১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় দলে ফিরছেন আমির, সবুজ সংকেত পিসিবির

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১১৫ বার পড়া হয়েছে

২০২০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। তখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও কোচিং স্টাফদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে গুঞ্জন উঠেছে, ৩০ বছর বয়সী আমির অবসর ভেঙে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পারেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমিরের ম্যানেজারের সঙ্গে পিসিবির একজন নির্বাচক এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। আমিরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই নির্বাচক। তাই গণমাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি বা বিতর্ক তৈরি না করে আমিরকে কথা বলায় সংযত হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অবসরের পরবর্তী সময়ে আমির জানিয়েছিলেন, কোচের পদ থেকে মিসবাহ উল হক ও ওয়াকার ইউনিস এবং পিসিবি চেয়ারম্যানের পদ থেকে রমিজ রাজা সরে গেলে আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারেন। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটে ওই তিনজন কোনো দায়িত্বে নেই। ফলে আমিরের জাতীয় দলে ফেরা সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছে।আমিরের ম্যানেজার ‘সামা টিভি’কে জানান, ওই নির্বাচক বলেছেন পিসিবি বললে আমির যেন অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। এ বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাকে দরকার হতে পারে বলেও ধারণা দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন আমির। গত মাসে শেষ হওয়া পিএসএলে ৭ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার আগে বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১১ ম্যাচে নেন ১৪ উইকেট। ওই সময় আমির বলেছিলেন, ভালো ক্রিকেট খেলে আবারও পাকিস্তান দলে ফিরতে চান তিনি। এদিকে পিসিবি প্রধানের পদ থেকে রমিজ রাজার বিদায়ের পর দায়িত্ব নেন নাজাম শেঠি। এরপর পাকিস্তানের ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে আমিরকে অনুশীলনের সুযোগ করে দেন তিনি। সেই সময় পিসিবি চেয়ারম্যান আমিরকে নিয়ে নিজের মনোভাবও প্রকাশ করেছিলেন।

শেঠি বলেন, ‘অবসর থেকে ফিরে এলে আমিরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার দরজা খোলা। আমি সবসময় ম্যাচ পাতানো নিয়ে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছি। আমি মনে করি, কোনো দোষী খেলোয়াড় ছাড় পেতে পারে না। তবে একই সময়ে কোনো খেলোয়াড় যদি তার শাস্তি ভোগ করে ফেলে, তবে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেওয়া উচিত।’আমিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আরেকটি কারণ হতে পারেন দেশটির সাবেক কোচ মিকি আর্থার।

এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন। এই সময়েই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সাজার মেয়াদ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন আমির। আর্থারের সঙ্গে বাঁহাতি এই পেসারের সখ্যও আছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তান দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পান আর্থার। তিনি ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আবারও পাকিস্তান দলের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব নেবেন। সব মিলিয়ে দশ দিন পরেই ৩১ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া আমিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।

পাকিস্তানের জার্সিতে ২০০৯ সালে অভিষেক হয়েছিল মোহাম্মদ আমিরের। ওই বছরই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতেন তিনি। এরপর ফিক্সিং কাণ্ডের পর ফিরে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ৩৬ টেস্ট, ৬১ ওয়ানডে ও ৫০ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে আমিরের আন্তর্জাতিক উইকেট সংখ্যা ছিল ২৫৯। এর মধ্যে টেস্টেই পান ১১৯ উইকেট।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় দলে ফিরছেন আমির, সবুজ সংকেত পিসিবির

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

২০২০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। তখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও কোচিং স্টাফদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে গুঞ্জন উঠেছে, ৩০ বছর বয়সী আমির অবসর ভেঙে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পারেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমিরের ম্যানেজারের সঙ্গে পিসিবির একজন নির্বাচক এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। আমিরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই নির্বাচক। তাই গণমাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি বা বিতর্ক তৈরি না করে আমিরকে কথা বলায় সংযত হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অবসরের পরবর্তী সময়ে আমির জানিয়েছিলেন, কোচের পদ থেকে মিসবাহ উল হক ও ওয়াকার ইউনিস এবং পিসিবি চেয়ারম্যানের পদ থেকে রমিজ রাজা সরে গেলে আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারেন। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটে ওই তিনজন কোনো দায়িত্বে নেই। ফলে আমিরের জাতীয় দলে ফেরা সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছে।আমিরের ম্যানেজার ‘সামা টিভি’কে জানান, ওই নির্বাচক বলেছেন পিসিবি বললে আমির যেন অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। এ বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাকে দরকার হতে পারে বলেও ধারণা দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন আমির। গত মাসে শেষ হওয়া পিএসএলে ৭ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার আগে বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১১ ম্যাচে নেন ১৪ উইকেট। ওই সময় আমির বলেছিলেন, ভালো ক্রিকেট খেলে আবারও পাকিস্তান দলে ফিরতে চান তিনি। এদিকে পিসিবি প্রধানের পদ থেকে রমিজ রাজার বিদায়ের পর দায়িত্ব নেন নাজাম শেঠি। এরপর পাকিস্তানের ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে আমিরকে অনুশীলনের সুযোগ করে দেন তিনি। সেই সময় পিসিবি চেয়ারম্যান আমিরকে নিয়ে নিজের মনোভাবও প্রকাশ করেছিলেন।

শেঠি বলেন, ‘অবসর থেকে ফিরে এলে আমিরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার দরজা খোলা। আমি সবসময় ম্যাচ পাতানো নিয়ে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছি। আমি মনে করি, কোনো দোষী খেলোয়াড় ছাড় পেতে পারে না। তবে একই সময়ে কোনো খেলোয়াড় যদি তার শাস্তি ভোগ করে ফেলে, তবে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেওয়া উচিত।’আমিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আরেকটি কারণ হতে পারেন দেশটির সাবেক কোচ মিকি আর্থার।

এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন। এই সময়েই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সাজার মেয়াদ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন আমির। আর্থারের সঙ্গে বাঁহাতি এই পেসারের সখ্যও আছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তান দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পান আর্থার। তিনি ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আবারও পাকিস্তান দলের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব নেবেন। সব মিলিয়ে দশ দিন পরেই ৩১ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া আমিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।

পাকিস্তানের জার্সিতে ২০০৯ সালে অভিষেক হয়েছিল মোহাম্মদ আমিরের। ওই বছরই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতেন তিনি। এরপর ফিক্সিং কাণ্ডের পর ফিরে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ৩৬ টেস্ট, ৬১ ওয়ানডে ও ৫০ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে আমিরের আন্তর্জাতিক উইকেট সংখ্যা ছিল ২৫৯। এর মধ্যে টেস্টেই পান ১১৯ উইকেট।