০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দারিদ্র্য ও বাল্যবিয়েতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বড় ধাক্কা

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৭৯ বার পড়া হয়েছে

দারিদ্র্য ও বাল্যবিয়ের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা হচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থীর। প্রতিবছর এই সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে। চলতি বছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেননি প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী। এই সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় পাঁচগুণের কাছাকাছি।

তথ্যমতে, গত ৩০ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। ১১ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থীই অনুপস্থিত। করোনার আগে ২০১৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৮ হাজার ৫২০ জন। ২০১৮ সালে ৯ হাজার ৬৪২, ২০১৯ সালে ১০ হাজার ৩৮৭, ২০২০ সালে ১২ হাজার ৯৩৭, ২০২১ সালে ১৮ হাজার ৮২০ এবং ২০২২ সালে ৩৫ হাজার ৮৬৫।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চান্দপুর মিয়াচাঁন শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, তার বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করা ১২ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না। এর মধ্যে ১০ জনই ছাত্রী। তাদের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ছেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ কাজে জড়িয়ে পড়েন আর মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। অথচ দারিদ্র্য কাটাতে গেলে শিক্ষাটাই আগে দরকার।

এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, শুধু সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে হবে না, শতাংশের হিসাব দেখতে হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর মোট পরীক্ষার্থীর এক থেকে দেড় শতাংশ সব সময়ই অনুপস্থিত থাকে। বিষয়টি উদ্বেগজনক নয়।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

দারিদ্র্য ও বাল্যবিয়েতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বড় ধাক্কা

আপডেট সময় ০৯:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

দারিদ্র্য ও বাল্যবিয়ের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা হচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থীর। প্রতিবছর এই সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে। চলতি বছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেননি প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী। এই সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় পাঁচগুণের কাছাকাছি।

তথ্যমতে, গত ৩০ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। ১১ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থীই অনুপস্থিত। করোনার আগে ২০১৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৮ হাজার ৫২০ জন। ২০১৮ সালে ৯ হাজার ৬৪২, ২০১৯ সালে ১০ হাজার ৩৮৭, ২০২০ সালে ১২ হাজার ৯৩৭, ২০২১ সালে ১৮ হাজার ৮২০ এবং ২০২২ সালে ৩৫ হাজার ৮৬৫।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চান্দপুর মিয়াচাঁন শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, তার বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করা ১২ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না। এর মধ্যে ১০ জনই ছাত্রী। তাদের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ছেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ কাজে জড়িয়ে পড়েন আর মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। অথচ দারিদ্র্য কাটাতে গেলে শিক্ষাটাই আগে দরকার।

এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, শুধু সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে হবে না, শতাংশের হিসাব দেখতে হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর মোট পরীক্ষার্থীর এক থেকে দেড় শতাংশ সব সময়ই অনুপস্থিত থাকে। বিষয়টি উদ্বেগজনক নয়।