০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধাদানকারী’দের তথ্য সংগ্রহে বিএনপির কমিটি

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৬:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

‘গায়েবি ও মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা প্রদানকারী’ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করতে কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের এই কমিটি সহিংসতায় লিপ্তদের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করবে।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ তথ্য জানান। তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত খুন, গুম ও গায়েবি বা মিথ্যা মামলার শিকার নিরীহ নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মী তথা আপামর ভুক্তভোগী জনসাধারণ দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, এই প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা ইতিমধ্যেই সুস্পষ্ট। উপরন্তু ইতিমধ্যেই যারা এই অবিচার ও অমানুষিক অত্যাচারের শিকার ও ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, তাদেরও আইনি সহায়তা প্রদান তথা দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার একটি তাগিদও বিএনপি অনুধাবন করছে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও জড়িয়ে পড়ছেন। তারা ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিনা কারণে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকারী নাগরিকদের ওপর খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের জঘন্য অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। দেশে দেশে সব স্বৈরাচারই এ ধরনের মানবিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। আর যারা এই কাজটি বাস্তবায়ন করে, তারা মূলত ফৌজদারি অপরাধ করে।

তথ্য সংগ্রহ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান এবং পিপিএম সদস্য সালাহ উদ্দিন খান।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও জানান, গত ১৯ মে থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে মোট ১৫৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় আসামি প্রায় ৫ হাজার ৭৫০টির বেশি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭১০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধাদানকারী’দের তথ্য সংগ্রহে বিএনপির কমিটি

আপডেট সময় ০৬:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

‘গায়েবি ও মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা প্রদানকারী’ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করতে কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের এই কমিটি সহিংসতায় লিপ্তদের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করবে।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ তথ্য জানান। তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত খুন, গুম ও গায়েবি বা মিথ্যা মামলার শিকার নিরীহ নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মী তথা আপামর ভুক্তভোগী জনসাধারণ দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, এই প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা ইতিমধ্যেই সুস্পষ্ট। উপরন্তু ইতিমধ্যেই যারা এই অবিচার ও অমানুষিক অত্যাচারের শিকার ও ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, তাদেরও আইনি সহায়তা প্রদান তথা দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার একটি তাগিদও বিএনপি অনুধাবন করছে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও জড়িয়ে পড়ছেন। তারা ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিনা কারণে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকারী নাগরিকদের ওপর খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের জঘন্য অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। দেশে দেশে সব স্বৈরাচারই এ ধরনের মানবিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। আর যারা এই কাজটি বাস্তবায়ন করে, তারা মূলত ফৌজদারি অপরাধ করে।

তথ্য সংগ্রহ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান এবং পিপিএম সদস্য সালাহ উদ্দিন খান।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও জানান, গত ১৯ মে থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে মোট ১৫৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় আসামি প্রায় ৫ হাজার ৭৫০টির বেশি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭১০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী।