মুম্বাইয়ের আশা ভেঙে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে গুজরাট
- আপডেট সময় ১০:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
- / ১১২ বার পড়া হয়েছে
প্রথমে ব্যাট করে কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল গুজরাট টাইটান্স। তবুও প্রতিপক্ষের নাম যখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, তখন ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তো উপায় নেই। তবে শুভমান গিলের অনবদ্য সেঞ্চুরির পর বোলিংয়ে মোহিত শর্মার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মুম্বাইয়ের আশা ভেঙে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালের টিকিট পেল হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
আইপিএলের ১৬তম আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে শুভমান গিলের অবিশ্বাস্য ১২৯ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে গুজরাট। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় ১০ বল আগেই ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই। ফলে ৬২ রানের জয়ে আগামী ২৮ মে ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে লড়বে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার (২৬ মে) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে পঞ্চাশ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। পরে যদিও ঋদ্ধিমান সাহা ১৬ বলে ১৮ রানের বেশি এগোতে পারেননি। এরপর সাই সুদর্শনকে নিয়ে মুম্বাই বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান শুভমান গিল। দ্বিতীয় উইকেটে তারা দুজনে ৬৪ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন। এবারের আইপিএলে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে ১৭তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৯২ রানের মাথায় আউট হন গিল।
বিদায়ের আগে এই ওপেনার ৬০ বলে ৭ চার আর ১০ ছক্কার ১২৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন। এরপর ৩১ বলে ৪৩ করে রিটায়ার্ড আউটে সাজঘরে ফেরেন সুদর্শন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২৮ ও রশিদ খান ৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে ৩ উইকেটে ২৩৩ রানের পাহাড় গড়ে গুজরাট। ফলে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য পায় মুম্বাই। বোলিংয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আকাশ মাধওয়াল ও পিযুশ চাওলা প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট শিকার করেন। এরপর ২৩৪ রান তাড়ায় অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে আজ ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ঈশান কিষাণ। তার বদলি হয়ে ওপেন করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রান করে বিদায় নেন নেহাল ওয়াদহেরা।
এরপর তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন রোহিত। জস লিটলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৮ রান করেন মুম্বাই অধিনায়ক৷ জোড়া উইকেট হারানোর পর তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে চাপ সামলে দলকে টেনে নিয়ে যান। এর মধ্য তিলক বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ বলে দলীয় ৭২ রানের মাথায় বিদায় নেন এই তরুণ ব্যাটার। বিদায়ের আগে ১৪ বলে ৪৩ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন বাহাতি এই বাটার। এরপর ক্যামেরুন গ্রিন করেন ২০ বলে ৩০। তবুও ১৫তম ওভার পর্যন্ত লড়াইটা জিইয়ে রেখেছিলেন টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব।
এক পর্যায়ে ১৪.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৫ রান ছিল মুম্বাইয়ের। কিন্তু ওই ওভারে মোহিত শর্মা জোড়া শিকার করলে মুম্বাইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব ৩৮ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৬১ করে ফেরেন। এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ফলে ১৮.২ ওভারে ১৭১ রানেই থেমে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস। বিধ্বংসী বোলিং করা মোহিত মাত্র ১০ রানে একাই নেন ৫টি উইকেট, যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট।