ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় ১১:০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
- / ৯১ বার পড়া হয়েছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বুধবার (১০ মে) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ১২ ও ১৩ মে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স-আইওসি) অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অংশীদারত্ব’। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করবেন এবং সম্মেলনে আগত অতিথিদের সম্মানে তার পক্ষ থেকে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। সম্মেলনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ আরও দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক অবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্যটি খুবই যুক্তিযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক হয়েছে। আমরা আশা করছি এ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অনেক সুপারিশ ও মতামত উঠে আসবে, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস। এর আগে ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায়, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামে, ২০১৯ সালে মালদ্বীপে এবং ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ সম্মেলন।