তার সঙ্গে রয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
জাতিসংঘ অধিবেশনের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৫:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের উদ্বোধনী সেশনে অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের উদ্বোধনী সেশনে অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তার সঙ্গে রয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিবেশনের আগে প্রধান উপদেষ্টা উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেতকিন, ২০১৮-২০২২ পর্যন্ত জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করা, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাশেলেট এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে নিউ ইয়র্ক পৌঁছান বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
এ বছর প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছয় রাজনীতিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেন। এ ছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
প্রধান দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারপ্রধানের জাতিসংঘ অধিবেশনে যাওয়ার এমন উদ্যোগ বাংলাদেশে নজিরবিহীন।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এ বছর ৮০ বছর পূর্ণ করছে জাতিসংঘ। এবারের সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইট্টি ইয়ারস অ্যান্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।’
প্রধান উপদেষ্টার নিউ ইয়র্ক সফরের বিস্তারিত তুলে ধরে এর আগে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য ‘বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ’, কারণ এবার ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে।
“রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ-পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম।”
এছাড়া এ বছর বিশ্ব যুব কর্মসূচির ৩০ বছর পূর্তি এবং নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক ঐতিহাসিক রেজ্যুলেশনের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে।
বিশ্ব যুব কর্মসূচির ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের অধিবেশনে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রধান উপদেষ্টা অংশগ্রহণ নেবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেবেন।
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম