দুজনই ঢলের পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার

- আপডেট সময় ০১:০৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ পাহাড়ি ঢলের পানিতে এক শিশু ও এক কিশোর নিখোঁজ হন। পরে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- ঝিনাইগাতীর তামাগাঁও এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহ মিয়ার ১৭ বছর বয়সী ছেলে ইসমাইল হোসেন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ও বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ বছর বয়সী হুমায়ুন কবির।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি আলামিন বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে তামাগাঁও এলাকার মহারশি নদীতে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ইসমাইল। এর ১১ ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে নদী থেকে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে দুপুরে নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালি নদীতে বুরুংগা এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হুমায়ুন।
নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাড়ে হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারে পানি ঢুকে পড়ে।
এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে গোল্লারবিল এলাকা প্লাবিত হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং নদীর পানি কমতে শুরু করায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি পরিবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শেরপুর প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম