১২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“আমি বহুবার অমিতাভের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, কিন্তু তিনি কখনোই রেখাকে নিয়ে কিছু বলতেন না।”

অমিতাভ-রেখার ‘প্রেম নয়, ছিল মোহ’: সাংবাদিক সামন্ত

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন ও রেখার ত্রিভূজ প্রেম কাহিনী বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। অমিতাভ-জয়া ও রেখা যে যার জীবনে থিতু হলেও এখনও অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক চর্চিত একটি বিষয়।

 

অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন ও রেখার ত্রিভূজ প্রেম কাহিনী বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। অমিতাভ-জয়া ও রেখা যে যার জীবনে থিতু হলেও এখনও অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক চর্চিত একটি বিষয়।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ২০০৪ সালের সিমি গারেওয়ালের টক শো ‘রেন্ডেজভাস’-এ অমিতাভের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন রেখা।

অভিনেত্রীর কাছে সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনা আসলেই অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েছিলেন কি না? জবাবে রেখা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই’।

এখন এই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীণ সাংবাদিক পূজা সামন্ত বলেছেন, অমিতাভ-রেখার মধ্যে ‘প্রেম ছিল না, যা ছিল, তা হল মোহ’।

পূজা সমান্ত সত্তরের দশকের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “অমিতাভ ও রেখার সম্পর্ক সর্বসমক্ষে অতিরঞ্জিত হয়ে উঠেছিল।

“দুজনের মধ্যে কিছুটা মোহ জন্মেছিল। তবে আমি মনে করি না ওটা প্রেম ছিল, কারণ অমিতাভ তখন ইতোমধ্যে বিবাহিত।”

রেখার সাহসী উপস্থিতি সেই সময়ে বিতর্ক আরও উসকে দিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

“যেমন ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের বিয়েতে রেখা যখন সিঁদুর পরে উপস্থিত হন, তখন সেটি ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেদিন বর-কনের চেয়েও বেশি মনোযোগ কেড়েছিলেন রেখা।”

পূজা সামন্তের ভাষ্য, অমিতাভকে প্রভাবিত করতে রেখা নাকি নিরামিষাশীও হয়েছিলেন।

অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক যতটা চাউর হয়েছিল, এ বিষয়ে অমিতাভ ও জয়া ততটাই নীরবতা বেছে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পূজা সামন্ত।

পূজা বলেন, “আমি বহুবার অমিতাভের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, কিন্তু তিনি কখনোই রেখাকে নিয়ে কিছু বলতেন না। প্রসঙ্গ খানিকটা উঠলেও বিষয়টি তিনি পুরোপুরি এড়িয়ে যেতেন। আর জয়া কখনোই কোনো সাক্ষাৎকার দিতেন না।”

 

তবে জয়া একবার সরাসরি কিছু না বলেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এই সাংবাদিক।

পূজা বলেন, একবার জয়া রেখাকে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাদের বাড়িতে। ডিনারের শেষে বিদায়ের সময়, জয়া কিছু স্পষ্ট বার্তা দেন রেখাকে, যা ছিল একেবারে স্পষ্ট।

পূজা বলেন, “তিনি রেখাকে বুঝিয়ে দেন যে তিনি মিসেস বচ্চন এবং যাই হোক না কেন, তার অবস্থানের পরিবর্তন হবে না, অটুট থাকবে।”

জয়ার ওই কথার পর থেকে রেখা ও অমিতাভ আর একসঙ্গে কাজ করেননি।

তবে এই তিনজনের মধ্যে কেবল রেখাই এখনো মাঝেমধ্যে এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেন এবং যা বলেন তাতে আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখা গেছে।

‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কাপিল শোয়ে’ গিয়ে রেখা ‘সুহাগ’ সিনেমা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন রেখা। সেখানে একজন ভক্ত তাকে অমিতাভের সঙ্গে ডান্ডিয়া খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করেন।

জবাবে রসিকতা করে রেখা বলেন, “ডান্ডিয়া খেলা আমি জানি কি না, সেটা বড় কথা না, ওই মানুষটার সামনে দাঁড়ালেই শরীর নিজে নিজেই নাচতে শুরু করত।”

১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দো আনজানে’ সিনেমাতে প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধেন অমিতাভ ও রেখা। প্রচলিত আছে, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ‘প্রেমে পড়ে যান’ রেখা ও বিবাহিত অমিতাভ।

এরপর ‘আলাপ’, ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ ও ‘রাম বলরাম’ এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাদের। এই জুটির সর্বশেষ সিনেমা ‘সিলসিলা’, মুক্তি পায় ১৯৮১ সালে।

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“আমি বহুবার অমিতাভের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, কিন্তু তিনি কখনোই রেখাকে নিয়ে কিছু বলতেন না।”

অমিতাভ-রেখার ‘প্রেম নয়, ছিল মোহ’: সাংবাদিক সামন্ত

আপডেট সময় ০৯:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন ও রেখার ত্রিভূজ প্রেম কাহিনী বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। অমিতাভ-জয়া ও রেখা যে যার জীবনে থিতু হলেও এখনও অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক চর্চিত একটি বিষয়।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ২০০৪ সালের সিমি গারেওয়ালের টক শো ‘রেন্ডেজভাস’-এ অমিতাভের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন রেখা।

অভিনেত্রীর কাছে সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনা আসলেই অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েছিলেন কি না? জবাবে রেখা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই’।

এখন এই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীণ সাংবাদিক পূজা সামন্ত বলেছেন, অমিতাভ-রেখার মধ্যে ‘প্রেম ছিল না, যা ছিল, তা হল মোহ’।

পূজা সমান্ত সত্তরের দশকের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “অমিতাভ ও রেখার সম্পর্ক সর্বসমক্ষে অতিরঞ্জিত হয়ে উঠেছিল।

“দুজনের মধ্যে কিছুটা মোহ জন্মেছিল। তবে আমি মনে করি না ওটা প্রেম ছিল, কারণ অমিতাভ তখন ইতোমধ্যে বিবাহিত।”

রেখার সাহসী উপস্থিতি সেই সময়ে বিতর্ক আরও উসকে দিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

“যেমন ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের বিয়েতে রেখা যখন সিঁদুর পরে উপস্থিত হন, তখন সেটি ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেদিন বর-কনের চেয়েও বেশি মনোযোগ কেড়েছিলেন রেখা।”

পূজা সামন্তের ভাষ্য, অমিতাভকে প্রভাবিত করতে রেখা নাকি নিরামিষাশীও হয়েছিলেন।

অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক যতটা চাউর হয়েছিল, এ বিষয়ে অমিতাভ ও জয়া ততটাই নীরবতা বেছে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পূজা সামন্ত।

পূজা বলেন, “আমি বহুবার অমিতাভের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, কিন্তু তিনি কখনোই রেখাকে নিয়ে কিছু বলতেন না। প্রসঙ্গ খানিকটা উঠলেও বিষয়টি তিনি পুরোপুরি এড়িয়ে যেতেন। আর জয়া কখনোই কোনো সাক্ষাৎকার দিতেন না।”

 

তবে জয়া একবার সরাসরি কিছু না বলেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এই সাংবাদিক।

পূজা বলেন, একবার জয়া রেখাকে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাদের বাড়িতে। ডিনারের শেষে বিদায়ের সময়, জয়া কিছু স্পষ্ট বার্তা দেন রেখাকে, যা ছিল একেবারে স্পষ্ট।

পূজা বলেন, “তিনি রেখাকে বুঝিয়ে দেন যে তিনি মিসেস বচ্চন এবং যাই হোক না কেন, তার অবস্থানের পরিবর্তন হবে না, অটুট থাকবে।”

জয়ার ওই কথার পর থেকে রেখা ও অমিতাভ আর একসঙ্গে কাজ করেননি।

তবে এই তিনজনের মধ্যে কেবল রেখাই এখনো মাঝেমধ্যে এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেন এবং যা বলেন তাতে আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখা গেছে।

‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কাপিল শোয়ে’ গিয়ে রেখা ‘সুহাগ’ সিনেমা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন রেখা। সেখানে একজন ভক্ত তাকে অমিতাভের সঙ্গে ডান্ডিয়া খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করেন।

জবাবে রসিকতা করে রেখা বলেন, “ডান্ডিয়া খেলা আমি জানি কি না, সেটা বড় কথা না, ওই মানুষটার সামনে দাঁড়ালেই শরীর নিজে নিজেই নাচতে শুরু করত।”

১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দো আনজানে’ সিনেমাতে প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধেন অমিতাভ ও রেখা। প্রচলিত আছে, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ‘প্রেমে পড়ে যান’ রেখা ও বিবাহিত অমিতাভ।

এরপর ‘আলাপ’, ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ ও ‘রাম বলরাম’ এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাদের। এই জুটির সর্বশেষ সিনেমা ‘সিলসিলা’, মুক্তি পায় ১৯৮১ সালে।

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম