দেড় মাস ধরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপা বন্ধ
- আপডেট সময় ১০:১৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
- / ৯৯ বার পড়া হয়েছে
বকেয়া ও কারিগরি জটিলতায় দেড় মাস ধরে ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত স্মার্ট আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপা বন্ধ রয়েছে। স্মার্টকার্ড ছাপা বাবদ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ১১৪ কোটি টাকা পায় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)।
২০১৬ সালে প্রথম নাগরিকদের হাতে ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত স্মার্ট আইডি কার্ড তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ৭ কোটি ১০ লাখের বেশি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট করেছে ইসি। অর্ধেকের বেশি নাগরিক এখনও স্মার্ট আইডি কার্ড পায়নি। ২০২৫ সাল নাগাদ সব নাগরিককে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
ইসি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করার জন্য ৭ বছর আগে ফ্রান্স থেকে ১০টি মেশিন আনা হয়েছিল। মেশিনগুলোর মেয়াদকাল ১০ বছর বলা হলেও মাঝেমধ্যেই এগুলোতে সমস্যা হচ্ছে। তবে বর্তমানে স্মার্টকার্ড প্রিন্ট বন্ধ রয়েছে বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে। স্মার্টকার্ড পার্সোনালাইজেশন বাবদ ১১৪ কোটি টাকা বকেয়া হয়েছে বলে বিএমটিএফ থেকে জানানো হয়েছে। এই টাকা পরিশোধ নিয়ে ইসি ও বিএমটিএফের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে।
এই বকেয়া টাকা না দেওয়ার কারণেই মূলত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্মার্টকার্ড প্রিন্ট বন্ধ রয়েছে। এর আগে, বকেয়া পরিশোধ না করায় ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে প্রায় এক মাস স্মার্টকার্ড ছাপানো বন্ধ ছিল। বিএমটিএফের সঙ্গে আলোচনায় বকেয়া পূরণ সাপেক্ষে পুনরায় কার্ড ছাপানো চালু করা হয়। অন্যদিকে বিএমটিএফ জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে স্মার্টকার্ড প্রিন্ট বন্ধ থাকতে পারে। দ্রুত তা চালু হয়ে যাবে। তবে স্মার্টকার্ড প্রিন্টের জন্য ১০টি মেশিনের বেশির ভাগ কাজ করছে না।
ফলে মাঝেমধ্যেই স্মার্টকার্ড ছাপার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, মেশিন নষ্ট থাকার কারণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্মার্টকার্ড ছাপানো বন্ধ রয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকে পুনরায় স্মার্টকার্ড ছাপানো শুরু হবে।