ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল দুই মেয়ের বাবা হব : সালমান মুক্তাদির
- আপডেট সময় ০৯:৩১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
- / ১০৯ বার পড়া হয়েছে
একজন বিবাহিত নারীকে বিয়ে করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির। দুই সন্তানের জননী দিশা ইসলামকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় নিয়েছিলেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই সালমানের ইচ্ছা ছিলো, দুটি মেয়ে সন্তানের বাবা হবেন তিনি। দিশাকে বিয়ের সুবাদে তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আর অপেক্ষা করতে হয়নি। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই দুই মেয়ের বাবা হয়েছেন সালমান মুক্তাদির। বড় মেয়ে আমারা ও ছোট মেয়ে আইরাকে নিয়ে বেশ আনন্দঘন সময় কাটাচ্ছেন তিনি। পিতৃত্ব বেশ দারুণভাবে উপভোগ করছেন সালমান মুক্তাদির। সকালে ঘুম ভাঙতেই দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে খেলাখুলা করছেন, স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে সন্তানদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তার। তিনি চান, তার সন্তানরা ভালো মানুষ হোক।
একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা হয় সালমান-দিশার। শুরুতে তারা পরস্পরের বন্ধু থাকলেও ধীরে ধীরে মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব সারেন। তবে দিশার পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব- সকলেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। একে অন্যের সঙ্গে ৭ মাস কথা বলতে পারেননি তারা। পরিস্থিতির কারণে বেশ চাপের মধ্যে ছিলেন দিশা। সালমান মুক্তাদিরের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাতে সব দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি।
সালমানের ভাষ্যমতে, দিশা তার প্রকৃত সত্ত্বাকে ভালোবেসেছে। সে কখনও তাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেনি, অসম্মান করেনি। দিশার সুন্দর ব্যক্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করতে তার কয়েক বছর সময় লাগবে। সে শারীরিক এবং মানসিক-দুই দিকেই শক্তিশালী। সবকিছু নিয়েই তার সম্যক জ্ঞান রয়েছে। এর আগে যে দিশার জীবনে ছিলো, সে তাকে পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা করতে পারেনি। এতে তার দোষ নেই। দিশার ভাগ্যে লেখা ছিলো, সে অন্য একজনের কাছে রাণীর মতো সম্মান পাবে। তাকে রাণীর মতো রাখতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবেন সালমান মুক্তাদির।
দিশার আগে বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সালমান মুক্তাদির। সাবেক প্রেমিকাদের প্রতারক হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। কারণ কেউ তাকে বিয়ে করেনি। আর তাই তিনি ভেবেছিলেন, তার জীবনে আরেকটি ব্যর্থ প্রেম যুক্ত হতে যাচ্ছে। তবে দিশা তার সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে সালমান মুক্তাদিরের সারাজীবনের সঙ্গী হয়েছেন। সুখী পরিবার হয়েই বাকিটা জীবন কাটাতে চান তারা।