১২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

‘আবারও প্রমাণ হলো দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৬:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ১২৭ বার পড়া হয়েছে

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গভীর রাতে একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেয়া সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণে আবারও প্রমাণ হলো দেশে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই।তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ধরার স্টাইলে কোনো বাহিনীর পরিচয়ে রাতের অন্ধকারে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া একাত্তরের বর্বর হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে।

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তাকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে সরকার বন্দুকের জোরে মানুষের প্রতিবাদকে স্তব্ধ করে দিতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলা যাবে না, অভাবের কথা বলা যাবে না, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বলা যাবে না, ভোট ডাকাতির কথা বলা যাবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না। সরকার দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আবারও প্রমাণ হলো দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই’

আপডেট সময় ০৬:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গভীর রাতে একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেয়া সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণে আবারও প্রমাণ হলো দেশে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই।তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ধরার স্টাইলে কোনো বাহিনীর পরিচয়ে রাতের অন্ধকারে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া একাত্তরের বর্বর হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে।

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তাকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে সরকার বন্দুকের জোরে মানুষের প্রতিবাদকে স্তব্ধ করে দিতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলা যাবে না, অভাবের কথা বলা যাবে না, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বলা যাবে না, ভোট ডাকাতির কথা বলা যাবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না। সরকার দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।