০৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ভোলায় আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৪ বার পড়া হয়েছে

ভোলায় আরেকটি কূপ ইলিশা-১ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। গ্যাস তোলার কাজ করছে রাশিয়ার তেল-গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম।

ভোলায় এর আগে আটটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স। ইলিশা-১ নিয়ে জেলায় ৯টি কূপে মিলল গ্যাস। বাপেক্সের ধারণা, এই কূপ থেকে দৈনিক ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন (২ কোটি থেকে ২ কোটি ২০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। কূপে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে, তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে সময় লাগবে বেশ কিছুদিন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জি এম আলমগীর হোসেন বলেন, চলতি বছরের ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ডিএসটির (ড্রিল স্টেম স্টেট) মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। এরপর ২৮ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স।

বাপেক্সের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সালে ভোলায় একটি দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলা ১৯৮৭ সালে তৃতীয় ধাপে আরেকটি ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে শাহবাজপুর-১ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোট আটটি কূপ খনন করা হয়।

ইলিশা-১ নিয়ে মোট নয়টি কূপে গ্যাস মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হলো। এতে মজুতের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ভোলার ইলিশা-১ কূপ খননের উদ্যোগ নেয় বাপেক্স।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোলায় আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

আপডেট সময় ১০:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

ভোলায় আরেকটি কূপ ইলিশা-১ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। গ্যাস তোলার কাজ করছে রাশিয়ার তেল-গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম।

ভোলায় এর আগে আটটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স। ইলিশা-১ নিয়ে জেলায় ৯টি কূপে মিলল গ্যাস। বাপেক্সের ধারণা, এই কূপ থেকে দৈনিক ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন (২ কোটি থেকে ২ কোটি ২০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। কূপে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে, তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে সময় লাগবে বেশ কিছুদিন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জি এম আলমগীর হোসেন বলেন, চলতি বছরের ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ডিএসটির (ড্রিল স্টেম স্টেট) মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। এরপর ২৮ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স।

বাপেক্সের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সালে ভোলায় একটি দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলা ১৯৮৭ সালে তৃতীয় ধাপে আরেকটি ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে শাহবাজপুর-১ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোট আটটি কূপ খনন করা হয়।

ইলিশা-১ নিয়ে মোট নয়টি কূপে গ্যাস মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হলো। এতে মজুতের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ভোলার ইলিশা-১ কূপ খননের উদ্যোগ নেয় বাপেক্স।