০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশে’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৪৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নিরলস ভাবে কাজ করছে। এজন্য গত ৭ বছর জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের সদরদপ্তরে দু’দিনব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতেগিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত বৈঠকের প্রথম দিন ছিল। প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে ব্যয় হিসেবে মনে করেন না উল্লেখ করে বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশলটি দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতীয় বাজেটের প্রায় ৯ থেকে ১১% দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বরাদ্দ করা হয়। করোনা মহামারির ভেতর বাংলাদেশ ২০২০ সালে পাঁচবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০৭ সালে যেখানে মৃত্যুর হার ছিল ৩.১০ সেখানে ২০২০ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে ০.২০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

দুর্যোগে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক এ বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশে’

আপডেট সময় ০৯:৪৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নিরলস ভাবে কাজ করছে। এজন্য গত ৭ বছর জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের সদরদপ্তরে দু’দিনব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতেগিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত বৈঠকের প্রথম দিন ছিল। প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে ব্যয় হিসেবে মনে করেন না উল্লেখ করে বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশলটি দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতীয় বাজেটের প্রায় ৯ থেকে ১১% দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বরাদ্দ করা হয়। করোনা মহামারির ভেতর বাংলাদেশ ২০২০ সালে পাঁচবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০৭ সালে যেখানে মৃত্যুর হার ছিল ৩.১০ সেখানে ২০২০ সালে সেটি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে ০.২০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

দুর্যোগে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক এ বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।