙ্গে কতটা দেখা করবেন? তবু তারা বেছে বেছে দু-একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। যেমন গেল বছর ড. ইউনূস দেখা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে।
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতবার একগুঁয়েমি করে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেননি—যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বেড়েছে। পরে ব্যাংককে তাদের সাক্ষাৎ হলেও আগের না-দেখা হওয়ার তিক্ততা কমেনি বলেই অনুমান করা যায়।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ অধিবেশনে সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন, কিন্তু তা সচরাচর সম্ভব হতো না। করিডোরে হঠাৎ ‘হ্যালো’ বলা আর ছবি তোলার ঘটনাকে দেশে সাক্ষাৎকার বলে প্রচার করতেন তিনি।
আসলে জাতিসংঘ অধিবেশনের কূটনৈতিক রীতিনীতি অনেকটাই প্রতীকী—কার সঙ্গে করমর্দন হলো, কার সঙ্গে হলো না, তাতেই পরিমাপ করা হয় সম্পর্কের উষ্ণতা বা শীতলতা।
আবার কাজের কথায় ফিরি। প্রশ্ন হলো—‘ইউনূস কোয়ালিশন’ কেন নিউ ইয়র্কে? পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। তাই এ অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা সেখানে কী অবদান রাখবেন—তা স্পষ্ট নয়।
রোহিঙ্গা সংকট তো আসলে ত্বকী হত্যার বিচারের মতোই। বছরের পর বছর সভা-সেমিনার, আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি আর আলোচনার পরও কোনো দৃশ্যমান ফল মিলে না জাতিসংঘ থেকে। যেমন নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবারই বিক্ষোভ জানানো হয়, মোমবাতি প্রজ্জ্বালন চলে, তারপর আবারও অপেক্ষা করতে হচ্ছে—রোহিঙ্গা সংকটও ঠিক সেভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থবির হয়ে আছে।
অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, ইউনূস কোয়ালিশন মূলত রাজনৈতিক। এর গঠন ও ভ্রমণ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন মিলে ভোটের সংখ্যানুপাতিক বিচারে আসন বিন্যাস অর্থাৎ পিআরের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের পরোক্ষ একটি জোট গঠন করেছে। এনসিপি আপাতত যুক্ত হয়নি যুগপতের জোটে, তবে যুক্ত হয়ে গেলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতেও তাদের আলাদা মর্যাদা এনে দিয়েছে, আর তারা সেটার সুযোগ নিচ্ছে পুরোপুরি।
জামায়াতে ইসলামী ও সঙ্গীদের জোট যে বিএনপির বিরুদ্ধে—তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাদের কর্মসূচি পুরোপুরি বিএনপির দাবির বিপরীত। তবে জোট যেভাবে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, তা ড. ইউনূস ও তার সরকারের সংস্কার এবং নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিকে সরাসরি আঘাত করবে। তাই, নিউ ইয়র্ক সফরের সফরসঙ্গী নির্বাচনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট, সেখানে যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি কূটনৈতিক কৌশল খোঁজার চেষ্টা হবে, তেমনি দেশের ভেতরের রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্য নিয়েও হিসাব-নিকাশ চলবে বলে অনুমান করা যায়।
মুহাম্মদ ইউনূসের এই সময় এই রাজনৈতিক নেতাদের একত্র করে নিউ ইয়র্কে নিয়ে যাওয়ার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে—
১. তার অনুস্থিতিতে দেশে যেন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়। এটি ড. ইউনূসের একটি মোক্ষম কৌশল, যা তাকে সময়মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
২. নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের কর্মসূচির ফাঁকে ফাঁকে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নির্বাচন-পূর্ব সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা। দেশে সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে তিনি যে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা তৈরি করেছিলেন, তা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি চাইবেন তার ‘লিগ্যাসি’ অক্ষুণ্ণ রেখে যেতে, যেন তার শুরু করা সংস্কার ও কোয়ালিশন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অর্থাৎ, এই সফর কেবল আন্তর্জাতিক মঞ্চে কূটনৈতিক উপস্থিতি নয়, বরং দেশের ভেতরের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও আসন্ন নির্বাচন কৌশলের সঙ্গেও সংযুক্ত।
দেশে ফিরে আসার পরও যদি এই কোয়ালিশন অক্ষুণ্ণ রাখতে পারেন, তাহলে তিনি সনদ, আন্দোলন, নির্বাচন—এইসব বিষয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারবেন। এই নিয়ন্ত্রণ হারালে, ড. ইউনূসের ‘লিগ্যাসি’ সরাসরি হুমকির মুখে পড়বে।
তবে জামায়াতকে সামলানো ড. ইউনূসের পক্ষে কতটুক সম্ভব হবে, তা অনিশ্চিত। জামায়াতের অঞ্চলভিত্তিক যে কিছু ঘাঁটি ছিল সেগুলো এখনও আগের মতোই কার্যকর আছে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। তবে তাদের সমর্থন যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকটাই সুষমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, এটা নিশ্চিত। তাই তারা মনে করছে, যদি পিআর অর্থাৎ ভোটের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আসন বণ্টনের নির্বাচন হয়, তাহলে তারা অনেক বেশি আসন পেতে পারবে।
এই কারণে, জামায়াত সনদ, পিআর এবং জাতীয় পার্টিকে অবৈধ ঘোষণা—এইসব নিয়ে একাধিক দলের সঙ্গে মিলে যুগপৎ আন্দোলনের মাঠে নেমেছে। অর্থাৎ, ড. ইউনূসের কোয়ালিশনের সফলতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সরাসরি এই জোটের প্রতিক্রিয়ার ওপরও নির্ভর করছে।
জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, বিএনপিকে কোনঠাসা করার জন্য রাজপথে থাকা তাদের জন্য বেশি ফলদায়ক হবে। এতে ড. ইউনূসের প্ল্যান বা লিগ্যাসি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, তারা ছাড় দেবে বলে মনে হচ্ছে না।
জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনকে সামনে দেখা গেলেও এবং পেছনে হয়তো জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের দল এনসিপিও রয়েছে। এনসিপি গঠিত হওয়ার পর যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তার কিছুই তারা বাস্তবে দেখাতে পারেনি। বরং ডাকসুতে তাদের ছাত্রসংগঠন চতুর্থ স্থান দখল করে নিজেদের অগ্রহণযোগ্য অবস্থার বার্তা দিয়েছে। যাদের জন্মলগ্নে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে মনে করা হতো, তারা সমর্থন হারিয়ে এখন জামায়াতের পেছনে দাঁড়াতে চলেছে।
নুরুল হক নুরের পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, জুলাই অভ্যুত্থানের আগে এবং পরেও বিএনপির মিত্র ছিল। তারেক রহমান প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন নুরের জন্য পটুখালীতে একটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপির স্থানীয় নেতারা নুরকে তার এলাকায় হেনস্তা করার পর, নুরও জামায়াতের দিকে ঝুঁকেছেন। অর্থাৎ, বিএনপির ভেতরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও স্থানীয় নেতাদের আচরণ জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে সুযোগ করে দিয়েছে, যা ড. ইউনূসের কোয়ালিশন ও লিগ্যাসিকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
ড. ইউনূসের ভ্রমণসঙ্গীদের মধ্যে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির। তিনি দেশের বাইরে যতদিন থাকবেন, আশা করা যায় দেশে জোটের কর্মসূচি কিছুটা স্থিমিত থাকবে। তাই আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরই সফরসঙ্গীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি।
বিএনপির প্রতিনিধি দুজন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব—যেখানে তিনি উপস্থিত, সেখানে অন্য প্রতিনিধি থাকার প্রয়োজন প্রায় নেই বললেই চলে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিজ ইনার সার্কেলের লোকজনই এখন দলের কার্যক্রম চালাচ্ছে। পুরাতন নেতারা শুধুই নিজেদের সম্মান রক্ষা করছেন। এমনকি সিনিয়র হুমায়ুন কবিরকে পেছনে ফেলে, জুনিয়র হুমায়ুন কবির তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ইউনূস কোয়ালিশনে তিনিই তারেক রহমানের মূল প্রতিনিধি এবং তার উপস্থিতি দলের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।
জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের সংগঠন এনসিপি তাদের সমর্থন ও সম্মান—দুটোই হারাতে বসেছে, ডাকসু-জাকসুর পর তা প্রকট হয়েছে। তবুও ড. ইউনূস, জুলাই আন্দোলনের প্রতি তার ধারাবাহিক সমর্থনের কারণে, এনসিপির একজন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, জাতীয় সংলাপে তারা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
এই কোয়ালিশন কতটা বাস্তব এবং কতটা কার্যকর, নাকি এটি পুরোপুরিই ফানুস—সেটা সফরসঙ্গীরা মাস শেষে দেশে ফিরে আসার পরই স্পষ্ট হবে। ড. ইউনূস যদি সফল হন, তাহলে সনদ ও নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত কিছুটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে।
তবে এখন তাদের মধ্যে যে রাজনৈতিক রসায়ন, তা সমঝোতার অভিধানের বাইরে মনে হয়। ভাবতেই অবাক লাগে, বছরখানেক আগে শেখ হাসিনার রক্তচক্ষুর শাসনামলে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে না হলেও গোপন জুটি ছিল, যাকে বলা যায় রাজনীতির ‘হাসি ও খুশি’। অর্থাৎ, অতীতের এই গোপন সমঝোতার স্মৃতি নতুন কোয়ালিশনের জন্য একটি জটিল পটভূমি হিসেবে কাজ করছে।
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম