০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মহানগর ও জেলায় বিএনপির কর্মসূচি আজ যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহপুর মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে আজ দেশের ৭৫ সাংগঠনিক জেলায় (মহানগর ও জেলা) একযোগে মানববন্ধন করবে বিএনপি। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার এ কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম। সব সাংগঠনিক জেলায় এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী থেকে আবদুল্লাহপুর (টঙ্গী ব্রিজ) পর্যন্ত হবে মানববন্ধন। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি থাকায় ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ-এ তিন সাংগঠনিক জেলায় মানববন্ধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকা মহানগরে সবচেয়ে দীর্ঘ পথের কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি।

মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আব্দুল্লাহপুর (টঙ্গী ব্রিজ)-বিমানবন্দর-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত এবং দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক-শান্তিনগর-কাকরাইল-নয়াপল্টন-ফকিরাপুল-আরামবাগমতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক মোড়-টিকাটুলী-যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত হবে এ কর্মসূচি। মূলত রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য করার পরিকল্পনা নিয়েছে দলের নেতারা। ঢাকার বাইরেও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে ১৮ মার্চ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। যা হবে রমজানের আগে শেষ কর্মসূচি।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানববন্ধন কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বস্তরের জনগণ এবং বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে তারা জনগণের কাছেই যাচ্ছেন। এই মহানগরে গ্যাস নেই, পানি নেই, স্যুয়ারেজ লাইন নেই। অথচ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়িয়েই চলছে সরকার। তারা লুটপাট করছে, আর তার দায়ভার জনগণ টানছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এসব থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শুধু বিএনপির নেতাকর্মী নয়, গণতন্ত্রপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক সব জনগণ এক কাতারে নামছে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলমান রয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে। এ আন্দোলনকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত রূপ দিতে বদ্ধপরিকর। ২৪ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি করে আসছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট। আজ মানববন্ধন কর্মসূচি বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটও পালন করবে।

মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে) এবং উত্তরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন (উত্তর বাড্ডা সুবাস্তু নজর ভ্যালির সামনে) অংশ নেবেন।ঢাকা জেলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জে ড. আবদুল মঈন খান, চট্টগ্রাম মহানগরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশাল মহানগরে বেগম সেলিমা রহমান নেতৃত্ব দেবেন। এর বাইরে সব মহানগর ও জেলার কর্মসূচিতেও কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারা থাকবেন।

দলের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব নেতা নিজ নিজ জেলার কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা কর্মসূচি সফল করতে সমন্বয় করবেন। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব নেতা ও সাবেক সংসদ-সদস্য নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে অংশগ্রহণ করবেন। ‘বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, চাল, ডাল, তেল ও কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ মানববন্ধন করবে বিএনপি।

অন্যান্য জোট, দল ও সংগঠন : এছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটও আজ আলাদাভাবে রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। বেলা ১১টায় পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বিকাল ৩টায় রাজধানীর এফডিসিসংলগ্ন দলীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর আরও ৩টি স্থানে এ কর্মসূচি পালন করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এফডিসিসংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে, মহানগর পূর্বের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারসংলগ্ন স্থানে এবং মহানগর পশ্চিমের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এছাড়া রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মানববন্ধন করবে দলটির নেতাকর্মীরা।

১২ দলীয় জোট বেলা সাড়ে ১১টায় বিজয়নগরে পানির ট্যাংকসংলগ্ন সড়ক থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাকর্মীরা বেলা ১১টায় পুরানা পল্টন আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে। এছাড়াও এদিন বেলা ১১টায় আরামবাগের প্রধান সড়কে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি এবং একই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মহানগর ও জেলায় বিএনপির কর্মসূচি আজ যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহপুর মানববন্ধন

আপডেট সময় ১০:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে আজ দেশের ৭৫ সাংগঠনিক জেলায় (মহানগর ও জেলা) একযোগে মানববন্ধন করবে বিএনপি। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার এ কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম। সব সাংগঠনিক জেলায় এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী থেকে আবদুল্লাহপুর (টঙ্গী ব্রিজ) পর্যন্ত হবে মানববন্ধন। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি থাকায় ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ-এ তিন সাংগঠনিক জেলায় মানববন্ধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকা মহানগরে সবচেয়ে দীর্ঘ পথের কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি।

মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আব্দুল্লাহপুর (টঙ্গী ব্রিজ)-বিমানবন্দর-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত এবং দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক-শান্তিনগর-কাকরাইল-নয়াপল্টন-ফকিরাপুল-আরামবাগমতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক মোড়-টিকাটুলী-যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত হবে এ কর্মসূচি। মূলত রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য করার পরিকল্পনা নিয়েছে দলের নেতারা। ঢাকার বাইরেও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে ১৮ মার্চ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। যা হবে রমজানের আগে শেষ কর্মসূচি।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানববন্ধন কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বস্তরের জনগণ এবং বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে তারা জনগণের কাছেই যাচ্ছেন। এই মহানগরে গ্যাস নেই, পানি নেই, স্যুয়ারেজ লাইন নেই। অথচ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়িয়েই চলছে সরকার। তারা লুটপাট করছে, আর তার দায়ভার জনগণ টানছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এসব থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শুধু বিএনপির নেতাকর্মী নয়, গণতন্ত্রপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক সব জনগণ এক কাতারে নামছে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলমান রয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে। এ আন্দোলনকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত রূপ দিতে বদ্ধপরিকর। ২৪ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি করে আসছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট। আজ মানববন্ধন কর্মসূচি বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটও পালন করবে।

মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে) এবং উত্তরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন (উত্তর বাড্ডা সুবাস্তু নজর ভ্যালির সামনে) অংশ নেবেন।ঢাকা জেলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জে ড. আবদুল মঈন খান, চট্টগ্রাম মহানগরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশাল মহানগরে বেগম সেলিমা রহমান নেতৃত্ব দেবেন। এর বাইরে সব মহানগর ও জেলার কর্মসূচিতেও কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারা থাকবেন।

দলের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব নেতা নিজ নিজ জেলার কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা কর্মসূচি সফল করতে সমন্বয় করবেন। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব নেতা ও সাবেক সংসদ-সদস্য নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে অংশগ্রহণ করবেন। ‘বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, চাল, ডাল, তেল ও কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ মানববন্ধন করবে বিএনপি।

অন্যান্য জোট, দল ও সংগঠন : এছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটও আজ আলাদাভাবে রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। বেলা ১১টায় পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বিকাল ৩টায় রাজধানীর এফডিসিসংলগ্ন দলীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর আরও ৩টি স্থানে এ কর্মসূচি পালন করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এফডিসিসংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে, মহানগর পূর্বের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারসংলগ্ন স্থানে এবং মহানগর পশ্চিমের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এছাড়া রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মানববন্ধন করবে দলটির নেতাকর্মীরা।

১২ দলীয় জোট বেলা সাড়ে ১১টায় বিজয়নগরে পানির ট্যাংকসংলগ্ন সড়ক থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাকর্মীরা বেলা ১১টায় পুরানা পল্টন আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে। এছাড়াও এদিন বেলা ১১টায় আরামবাগের প্রধান সড়কে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি এবং একই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট।